slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير سورة الملك

(Al-Mulk) • المصدر: BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

📘 Please check ayah 67:5 for complete tafsir.

وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ

📘 Please check ayah 67:11 for complete tafsir.

فَاعْتَرَفُوا بِذَنْبِهِمْ فَسُحْقًا لِأَصْحَابِ السَّعِيرِ

📘 ৬-১১ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যারা তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি এবং ওটা কত মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল! এটা গাধার মত উচ্চ ও অপছন্দনীয় শব্দকারী ও উত্তেজনাপূর্ণ জাহান্নাম। এই জাহান্নামের আগুনে তারা জ্বলতে পুড়তে থাকবে। যখন তারা এই জাহান্নামের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে তখন তারা ঐ জাহান্নামের শব্দ শুনবে, আর ওটা হবে উদ্বেলিত।ঐ জাহান্নামীদেরকে অত্যধিক লাঞ্ছিত করা এবং তাদের উপর শেষ যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবেনঃ ‘ওরে হতভাগ্যের দল! আল্লাহর রাসূলগণ কি তোমাদেরকে এটা হতে ভয় প্রদর্শন করেননি?' তখন তারা হায়, হায় করতে করতে উত্তর দিবেঃ ‘অবশ্যই আমাদের নিকট আল্লাহর রাসূলগণ সতর্ককারীরূপে এসেছিলেন এবং আমাদেরকে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু বড়ই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, আমরা তাঁদেরকে মিথ্যাবাদী রূপে গণ্য করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি, আপনারা তো মহাবিভ্রান্তিতে রয়েছেন। এখন আল্লাহর ইনসাফ পরিষ্কারভাবে সাব্যস্ত হয়ে গেছে এবং তাঁর ফরমান পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি যা বলেছিলেন তাই বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।’ যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আমি শাস্তি প্রদান করি না যে পর্যন্ত না আমি রাসূল প্রেরণ করি।” (১৭:১৫) আর এক জায়গায় আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যখন তারা জাহান্নামের নিকট উপস্থিত হবে তখন ওর প্রবেশদ্বারগুলো খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবেঃ তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রাসূল আসেনি যারা তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত আবৃত্তি করতো এবং এই দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তোমাদেরকে সতর্ক করতো? তারা বলবেঃ অবশ্যই এসেছিল। বস্তুতঃ কাফিরদের প্রতি শাস্তির কথা বাস্তবায়িত হয়েছে।” (৩৯:৭১) এভাবে তারা নিজেরা নিজেদেরকে তিরস্কার করবে এবং বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তবে আমরা জাহান্নামবাসী হতাম না। অর্থাৎ আমরা বিবেক প্রয়োগ করলে প্রতারিত হতাম না এবং আমাদের মালিক ও খালিক আল্লাহকে অস্বীকার করতাম না। তাঁর রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী জানতাম না এবং তাদের আনুগত্য হতে মুখ ফিরিয়ে নিতাম না। আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ তারা নিজেরাই তো তাদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। সুতরাং তাদের জন্যে অভিশাপ!মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “মানুষ কখনো ধ্বংস হবে না যে পর্যন্ত না তারা নিজেরাই নিজেদের অকল্যাণ দেখে নিবে এবং নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে।” অন্য হাদীসে রয়েছেঃ “কেউ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না যে পর্যন্ত না সে নিজেই বুঝতে পারবে যে, সে জাহান্নামে যাবারই যোগ্য জান্নাতে নয়।"

إِنَّ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ

📘 Please check ayah 67:15 for complete tafsir.

وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ ۖ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ

📘 Please check ayah 67:15 for complete tafsir.

أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ

📘 Please check ayah 67:15 for complete tafsir.

هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِنْ رِزْقِهِ ۖ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

📘 ১২-১৫ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ ঐ লোকদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছেন যারা তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়া সম্পর্কে ভয় করে। যদিও তারা নির্জনে অবস্থান করে, যেখানে কারো দৃষ্টি পড়বে না; তথাপিও তারা আল্লাহর ভয়ে তার অবাধ্যতামূলক কাজ করে না এবং তাঁর আনুগত্য ও ইবাদত হতে বিমুখ হয় না। আল্লাহ তা'আলা তাদের পাপরাশি মার্জনা করে দিবেন। যেমন সহীহ্ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছেঃ “সাত প্রকারের লোককে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় এমন দিনে স্থান দিবেন যেই দিন তাঁর (আরশের) ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না।” তাদের মধ্যে এক প্রকার হলো ঐ ব্যক্তি যাকে এক সম্ভ্রান্ত বংশীয়া সুন্দরী মহিলা (ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে) আহ্বান করে, কিন্তু সে উত্তরে বলেঃ “আমি আল্লাহকে ভয় করি (সুতরাং আমি তোমার সাথে এ কাজে লিপ্ত হতে পারি না)।” আর এক প্রকার হলো ঐ ব্যক্তি যে-গোপনে দান করে, এমনকি তার ডান হাত যা দান করে বাম হাত তা জানতে পারে না।”হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, সাহাবীগণ বলেনঃ "হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনার সামনে আমাদের অন্তরের যে অবস্থা থাকে, আপনার সাহচর্য হতে পৃথক হওয়ার পর আমাদের অন্তরের ঐ অবস্থা আর থাকে না। (তাহলে কি আমরা মুনাফিকের মধ্যে গণ্য হবে?)।” তাঁদের এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে বলেনঃ “তোমাদের প্রতিপালকের সাথে তোমাদের অবস্থা কি থাকে?” জবাবে তারা বললেনঃ “প্রকাশ্যে ও গোপনে আমরা ‘আল্লাহকেই আমাদের প্রতিপালক বলে স্বীকার করে থাকি।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “(তা হলে নিশ্চিন্ত থাকো,) তোমাদের এটা নিফাক বা কপটতা নয়।" (এ হাদীসটি হাফিয আবূ বকর আল বাযযার (রঃ) বর্ণনা করেছেন)এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তর্যামী। অর্থাৎ তোমাদের অন্তরের খবরও তিনি জানেন। সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টজীব হতে বে-খবর থাকবেন, এটা তো অসম্ভব। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তো সূক্ষ্মদর্শী ও সবকিছুই সম্যক অবগত।মহামহিমান্বিত আল্লাহ এরপর স্বীয় নিয়ামতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ তিনিই তো তোমাদের জন্যে ভূমিকে সুগম করে দিয়েছেন এটা স্থিরতার সাথে বিছানো রয়েছে। এটা মোটেই হেলা-দোলা করছে না। ফলে তোমরা এর উপর শান্তিতে বিচরণ করছে। এটা যেন নড়া-চড়া করতে না পারে তজ্জনে আল্লাহ পাক পাহাড় পর্বতকে এতে পেরেক রূপে মেরে দিয়েছেন। এতে তিনি পানির প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছেন। বিভিন্ন প্রকারের উপকার তিনি এতে রেখে দিয়েছেন। এটা হতে তিনি ফল ও শস্য উৎপন্ন করছেন। তোমরা এখানে যথেচ্ছা ভ্রমণ করতে রয়েছে। এখানে তোমরা ব্যবসা বাণিজ্য করে অর্থ উপার্জন করতে রয়েছে। এভাবে তিনি তোমাদের জীবনোপকরণের ব্যবস্থা করেছেন। তোমরা জীবিকা অর্জনের জন্যে চেষ্টা তদবীর করছে এবং আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তোমাদের চেষ্টাকে সফল করছেন।এর দ্বারা জানা গেল যে, জীবনোপকরণ লাভ করার জন্য চেষ্টা করা নির্ভরশীলতার পরিপন্থী নয়। যেমন মুসনাদে আহমাদে হযরত উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ “তোমরা যদি আল্লাহর উপর যথাযোগ্য ভরসা করতে তবে তিনি তোমাদেরকে ঐভাবেই জীবিকা দান করতেন যেমনভাবে পাখীকে জীবিকা দান করে থাকেন, পাখী সকালে খালি পেটে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে। (এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ), ইমাম নাসাঈ (রঃ) এবং ইমাম ইবনে মাজাহও (রঃ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান সহীহ বলেছেন) সুতরাং পাখীর সকাল-সন্ধ্যায় জীবিকার সন্ধানে গমনাগমন করাকেও নির্ভরশীলতার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়েছে। কেননা, উপকরণ সৃষ্টিকারী এবং ওটাকে সহজকারী একমাত্র আল্লাহ রাব্বল আলামীনই বটে। কিয়ামতের দিন তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ গুরুজন (আরবি)-এর অর্থ নিয়েছেন প্রান্ত এবং এদিক ওদিকের স্থান। হযরত কাতাদাহ (রঃ) প্রমুখ মনীষী বলেন যে, (আরবি) দ্বারা পাহাড় পর্বতকে বুঝানো হয়েছে। হযরত বাশীর ইবনে কা'ব (রঃ) এ আয়াতটি পাঠ করার পর তাঁর ঐ দাসীকে, যার গর্ভে তাঁর সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল, বলেনঃ “তুমি যদি (আরবি) এর সঠিক তাফসীর বলতে পার তবে আমি তোমাকে আযাদ করে দিবো।” তখন ঐ দাসীটি বলে যে, এর দ্বারা পাহাড় উদ্দেশ্য। হযরত বাশীর (রঃ) তখন হযরত আবূ দারদা (রাঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন যে, এটা সঠিক তাফসীরই বটে।

أَأَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ

📘 Please check ayah 67:19 for complete tafsir.

أَمْ أَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا ۖ فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ

📘 Please check ayah 67:19 for complete tafsir.

وَلَقَدْ كَذَّبَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ

📘 Please check ayah 67:19 for complete tafsir.

أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَافَّاتٍ وَيَقْبِضْنَ ۚ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا الرَّحْمَٰنُ ۚ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ

📘 ১৬-১৯ নং আয়াতের তাফসীর এই আয়াতগুলোতেও আল্লাহ তা’আলা স্বীয় স্নেহ-মমতা ও করুণার বর্ণনা দিচ্ছেন যে, মানুষের কুফরী ও শিরকের ভিত্তিতে তিনি নানা প্রকারের পার্থিব শাস্তির উপরও পূর্ণ ক্ষমতাবান, কিন্তু এতদসত্ত্বেও এটা তাঁর সহনশীলতা ও ক্ষমাশীলতারই পরিচায়ক যে, তিনি শাস্তি দেন না। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃত পাপের কারণে পাকড়াও করতেন তবে ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারীদের কাউকেও তিনি ছাড়তেন না, কিন্তু এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তিনি তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন, অতঃপর যখনই ঐ নির্দিষ্ট সময় এসে পড়বে তখন তিনি তাঁর বান্দাদেরকে দেখে নিবেন।” (৩৫:৪৫)আর এখানে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তোমরা কি নিশ্চিত আছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে সহ ভূমিকে ধ্বসিয়ে দিবেন না আর ওটা আকস্মিকভাবে কাঁপতে থাকবে? অথবা তোমরা কি নিশ্চিত রয়েছে যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর কংকরবর্ষী ঝঞা প্রেরণ করবেন না? যেমন মহিমান্বিত আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমরা কি নিশ্চিত আছ যে, তিনি তোমাদেরকে স্থলে কোথাও ভূগর্ভস্থ করবেন না অথবা তোমাদের উপর কংকর বর্ষণ করবেন না? তখন তোমরা তোমাদের কোন কর্মবিধায়ক পাবে না।” (১৭:৬৮) অনুরূপভাবে এখানেও মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহ ধমকের সুরে ও ভীতি প্রদর্শন রূপে বলেনঃ তখন তোমরা জানতে পারবে কিরূপ ছিল আমার সতর্কবাণী! তোমরা দেখে নাও যে, যারা আমার সতর্কবাণীতে কর্ণপাত করে না তাদের পরিণতি কি হয়ে থাকে! তোমরা জেনে রেখো যে, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও আরোপ করেছিল এবং আমাকে অবিশ্বাস করেছিল, ফলে তাদেরকে শিক্ষামূলক শাস্তি দেয়া হয়েছিল। এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ তারা কি তাদের ঊর্ধদেশে পক্ষীকুলের প্রতি লক্ষ্য করে না, যারা পক্ষ বিস্তার করে ও সংকুচিত করে? করুণাময় আল্লাহই তাদেরকে স্থির রাখেন। এটা তাঁর করুণা যে, তিনি বায়ুকে ওদের অধীন করে দিয়েছেন। সৃষ্টজীবের প্রয়োজন সমূহ পূর্ণকারী এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণকারী একমাত্র আল্লাহ। তিনিই তাদের সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণকারী। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তারা কি ঐ পক্ষীকুলের প্রতি লক্ষ্য করে না যেগুলো আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে স্থির রয়েছে? আল্লাহই ওদেরকে স্থির রাখেন, নিশ্চয়ই এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।” (১৬:৭৯)

الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ

📘 Please check ayah 67:5 for complete tafsir.

أَمَّنْ هَٰذَا الَّذِي هُوَ جُنْدٌ لَكُمْ يَنْصُرُكُمْ مِنْ دُونِ الرَّحْمَٰنِ ۚ إِنِ الْكَافِرُونَ إِلَّا فِي غُرُورٍ

📘 Please check ayah 67:27 for complete tafsir.

أَمَّنْ هَٰذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ ۚ بَلْ لَجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ

📘 Please check ayah 67:27 for complete tafsir.

أَفَمَنْ يَمْشِي مُكِبًّا عَلَىٰ وَجْهِهِ أَهْدَىٰ أَمَّنْ يَمْشِي سَوِيًّا عَلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

📘 Please check ayah 67:27 for complete tafsir.

قُلْ هُوَ الَّذِي أَنْشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ ۖ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ

📘 Please check ayah 67:27 for complete tafsir.

قُلْ هُوَ الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ

📘 Please check ayah 67:27 for complete tafsir.

وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ

📘 Please check ayah 67:27 for complete tafsir.

قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُبِينٌ

📘 Please check ayah 67:27 for complete tafsir.

فَلَمَّا رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيئَتْ وُجُوهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَقِيلَ هَٰذَا الَّذِي كُنْتُمْ بِهِ تَدَّعُونَ

📘 ২০-২৭ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা মুশরিকদের বিশ্বাসকে খণ্ডন করছেন যারা ধারণা করতো যে, তারা যে বুযুর্গদের ইবাদত করছে তারা তাদেরকে সাহায্য করতে পারে এবং তাদেরকে আহার্য দান করতে তারা সক্ষম। তাই আল্লাহ পাক বলেনঃ আল্লাহ ছাড়া না কেউ সাহায্য করতে পারে, না আহার্য দান করতে পারে। কাফিরদের বিশ্বাস প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। তারা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে জীবনোপকরণ দান করবে, তিনি যদি জীবনোপকরণ বন্ধ করে দেন? অর্থাৎ আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তোমাদের জীবনোপকরণ বন্ধ করে দিলে কেউ তা চালু করতে পারে না। দেয়া-নেয়ার উপর, সৃষ্টি করার উপর, ধ্বংস করার উপর, জীবিকা দানের উপর এবং সাহায্য দানের উপর একমাত্র এক ও লা-শাতরীক আল্লাহই ক্ষমতাবান। এ লোকগুলো নিজেরাও এটা জানে, তথাপি কাজকর্মে তার সাথে অন্যদেরকে শরীক করে থাকে। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, এই কাফিররা নিজেদের ভ্রান্তি, পাপ এবং ঔদ্ধত্যের মধ্যে ভেসে চলেছে। তাদের স্বভাবের মধ্যে হঠকারিতা, অহংকার, সত্যের অস্বীকৃতি এবং হকের বিরুদ্ধাচরণ বাসা বেঁধেছে। এমন কি ভাল কথা শুনতেও তাদের মনে চায় না, আমল করা তো দূরের কথা। এরপর আল্লাহ পাক মুমিন ও কাফিরদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন যে, কাফিরদের দৃষ্টান্ত এমন যেমন কোন লোক মাথা ঝুঁকিয়ে, দৃষ্টি নিম্নমুখী করে চলতে রয়েছে, না সে পথ দেখছে, না তার জানা আছে যে, সে কোথায় চলছে, বরং উদ্বিগ্ন অবস্থায় পথ ভুলে হতভম্ব হয়ে গেছে। আর মুমিনের দৃষ্টান্ত এমন যেমন কোন লোক সরল সোজা পথে চলতে রয়েছে। রাস্তা খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং একেবারে সোজা, ওতে কোন বক্রতা নেই। ঐ লোকটির কাছে ওটা খুবই পরিচিত পথ। সে বরাবর সঠিকভাবে উত্তম চলনে চলতে আছে। কিয়ামতের দিন তাদের এই অবস্থাই হবে। কাফিরদেরকে উল্টোমুখে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে। আর মুসলমানরা সসম্মানে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ একত্রিত কর যালিম ও তাদের সহচরদেরকে এবং তাদেরকে যাদের ইবাদত করতো তারা আল্লাহর পরিবর্তে এবং তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে।” (৩৭:২২-২৩)মুসনাদে আহমাদে হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কিভাবে লোকদেরকে মুখের ভরে চালিত করা হবে?" উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “যিনি পায়ের ভরে চালিত করেছেন তিনি মুখের ভরে চালিত করতেও সক্ষম।” (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে)মহান আল্লাহ বলেনঃ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অর্থাৎ তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন যখন তোমরা উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিলে না। আর তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্তঃকরণ। অর্থাৎ তোমাদেরকে দিয়েছেন জ্ঞান, বুদ্ধি ও অনুভূতি শক্তি। কিন্তু তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো। অর্থাৎ আল্লাহ প্রদত্ত তোমাদের এ শক্তিগুলোকে তাঁর নির্দেশ পালনে এবং তাঁর অবাধ্যাচরণ হতে বেঁচে থাকার কাজে তোমরা অল্পই ব্যয় করে থাকো। তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তোমাদের ভাষা করেছেন পৃথক, বর্ণ ও আকৃতি করেছেন পৃথক পৃথক এবং তোমাদেরকে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এরপর তাঁরই নিকট তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে। অর্থাৎ তোমাদের এই বিভিন্নতা ও বিচ্ছিন্নতার পর তোমাদেরকে আল্লাহ তা'আলার নিকট একত্রিত করা হবে। তিনি যেভাবে তোমাদেরকে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে দিয়েছেন ঐ ভাবেই তিনি একদিকে গুটিয়ে নিবেন। আর যেভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন সেভাবেই তিনি তোমাদের পুনরুত্থান ঘটাবেন।এরপর আল্লাহ পাক বলেন যে, কাফিররা পুনরুত্থানকে বিশ্বাস করে না বলে এই পুনর্জীবন ও পুনরুত্থানের বর্ণনা শুনে প্রতিবাদ করে বলেঃ এই প্রতিশ্রুতি কখন বাস্তবায়িত হবে? অর্থাৎ আমাদেরকে যে পুনরুত্থানের সংবাদ দেয়া হচ্ছে তা যদি সত্য হয় তবে হে মুহাম্মাদ (সঃ)! আমাদেরকে বলে দাও, এটা কখন সংঘটিত হবে?তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তাদেরকে বলে দাওঃ কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে এ জ্ঞান আমার নেই। এর জ্ঞান তো একমাত্র আল্লাহ তা'আলারই রয়েছে। হ্যাঁ, আমাকে শুধু এটুকু জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, অবশ্যই ঐ সময় আসবে। আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। আমি তোমাদেরকে ঐ দিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করছি। আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য শুধু তোমাদের নিকট এসব খবর পৌঁছিয়ে দেয়া, যা আমি পালন করেছি। সুতরাং আল্লাহ পাকেরই জন্যে সমস্ত প্রশংসা।এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ যখন কিয়ামত সংঘটিত হতে শুরু করবে এবং কাফিররা তা স্বচক্ষে দেখে নিবে এবং জেনে নিবে যে, ওটা এখন নিকটবর্তী হয়ে গেছে, কেননা আগমনকারী প্রত্যেক জিনিসের আগমন ঘটবেই, তা সত্বরই হোক অথবা বিলম্বেই হোক, যখন তারা এটাকে সংঘটিত অবস্থায় পেয়ে নিবে যেটাকে তারা এ পর্যন্ত মিথ্যা মনে করছিল, তখন এটা তাদের কাছে খুবই অপ্রীতিকর মনে হবে। কেননা তারা নিজেদের উদাসীনতার প্রতিফল সামনে দেখতে পাবে। তখন তাদেরকে ধমকের সুরে এবং লাঞ্ছিত করার লক্ষ্যে বলা হবেঃ এটাই তো তোমরা চাচ্ছিলে!

قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِيَ اللَّهُ وَمَنْ مَعِيَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَنْ يُجِيرُ الْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ

📘 Please check ayah 67:30 for complete tafsir.

قُلْ هُوَ الرَّحْمَٰنُ آمَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا ۖ فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ

📘 Please check ayah 67:30 for complete tafsir.

الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَٰنِ مِنْ تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِنْ فُطُورٍ

📘 Please check ayah 67:5 for complete tafsir.

قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَأْتِيكُمْ بِمَاءٍ مَعِينٍ

📘 ২৮-৩০ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! যে মুশরিকরা আল্লাহ তা'আলার নিয়ামতরাজিকে অস্বীকার করছে তাদেরকে বলে দাও- তোমরা এটা কামনা করছে যে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে মনে কর যে, যদি আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্তই করেন অথবা তিনি আমার উপর এবং আমার সঙ্গীদের উপর দয়াপরবশ হন তবে তোমাদের তাতে কি? এর ফলে তোমাদের মুক্তি নেই। তোমাদের মুক্তির উপায় তো এটা নয়! মুক্তি তো নির্ভর করে তাওবার উপর, তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ার উপর এবং তাঁর দ্বীনকে মেনে নেয়ার উপর। আমাদের রক্ষা বা ধ্বংসের উপর তোমাদের মুক্তি নির্ভর করে না। সুতরাং আমাদের সম্পর্কে চিন্তা পরিত্যাগ করে নিজেদের মুক্তির উপায় অনুসন্ধান কর। এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ আমরা পরম করুণাময় আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি। আমাদের সমস্ত কাজ কারবারে আমরা তাঁরই উপর নির্ভর করি। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ “তোমরা তাঁরই ইবাদত কর এবং তাঁরই উপর ভরসা কর।” (১১:১২৩)মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি মুশরিকদেরকে আরো বলে দাও- শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে। অর্থাৎ হে মুশরিকরা! তোমরা অচিরেই জানতে পারবে যে, দুনিয়া ও আখিরাতে কে পরিত্রাণ লাভ করে আর কে হয় ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত। হিদায়াতের উপর কে রয়েছে, আর কার উপর আল্লাহর গযব পতিত হয়েছে এবং মন্দ পথে আছে কে?মহামহিমান্বিত আল্লাহ এরপর বলেনঃ যে পানির উপর মানুষের জীবন নির্ভরশীল এই পানি যদি যমীন শোষণ করে নেয় অর্থাৎ এই পানি যদি ভূগর্ভ হতে বেরই না হয় এবং তা বের করার জন্যে তোমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও যদি অসমর্থ হও তবে আল্লাহ ছাড়া কেউ আছে কি যে এই প্রবহমান পানি তোমাদেরকে এনে দিতে পারে? অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কেউই তোমাদেরকে এ পানি এনে দিতে পারে না। একমাত্র আল্লাহই এর উপর ক্ষমতাবান। তিনিই আল্লাহ যিনি তাঁর ফযল ও করমে পবিত্র ও স্বচ্ছ পানি ভূ-পৃষ্ঠে প্রবাহিত করে থাকেন যা এদিক হতে ওদিকে চলাচল করে এবং বান্দাদের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা মানুষের প্রয়োজন অনুপাতে নদী প্রবাহিত করে থাকেন।

ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ

📘 Please check ayah 67:5 for complete tafsir.

وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ

📘 মুসনাদে আহমাদে হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কুরআন কারীমে ত্রিশটি আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা রয়েছে যা ওর পাঠকের জন্যে সুপারিশ করতে থাকবে যে পর্যন্ত না তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। ওটা হলো (আরবি)-এই সূরাটি। (এ হাদীসটি সুনানে নাসাঈ, সুনানে আবি দাউদ, জামেউত তিরমিযী এবং সুনানে ইবনে মাজাহতেও বর্ণিত হয়েছে। ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান বলেছেন) ‘তারীখে ইবনে আসাকির’ গ্রন্থে হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে একটি লোক মারা যায়। তার সাথে আল্লাহর কিতাবের মধ্য হতে সূরা ‘তাবারাকা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তাকে সমাধিস্থ করা হলে ফেরেশতা এসে তার সামনে দাঁড়িয়ে যান। এ দেখে এ সূরাটি ফেরেশতার মুখোমুখি হয়ে যায়। তখন ফেরেশতা সূরাটিকে বলেনঃ “তুমি আল্লাহর কিতাব। সুতরাং আমি তোমাকে অসন্তুষ্ট করতে চাইনে। তোমার জানা আছে যে, আমি তোমার এই মৃতের এবং আমার নিজের লাভ ক্ষতির কোন অধিকার রাখি না। সুতরাং তুমি যদি একে (কবরের আযাব হতে) রক্ষা করতে চাও তবে তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট গমন কর এবং এর জন্যে সুপারিশ কর।” এ সূরাটি তখন মহামহিমান্বিত আল্লাহর নিকট গমন করলো এবং বললোঃ “হে আমার প্রতিপালক! অমুক ব্যক্তি আপনার কিতাবের মধ্য হতে আমাকে শিখেছে ও পাঠ করেছে। সুতরাং আমি তার বক্ষে রক্ষিত আছি এমতাবস্থায়ও কি আপনি তাকে আগুনে ফেলে শাস্তি দিবেন? যদি তাই করেন তবে আমাকে আপনার কিতাব হতে মুছে ফেলুন। তার এই কথা শুনে আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেনঃ “তোমাকে তো এ সময় খুবই রাগান্বিত দেখছি।" সে জবাবে বললোঃ “অসন্তুষ্টি প্রকাশের আমার অধিকার রয়েছে।” আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তখন তাকে বললেনঃ যাও, আমি ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমার সুপারিশ কবূল করলাম।” এই সূরাটি তখন ঐ লোকটির কাছে ফিরে গেলো এবং আযাবের ফেরেশতাকে সরিয়ে দিলো। অতঃপর ঐ মৃত ব্যক্তির মুখের সাথে নিজের মুখ মিলিয়ে দিয়ে বললোঃ “এ মুখকে ধন্যবাদ! এই মুখই তো আমাকে পাঠ করতো। এই বক্ষকে মুবারকবাদ! এই বক্ষই তো আমাকে মুখস্থ করে রেখেছিল। ধন্য এ পা দু’টি! এ পা দু’টিই তো আমাকে পাঠের সাথে রাত্রে দাঁড়িয়ে থাকতে।" এ সূরাটি কবরে তাকে কোন প্রকারের দুঃখ কষ্ট পৌঁছতে দিবে না।” বর্ণনাকারী বলেন যে, এ হাদীসটি শোনা মাত্রই ছোট-বড়, আযাদ-গোলাম সবাই এই সূরাটি শিখে নিলো। এই সূরাটির নাম রাসূলুল্লাহ (সঃ) (আরবি) রেখেছেন অর্থাৎ মুক্তিদাতা সূরা। (এ হাদীসটি মুনকার বা অস্বীকৃত। ফুরাত ইসায়েব নামক এর একজন বর্ণনাকারীকে ইমাম আহমাদ (রঃ), ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মুঈন (রঃ), ইমাম বুখারী (রঃ), ইমাম আবূ হাতিম (রঃ), ইমাম দারকুতনী (রঃ) প্রমুখ গুরুজন দুর্বল বলেছেন। অন্য সনদে বর্ণিত আছে যে, এটা ইমাম যুহরী (রঃ)-এর উক্তি, মারফূ’ হাদীস নয়) ইমাম বায়হাকী (রঃ) ইসতাতু আবিল কাবরি’ নামক গ্রন্থে হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে একটি মারফূ’ এবং একটি মাওকুফ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে যে বিষয়টি রয়েছে, সেটাও এর সাক্ষীরূপে কাজে লাগতে পারে। আমরা এটাকে আহকামি কুবরার কিতাবুল জানায়েযের মধ্যে বর্ণনা করেছি। সুতরাং আল্লাহ তা'আলারই জন্যে সমস্ত প্রশংসা এবং আমরা তাঁর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কুরআন কারীমে এমন একটি সূরা রয়েছে যা তার পাঠকের পক্ষ হতে আল্লাহ তা’আলার সাথে ঝগড়া ও তর্ক-বিতর্ক করে তাকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করেছে। ওটা হলো (আরবি)-এই সূরাটি।” (এ হাদীসটি তিবরানী (রঃ)-এর হাফিয যিয়া মুকাদ্দসী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ)-এর কোন একজন সাহাবী জঙ্গলের এমন এক জায়গায় তার তাঁবু স্থাপন করেন, যেখানে একটি কবর ছিল। কিন্তু ওটা তাঁর জানা ছিল না। তিনি শুনতে পান যে কে যেন সূরা মূলক পাঠ করছেন এবং পূর্ণ সূরাটি পাঠ করেন। ঐ সাহাবী এসে নবী (সঃ)-এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করেন। এটা শুনে নবী (সঃ) বলেনঃ “এ সূরাটি হলো বাধাদানকারী এবং মুক্তিদাতা। এটা কবরের আযাব থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। (এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা গারীব বা দুর্বল হাদীস)হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) শয়নের পূর্বে (আরবি) এবং (আরবি) সূরা দু’টি পাঠ করতেন। (এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) হযরত তাউস (রঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, এ সূরা দু’টি কুরআন কারামের অন্যান্য সূরাগুলোর উপর সত্তরটি পুণ্যের ফযীলত রাখে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি চাই যে, এ সূরাটি যেন আমার উম্মতের প্রত্যেকের অন্তরেই থাকে। অর্থাৎ (আরবি)-এই সূরাটি।” (এ হাদীসটি ইমাম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা গারীর হাদীসু এর ইবরাহীম নামক বর্ণনাকারী দুর্বল। এ ধরনেরই বর্ণনা সূরা ইয়াসীনের তাফসীরে গত হয়েছে)মুসনাদে আবদ ইবনে হুমাইদে কিছুটা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) একজন লোককে বলেনঃ “এসো, আমি তোমাকে এমন একটি উপহার দিই যাতে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে যেতে পার। (তা হলো এই যে,) তুমি (আরবি) সূরাটি পাঠ করবে এবং পরিবারবর্গকে, সন্তান- সন্তুতিকে এবং পাড়া-প্রতিবেশীকে এটা শিখিয়ে দিবে। এ সূরাটি মুক্তিদাতা এবং সুপারিশকারী। কিয়ামতের দিন এটা এই পাঠকের পক্ষ হতে আল্লাহ তা'আলার নিকট সুপারিশ করে তাকে আগুনের শাস্তি হতে বাঁচিয়ে নিবে এবং কবরের আযাব হতেও রক্ষার ব্যবস্থা করবে।”রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি আকাক্ষা করি যে, আমার উম্মতের প্রত্যেকের অন্তরেই যেন এ সূরাটি থাকে। ১-৫ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা নিজের প্রশংসা করছেন এবং খবর দিচ্ছেন যে, সমস্ত মাখলূকের উপর তাঁরই আধিপত্য রয়েছে। তিনি যা চান তাই করেন। তাঁর হুকুমকে কেউ টলাতে পারে না। তাঁর শক্তি, হিকমত এবং ন্যায়পরায়ণতার কারণে কেউ তাঁর কাছে কোন কৈফিয়ত তলব করতে পারে না। তিনি সব কিছুর উপরই পূর্ণ ক্ষমতাবান।এরপর আল্লাহ পাক মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টির বর্ণনা দিয়েছেন। এ আয়াত দ্বারা ঐ লোকগুলো দলীল গ্রহণ করেছেন। যাঁরা বলেন যে, মৃত্যুর অস্তিত্ব রয়েছে। কেননা, ওটাকেও সৃষ্টি করা হয়েছে। এ আয়াতের ভাবার্থ এই যে, আল্লাহ তা'আলা সমস্ত মাখলূকের অস্তিত্বহীনতাকে অস্তিত্বে আনয়ন করেছেন যাতে সকৎর্মশীলদের পরীক্ষা হয়ে যায়। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ “তোমরা কিরূপে আল্লাহকে অস্বীকার কর? অথচ তোমরা ছিলে মৃত, তিনি তোমাদেরকে জীবন্ত করেছেন।” (২৪:২৮) সুতরাং প্রাথমিক অবস্থা অর্থাৎ অস্তিত্বহীনতাকে এখানে মৃত বলা হয়েছে এবং সৃষ্টিকে জীবন্ত বলা হয়েছে। এ জন্যেই এর পরে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আবার তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন ও পুনরায় জীবন্ত করবেন।” (২:২৮)মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে হ্যরত কাতাদাহ (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) আল্লাহ তা'আলার (আরবি)-এই উক্তি সম্পর্কে বলেনঃ “আল্লাহ তা'আলা আদম সন্তানকে মৃত্যু দ্বারা লাঞ্ছিত করেন এবং তিনি দুনিয়াকে জীবনের ঘর বানিয়ে দেন, তারপর বানিয়ে দেন মৃত্যুর ঘর। আর আখিরাতকে তিনি প্রতিফল ও প্রতিদানের ঘর বানিয়ে দেন, তারপর বানিয়ে দেন চিরস্থায়ী ঘর। (অন্য জায়গায় এই রিওয়াইয়াটিই হযরত কাতাদাহ (রঃ)-এর নিজের উক্তি বলে বর্ণিত হয়েছে)মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমাদেরকে পরীক্ষা করবার জন্যে- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? অধিক কর্মশীল নয়, বরং উত্তম কর্মশীল। আল্লাহ তা’আলা মহাপরাক্রমশালী হওয়া সত্ত্বেও অবাধ্য ও উদ্ধত লোকেরা তাওবা করলে তাদের জন্যে তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীলও বটে।এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ। অর্থাৎ উপর নীচ করে সৃষ্টি করেছেন, একটির উপর অপরটিকে। কেউ কেউ এ কথাও বলেছেন যে, একটির উপর অপরটি মিলিতভাবে রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় উক্তি এই যে, মধ্যভাগে জায়গা রয়েছে এবং একটি হতে অপরটি পর্যন্ত দূরত্ব রয়েছে। সর্বাধিক সঠিক উক্তি এটাই বটে। মিরাজের হাদীস দ্বারাও এটাই প্রমাণিত হয়।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না। বরং তুমি দেখবে যে, ওটা সমান রয়েছে। না তাতে আছে কোন হের-ফের, না কোন গরমিল। আবার তুমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি অত্যন্ত গভীর দৃষ্টিতে দেখো তো, কোথাও কোন ফাটা-ফুটা ও ছিদ্র পরিলক্ষিত হয় কি? এরপরেও যদি সন্দেহ হয় তবে বারবার দৃষ্টি ফিরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। অর্থাৎ বারবার দৃষ্টি ফিরালেও তুমি আকাশে কোন প্রকারের ত্রুটি দেখতে পাবে না এবং তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ-মনোরথ হয়ে ফিরে আসবে।অপূর্ণতা ও দোষ-ত্রুটির অস্বীকৃতি জানিয়ে এখন পূর্ণতা সাব্যস্ত করতে গিয়ে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা অর্থাৎ নক্ষত্রপুঞ্জ দ্বারা, যেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু চলাফেরা করে এবং কতকগুলো স্থির থাকে। এরপর ঐ নক্ষত্রগুলোর আরো একটি উপকারিতা বর্ণনা করছেন যে ওগুলোর দ্বারা শয়তানদেরকে মারা হয়। ওগুলো হতে অগ্নি শিখা বের হয়ে ঐ শয়তানদের উপর নিক্ষিপ্ত হয়, এ নয় যে, স্বয়ং তারকাই তাদের উপর ভেঙ্গে পড়ে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। শয়তানদের জন্যে তো দুনিয়ায় এ শাস্তি, আর আখিরাতে আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। যেমন সূরা সাফফাতের শুরুতে রয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ “আমি নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী, শয়তান হতে। ফলে তারা উর্ধ জগতের কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং তাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে বিতাড়নের জন্যে এবং তাদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি। তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে।” (৩৭:৬-১০)হযরত কাতাদাহ (রঃ) বলেন যে, তারকারাজ তিনটি উপকারের জন্যে সৃষ্টি হয়েছে। (এক) আকাশের সৌন্দর্য, (দুই) শয়তানদের মার এবং (তিন) পথ প্রাপ্তির নিদর্শন। যে ব্যক্তি এ তিনটি ছাড়া অন্য কিছু অনুসন্ধান করে সে তার নিজের মতের অনুসরণ করে এবং নিজের বিশুদ্ধ ও সঠিক অংশকে হারিয়ে ফেলে আর অধিক জ্ঞান ও বিদ্যা না থাকা সত্ত্বেও নিজেকে বড় জ্ঞানী বলে প্রমাণিত করার কৃত্রিমতা প্রকাশ করে।” (এটা ইমাম জারীর (রঃ) ও ইমাম আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ

📘 Please check ayah 67:11 for complete tafsir.

إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ

📘 Please check ayah 67:11 for complete tafsir.

تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ ۖ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ

📘 Please check ayah 67:11 for complete tafsir.

قَالُوا بَلَىٰ قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ

📘 Please check ayah 67:11 for complete tafsir.