Al-A'raaf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَنَزَعَ يَدَهُۥ فَإِذَا هِىَ بَيْضَآءُ لِلنَّٰظِرِينَ ﴾
“and he drew forth his hand, and lo! it appeared [shining] white to the beholders.”
১০৭-১০৮ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত মূসা (আঃ) স্বীয় লাঠিখানা সামনে নিক্ষেপ করলেন। তখনই ওটা আল্লাহর কুদরতে একটা বিরাট অজগর সাপে পরিণত হলো এবং ফিরাউনের দিকে বেগে ধাবিত হলো। ফিরাউন তখন সিংহাসন থেকে লাফিয়ে পড়লো এবং চীকার করে হযরত মূসা (আঃ)-কে বলে উঠলোঃ “হে মূসা (আঃ)! ওকে টেনে নাও।' তিনি তখন ওকে টেনে ধরলেন। তৎক্ষণাৎ ওটা লাঠি হায়ে গেলো। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, যখন ঐ সাপটি হা করলো তখন ওর নীচের চোয়াল ছিল মাটিতে এবং উপরের চোয়াল ছিল দালানের দেয়ালের উপর। যখন ওটা ফিরাউনের দিকে ধাবিত হলো তখন সে কেঁপে উঠলো ও লাফিয়ে পড়ে পালাতে লাগলো এবং চীকার করে বলে উঠলো- “হে মূসা (আঃ)! ওকে ধরে নাও। আমি তোমার উপর ঈমান আনছি এবং বানী ইসরাঈলকে তোমার সাথে পাঠিয়ে দিচ্ছি।” হযরত মূসা (আঃ) তখন ওটাকে ধরে নিলেন। তেমনই ওটা পুনরায় লাঠি হয়ে গেল। মূসা (আঃ) যখন ফিরাউনের কাছে এসেছিলেন তখন সে বলেছিলঃ “হে মূসা (আঃ)! তুমি কে তা আমি বলবো কি?” হযরত মূসা (আঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, বল। সে বললোঃ “তুমি তো ঐ ব্যক্তিই যে আমার কাছেই লালিত পালিত হয়ে বড় হয়েছে” হযরত মূসা (আঃ) তার উত্তর দিয়ে দিলে সে তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। মূসা (আঃ) তখন তার লাঠিখানা মাটিতে নিক্ষেপ করেন। তৎক্ষণাৎ ওটা বিরাট এক অজগরে পরিণত হয়ে চলতে শুরু করে এবং জনগণের উপর আক্রমণ করে বসে। জনগণের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। ঐ হুড় হাঙ্গামার মধ্যে পঁচিশ হাজার লোক প্রাণ হারায়। ফিরাউন পালিয়ে গিয়ে স্বীয় প্রাসাদে প্রবেশ করে। এই বর্ণনাটি খুবই দুর্বল। আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারী।এখন ইরশাদ হচ্ছে-মূসা (আঃ)-এর দ্বিতীয় মু'জিযা ছিল এই যে, যখন তিনি জামার মধ্যে হাত ভরে তা বের করতেন তখন ওটা সীমাহীন আলোকময় হয়ে উঠতো এবং এমন চাকচিক্যময় ও উজ্জ্বল হতো যে, ওর দিকে চোখ ধরা যেতো না। ওর আলোর মধ্যে কোনই ক্রটি ছিল না। যখন তিনি তাঁর সেই হাতকে আস্তিনের মধ্যে প্রবেশ করাতেন তখন ওটা পূর্বরূপ ধারণ করতো।