slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 116 من سورة سُورَةُ الأَعۡرَافِ

Al-A'raaf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ قَالَ أَلْقُوا۟ ۖ فَلَمَّآ أَلْقَوْا۟ سَحَرُوٓا۟ أَعْيُنَ ٱلنَّاسِ وَٱسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَآءُو بِسِحْرٍ عَظِيمٍۢ ﴾

“He answered: "You throw [first]." And when they threw down [their staffs], they cast a spell upon the people's eyes, and struck them with awe, and produced mighty sorcery.”

📝 التفسير:

১১৫-১১৬ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে হযরত মূসা (আঃ) ও যাদুকরদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সংগ্রাম সম্পর্কীয় কথোপকথনের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। যাদুকররা হযরত মূসা (আঃ)-কে সম্বোধন করে বললোঃ “হে মূসা (আঃ)! তুমিই কি প্রথমে তোমার বিস্ময়কর বস্তু নিক্ষেপ করবে, না আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করবো?” হযরত মূসা (আঃ) উত্তরে বললেনঃ “তোমরাই প্রথমে নিক্ষেপ কর।” এতে মূসা (আঃ)-এর নিপুণতা এই ছিল যে, প্রথমে জনগণ যাদুকরদের কলাকৌশল পর্যবেক্ষণ করবে এবং ঐ ব্যাপারে চিন্তা গবেষণা করবে। যখন তাদের এই প্রতারণামূলক কার্যকলাপের মহড়া শেষ হবে তখন তারা হযরত মূসা (আঃ)-এর সত্য ও বাস্তব কার্যকলাপের দিকে মনোযোগ দেবে যার জন্যে তারা অপেক্ষমান ছিল এবং সেটা তখন স্পষ্টরূপে তাদের সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়বে। কেননা, সত্য ও বাস্তব জিনিস অনুসন্ধানের পর তা প্রাপ্ত হলে সেটা অন্তরের উপর বেশী দাগ কেটে থাকে। আর হলোও তাই। এখন আল্লাহ বলেনঃ “যখন যাদুকরগণ তাদের দড়ি ও লাঠিগুলো মাটিতে নিক্ষেপ করলো তখন তারা যাদুর মাধ্যমে দর্শকদের নযরবন্দী করে দিলো। তারা তখন এমনভাবে দেখতে থাকলো যে, যা কিছু তারা দেখতে আছে তা যেন সবই বাস্তব। অথচ ঐ লাঠিগুলো ও রজ্জ্বগুলো প্রকৃতপক্ষে লাঠি ও রজ্জ্বই ছিল। দর্শকদের শুধুমাত্র এটা ধারণা ও খেয়াল ছিল যে, ঐগুলো সাপ।” তাই ইরশাদ হচ্ছে- “তাদের যাদুর কারণে মনে হচ্ছিল যে, ওগুলো পিল পিল করে চলছে। এ দেখে মূসা (আঃ) আতংকিত হয়। তখন আমি (আল্লাহ) বললাম, ভয় করো না, জয়যুক্ত তুমিই হবে। তোমার লাঠিখানা তুমিও মাটিতে ফেলে দাও। এটা সাপ হয়ে গিয়ে ঐ সাপগুলোকে গিলে ফেলবে। এ যাদু তো প্রতারণা মাত্র। এই যাদুকরগণ কৃতকার্য হতে পারে না।” মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রঃ) বলেন যে, পনেরো হাজার যাদুকর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যেক যাদুকরের সাথেই দড়ি ও লাঠি ছিল। মূসা (আঃ) তার ভাই হারূন (আঃ)-কে নিয়ে লাঠি খাড়া করে বেরিয়ে পড়লেন এবং প্রতিযোগিতার মাঠে হাযির হলেন। ফিরাউন সভাষদবর্গসহ সিংহাসনে উপবিষ্ট ছিল। যাদুকরগণ সর্বপ্রথম যাদু দ্বারা হযরত মূসা (আঃ)-এর ন্যরবন্দী করে। তারপর ফিরাউন ও জনগণের চোখে ভেলকি লাগিয়ে দেয়। তারপর প্রত্যেক যাদুকর স্বীয় রঞ্জু ও লাঠি নিক্ষেপ করে। ওগুলো সাপ হয়ে যায়। সারা ময়দান সাপে ভরে যায়। একের উপর এক পিল পিল করে চলতে থাকে। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, যাদুকরদের সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজারেও বেশী। সবারই সাথে ছিল লাঠি ও রঞ্জু। সর্ব সাধারণেরও ন্যরবন্দী হয়ে যায়। সুতরাং মাঠের এই দৃশ্য দেখে সবাই ভীত হয়ে পড়ে। ইবনে আবি বাররাহ (রাঃ) বলেন যে, ফিরাউন সত্তর হাজার যাদুকরকে আহ্বান করেছিল। সর হাজার রঞ্জু ও সত্তর হাজার লাঠি সর্পের আকার ধারণ করে পিল পিল করে চলছিল। এ জন্যেই আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তারা খুব বড় রকমের যাদু দেখিয়েছিল।