Al-A'raaf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَسْـَٔلْهُمْ عَنِ ٱلْقَرْيَةِ ٱلَّتِى كَانَتْ حَاضِرَةَ ٱلْبَحْرِ إِذْ يَعْدُونَ فِى ٱلسَّبْتِ إِذْ تَأْتِيهِمْ حِيتَانُهُمْ يَوْمَ سَبْتِهِمْ شُرَّعًۭا وَيَوْمَ لَا يَسْبِتُونَ ۙ لَا تَأْتِيهِمْ ۚ كَذَٰلِكَ نَبْلُوهُم بِمَا كَانُوا۟ يَفْسُقُونَ ﴾
“And ask them about that town which stood by the sea: how its people would profane the Sabbath whenever their fish came to them, breaking the water's surface, on a day on which they ought to have kept Sabbath -because they would not come to them on other than Sabbath-days! Thus did We try them by means of their [own] iniquitous doings.”
আল্লাহ পাকের উক্তি ছিলঃ (আরবী) অর্থাৎ “ঐ লোকদের খবর তোমাদের জানা আছে যারা শনিবারের দিনের ব্যাপারে সীমালংঘন করেছিল।” (২:৬৫) এই আয়াতের আলোকেই এখানকার এই আয়াতটির ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে ইরশাদ করছেনঃ “হে নবী (সঃ)! যেসব ইয়াহূদী তোমাদের পার্শ্বে রয়েছে তাদেরকে ঐলোকদের ঘটনা জানিয়ে দাও যারা আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। ফলে তাদেরকে তাদের ঔদ্ধত্যপনার আকস্মিক শাস্তি প্রদান করা হয়েছিল। এসব ইয়াহূদীকে খারাপ পরিণাম থেকে ভয় প্রদর্শন কর যারা তোমার সেই গুণাবলীকে গোপন করছে যা তারা তাদের কিতাবে পাচ্ছে, না জানি তাদের উপরও ঐ শাস্তি এসে পড়ে যা তাদের পূর্ববর্তী ইয়াহূদীদের উপর এসে পড়েছিল।” ঐ বস্তি বা জনপদের নাম ছিল আয়লা। ওটা কুলযুম নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। আর এই আয়াতে সমুদ্রের তীরবর্তী যে জনপদের কথা বলা হয়েছে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনানুযায়ী ওর নাম হচ্ছে ‘আয়লা’ যা মাদইয়ান ও ভূরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। (এটাই ইকরামা (রঃ), মুজাহিদ (রঃ), কাতাদা (রঃ) এবং সুদ্দীরও (রঃ) উক্তি) আবার এ উক্তিও রয়েছে যে, ওর নাম ‘মাতনা' যা মাদইয়ান ও আয়নার মধ্যস্থলে অবস্থিত। (আরবী)-এর ভাবার্থ হচ্ছে-তারা শনিবারের দিনের ব্যাপারে আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। ঐদিন মাছগুলো স্বাধীনভাবে পানির উপর ভেসে উঠতো এবং কিনারায় ছড়িয়ে পড়তো। কিন্তু শনিবার ছাড়া অন্য দিনে পানির ধারে কখনই আসতো না। আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি এরূপ কেন করেছিলাম? এর দ্বারা আমার উদ্দেশ্য ছিল শুধু তাদের আনুগত্যের পরীক্ষা করা যে, আমার আদেশ তারা মেনে চলছে কি-না! যেদিন মৎস্য শিকার হারাম ছিল সেদিন মাছগুলো আশাতীতভাবে নদীর ধারে এসে জমা হয়ে যেতো। আবার যেদিনগুলোতে মাছ ধরা হালাল ছিল ঐ সময় ঐগুলো লুকিয়ে যেতো। এটা ছিল একটা পরীক্ষা। কেননা, তারা আল্লাহর আনুগত্য স্বীকারের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রকারের কৌশল অনুসন্ধান করেছিল এবং নিষিদ্ধ কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে গোপন দরজা দিয়ে প্রবেশের ইচ্ছা করেছিল। তাই, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “তোমরা এমন কাজে জড়িয়ে পড়ো না যে কাজে ইয়াহূদীরা জড়িয়ে পড়েছিল যে, তারা কৌশল খুঁজে খুঁজে হারামকে হালাল করে নিয়েছিল। (ইবনে কাসীর (সঃ) বলেন যে, এ হাদীসের ইসনাদ উত্তম এবং এর বর্ণনাকারীরা মাশহর ও নির্ভরযোগ্য)