Al-A'raaf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَلِلَّهِ ٱلْأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ فَٱدْعُوهُ بِهَا ۖ وَذَرُوا۟ ٱلَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِىٓ أَسْمَٰٓئِهِۦ ۚ سَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ﴾
“AND GOD'S [alone] are the attributes of perfection; invoke Him, then, by these, and stand aloof from all who distort the meaning of His attributes: they shall be requited for all that they were wont to do!”
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এগুলোকে বিশেষ সময়ে পাঠ করবে বা গণনা করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ তা'আলা স্বয়ং বেজোড় (এক)। তাই তিনি বেজোড়কেই পছন্দ করেন।” ঐ পবিত্র নামগুলো নিম্নরূপ : (আরবী) এ হাদীসটি গারীব বা দুর্বল। এভাবে এই নামগুলো সুনানে ইবনে মাজাহতেও এসেছে। কোন কোন বুযুর্গ ব্যক্তির ধারণা এই যে, এই নামগুলো বর্ণনাকারিগণ কুরআন মাজীদ থেকে ছাঁটাই করে এনেছেন। আল্লাহ তা'আলাই সর্বাপেক্ষা সঠিক জ্ঞানের অধিকারী। একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, আল্লাহ তা'আলার শুধু এই নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, আর নেই, এটা নয়। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ কাউকে যখন কোন দুঃখ-কষ্ট পৌছবে তখন সে যেন এ দুআটি পড়ে- (আরবী) তাহলে আল্লাহ তা'আলা তার দুঃখ-চিন্তা দূর করে দিবেন এবং ঐ স্থানে খুশী আনয়ন করবেন। তখন জিজ্ঞেস করা হলোঃ “আমরা কি এটা মুখস্থ করবো না?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “ হ্যাঁ, বরং যেই এটা শুনবে তারই মুখস্থ করে নেয়া উচিত।” কোন কোন লোক তো কুরআন ও সুন্নাহ্ হতে আল্লাহ তা'আলার এক হাজার নাম বের করেছেন।ইরশাদ হচ্ছে- ‘যারা আল্লাহর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন কর। কাফিররা আল্লাহর নামের সাথে (আরবী) শব্দটিকেও যোগ করে দেয়। তারা ‘লাত'-কে আল্লাহর স্ত্রীলিঙ্গ বলে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিকা)। (আরবী) শব্দটিকে তারা (আরবী) থেকে বের করে থাকে এবং এটাকেও স্ত্রী খোদা বলে। (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা। আর আরবদের পরিভাষায় মধ্যম পন্থা থেকে সরে যাওয়াকে (আরবী) বলা হয়। (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে কবর ! কবরকে (আরবী) এজন্যেই বলা হয় যে, ওটাকে কিবলার দিকে ফিরিয়ে তৈরী করা হয়ে থাকে।