Al-A'raaf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ قَالَ فِيهَا تَحْيَوْنَ وَفِيهَا تَمُوتُونَ وَمِنْهَا تُخْرَجُونَ ﴾
“there shall you live" - He added - "and there shall you die, and thence shall you be brought forth [on Resurrection Day]!”
২৪-২৫ নং আয়াতের তাফসীর: জান্নাত হতে নীচে নেমে যাওয়ার এ সম্বোধন আদম (আঃ), হাওয়া (আঃ) ও ইবলীসকে করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ সাপকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কেননা সাপই আদম (আঃ) ও ইবলীসের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ জন্যেই সূরায়ে তা’হায় আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ “তোমরা সবাই নেমে যাও।” হাওয়া (আঃ) তো আদম (আঃ)-এর বাধ্যই ছিলেন। আর সাপকেও যদি এদের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয় তবে সে ছিল ইবলীসের অনুগত। মুফাসসিরগণ ঐ স্থানগুলোর উল্লেখ করেছেন যেগুলোতে তারা নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এসব খবর ইসরাঈলিয়াত হতে নেয়া হয়েছে। এগুলোর সত্যাসত্য সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই অবহিত রয়েছেন। যেসব স্থানে তারা পতিত হয়েছিল সেগুলোর নির্দিষ্ট করণে যদি কোন উপকারিতা থাকতো তবে অবশ্যই আল্লাহ পাক সেগুলো উল্লেখ করতেন অথবা হাদীসে কোন জায়গায় বর্ণিত হতো। ইরশাদ হচ্ছে- পৃথিবীই তোমাদের বাসস্থান হবে এবং মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই তোমাদের জীবন ধারণের উপযোগী সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটা ভাগ্যেও লিখা ছিল এবং লাওহে মাহফুযেও তা লিপিবদ্ধ ছিল। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, (আরবী) শব্দ দ্বারা কবর অথবা পৃথিবীর উপরিভাগ ও তলদেশ বুঝানো হয়েছে।ঘোষিত হচ্ছে-এখন তোমাদেরকে পৃথিবীতেই জীবন-যাপন করতে হবে, সেখানেই তোমরা মৃত্যুবরণ করবে এবং সেখান থেকেই পুনরায় উত্থিত হবে । যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি তোমাদেরকে মাটি দ্বারাই সৃষ্টি করেছি, মাটিতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেবো এবং পুনরায় তোমাদেরকে মাটি থেকেই বের করবো।” (২০:৫৫) আল্লাহ তাআলা সংবাদ দিচ্ছেন যে, আদম (আঃ)-এর জীবন পর্যন্ত পৃথিবীকে বাসস্থান বানানো হয়েছে। জীবিতাবস্থায় সে এখানেই থাকবে, এখানেই মৃত্যুবরণ করবে, এখানেই তার কবর হবে এবং কিয়ামতের দিন তাকে এখান থেকেই উঠানো হবে। অতঃপর স্বীয় আমলের হিসাব দিতে হবে।