slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 49 من سورة سُورَةُ الأَعۡرَافِ

Al-A'raaf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ أَهَٰٓؤُلَآءِ ٱلَّذِينَ أَقْسَمْتُمْ لَا يَنَالُهُمُ ٱللَّهُ بِرَحْمَةٍ ۚ ٱدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلَآ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ ﴾

“Are those [blessed ones] the self-same people of whom you once solemnly declared, `Never will God bestow His grace upon them'? [For now they have been told,] `Enter paradise; no fear need you have, and neither shall you grieve!"'”

📝 التفسير:

৪৮-৪৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা এখানে সেই তিরস্কারের বর্ণনা দিচ্ছেন যা আ'রাফবাসীরা কিয়ামতের দিন মুশরিকদের নেতৃবর্গকে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত দেখে করবে। তারা তাদেরকে সম্বোধন করে বলবে- “আজকে তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদের কোন উপকারে আসলো না এবং তোমাদের গর্ব-অহংকার ও দুষ্টামি আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করার ব্যাপারে তোমাদের কোনই উপকার করলো না। তোমরা আজ শাস্তির শিকার হয়ে গেলে।” এই মুশরিকরাই আ'রাফবাসীদের সম্বন্ধে শপথ করে বলতো যে, তারা কখনো আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করবে না। এখন আল্লাহ তা'আলা আ'রাফবাসীদেরকে বলবেন- যাও, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর। তোমাদের কোন ভয়ও নেই এবং তোমরা দুঃখিত ও চিন্তিতও হবে না।হযরত হুযাইফা (রাঃ) বলেন যে, আ'রাফবাসী হচ্ছে ঐসব লোক যাদের আমল সমান সমান। অর্থাৎ এতোটা নয় যে, জান্নাতে যেতে পারে এবং এরূপও নয় যে, জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়। সুতরাং তারা আ'রাফের মধ্যে থেকে জাহান্নামবাসী ও জান্নাতবাসীকে তাদের চেহারা দেখেই চিনে নেবে। কিয়ামতের দিন যখন সমস্ত বান্দার ফায়সালা হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তা'আলা শাফাআত করার অনুমতি প্রদান করবেন। লোকেরা হযরত আদম (আঃ)-এর কাছে এসে বলবে- আপনি আমাদের পিতা। সুতরাং আপনি আল্লাহ পাকের নিকট আমাদের জন্যে সুপারিশ করুন!' তিনি বলবেনঃ “তোমরা কি জান যে, আল্লাহ আমাকে ছাড়া আর কাউকেও স্বহস্তে বানিয়েছেন এবং ওর মধ্যে স্বীয় বিশেষ রূহ্ কুঁকে দিয়েছেন? আর তোমরা এটাও কি জান যে, ফেরেশতারা আমাকে ছাড়া আর কাউকেও সিজদাহ করেছেন?” জনগণ উত্তরে বলবে না।' তখন হযরত আদম (আঃ) বলবেনঃ “কিন্তু আমিও আল্লাহর সত্তার রহস্য সম্পর্কে অবহিত নই। আমার তো সুপারিশ করার ক্ষমতা নেই। তোমরা আমার সন্তান হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর কাছে যাও।” জনগণ হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর কাছে যাবে এবং তাঁকে সুপারিশ করার আবেদন জানাবে। তিনি বলবেনঃ “আল্লাহ আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে কি স্বীয় খলীল (দোস্ত) বলে ঘোষণা করেছেন? আর আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে কি তার কওম অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছে?” লোকেরা বলবেঃ না।' তিনি বলবেনঃ “আমি শাফাআত করতে পারছি না। আমি আল্লাহর রহস্য অবগত নই। তোমরা হযরত মূসা (আঃ)-এর কাছে যাও।” হযরত মূসা (আঃ) বলবেনঃ “আমাকে ছাড়া আল্লাহ আর কারো সাথে সরাসরি কথা বলেননি। তথাপি আমিও আল্লাহর হাকীকত সম্পর্কে জ্ঞান রাখি না। তোমরা হযরত ঈসা (আঃ)-এর কাছে যাও।” হযরত ঈসা (আঃ) বলবেনঃ “আল্লাহ আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে কি বিনা বাপে সৃষ্টি করেছেন? আমি ছাড়া অন্য কেউ কি কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য দান করতে পেরেছে, যার কোন চিকিৎসা নেই? আর আমি ছাড়া অন্য কেউ কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম হয়েছে?” জনগণ উত্তরে বলবে না।' তিনি বলবেনঃ “আমিও কিন্তু আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে অজ্ঞ। আমি আমার নিজের চিন্তাতেই ব্যস্ত। তোমরা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর কাছে যাও।” (রাসূলুল্লাহ সঃ বলেন) জনগণ তখন আমার কাছে আসবে। আমি তখন বুকে হাত মেরে বলবো- হ্যা, আমি তোমাদের জন্যে সুপারিশ করবো। তারপর আমি আল্লাহর আরশের সামনে দাঁড়াবো। সেই সময় আল্লাহ পাকের প্রশংসায় আমার মুখ এমনভাবে খুলে যাবে যে, এরূপ প্রশংসা তোমরা কখনও শুননি। অতঃপর আমি সিজদায় পড়ে যাবো। আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তুমি মাথা উঠাও। কি চাও, বল। শাফাআত করলে তোমার শাফাআত কবুল করা। হবে।” আমি তখন মাথা উঠিয়ে পুনরায় আল্লাহ পাকের গুণকীর্তন করবো। এরপর আবার সিজদায় পড়ে যাবো। আবার বলা হবে- “মাথা উঠাও এবং আবেদন পেশ কর।” আমি তখন মাথা উঠিয়ে আরয করবোঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার উম্মতকে ক্ষমা করে দিন । আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “হ্যা ক্ষমা করে দিলাম।” এই অবস্থা দেখে এমন কোন প্রেরিত রাসূল এবং কোন ফেরেশতা থাকবেন না যিনি হিংসা করবেন না। এটাই হচ্ছে মাকামে মাহমুদ।তারপর আমি সমস্ত উম্মতকে নিয়ে জান্নাতের দিকে পা বাড়াবো। আমার জন্যে জান্নাতের দরজা খুলে যাবে। এরপর এই সমস্ত উম্মতকে নাহরে হায়াত' নামক নদীতে নিয়ে যাওয়া হবে, যার উভয় তীর মনিমুক্তা ও হীরা জহরত দ্বারা বাঁধানো থাকবে। ওর মাটি হবে মিক এবং ওর পাথর হবে ইয়াকূত। এ লোকগুলো ঐ নদীতে গোসল করবে এবং তাদের দেহের রং জান্নাতীদের মত হয়ে যাবে। আর তাদের দেহ থেকে জান্নাতীদের সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়বে। তাদেরকে দেখে মনে হবে। যেন তারা উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্তু তাদের বক্ষের উপর উজ্জ্বল চিহ্ন থাকবে, যা দ্বারা তাদেরকে চেনা যাবে। তাদেরকে মাসাকীনে আহলিল জান্নাহ’ বলা হবে।