slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 30 من سورة سُورَةُ الأَنفَالِ

Al-Anfaal • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ ۚ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ ٱللَّهُ ۖ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلْمَٰكِرِينَ ﴾

“AND [remember, O Prophet,] how those who were bent on denying the truth were scheming against thee, in order to restrain thee [from preaching], or to slay thee, or to drive thee away: thus have they [always] schemed: but God brought their scheming to nought-for God is above all schemers.”

📝 التفسير:

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), মুজাহিদ (রঃ) এবং কাতাদা (রঃ) বলেন যে, (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে কয়েদ বা বন্দী করা । আতা (রঃ) এবং ইবনে যায়েদ (রঃ) বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছে হাস্ বা অবরোধ করা। আর সুদ্দী (রঃ) বলেন। যে, (আরবী) -এর অর্থ হচ্ছে (আরবী) ও (আরবী) অর্থাৎ অবরোধ করা ও বেঁধে ফেলা। এর মধ্যে সবগুলো অর্থই রয়েছে। ভাবার্থ হচ্ছে- তারা তোমার সাথে কোন মন্দ ব্যবহারের ইচ্ছা পোষণ করে। আতা (রঃ) বলেনঃ “আমি উবায়েদ ইবনে উমায়েরকে বলতে শুনেছি যে, যখন কাফিররা নবী (সঃ)-কে বন্দী করার বা হত্যা করার অথবা দেশান্তরিত করার ষড়যন্ত্র করে তখন তাকে তার চাচা আবু তালিব জিজ্ঞেস করেন, কাফিররা তোমার বিরুদ্ধে কি ষড়যন্ত্র করেছে তা তুমি জান কি?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “তারা আমাকে বন্দী করতে বা হত্যা করতে অথবা নির্বাসিত করতে চায়।” আবু তালিব আবার জিজ্ঞেস করেন, এ সংবাদ তোমাকে কে জানিয়েছে? তিনি জবাব দেনঃ “আমার প্রতিপালক আমাকে এ সংবাদ জানিয়েছেন।” আবু তালিব তখন বলেন, তোমার প্রতিপালক খুবই উত্তম প্রতিপালক। তার কাছে উত্তম উপদেশ প্রার্থনা কর। তখন নবী (সঃ) বলেনঃ “আমি তার কাছে উত্তম উপদেশই চাচ্ছি এবং তিনি সদা আমাকে উত্তম উপদেশই প্রদান করবেন।” সত্য কথা তো এই যে, এখানে আবু তালিবের আলোচনা বড়ই বিস্ময়কর ব্যাপার এমন কি প্রত্যাখ্যান যোগ্য। কেননা, এটা হচ্ছে মাদানী আয়াত। আর এই ঘটনা এবং কুরায়েশদের এভাবে পরামর্শকরণ সংঘটিত হয়েছিল হিজরতের রাত্রে। অথচ আবু তালিবের মৃত্যু ঘটেছিল এর তিন বছর পূর্বে। আবূ তালিবের মৃত্যুর কারণেই তো কাফিররা এতোটা দুঃসাহস দেখাতে পেরেছিল। কেননা, আবু তালিব সদা সর্বদা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাজে সাহায্য ও সহায়তা করতেন এবং তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে কুরায়েশদের সাথে মুকাবিলা করতেন।হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, কুরায়েশ নেতৃবর্গের একটি দল রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে একটি পরামর্শ সভায় মিলিত হয়। ঐ সভায় ইবলীসও একজন মর্যাদা সম্পন্ন বৃদ্ধের বেশে উপস্থিত হয়। জনগণ তাকে জিজ্ঞেস করেঃ “আপনি কে?” সে উত্তরে বলেঃ “আমি নাজদবাসী একজন শায়েখ । আপনারা পরামর্শ সভা আহ্বান করেছেন। জেনে আমিও সভায় হাযির হয়েছি, যেন আপনারা আমার উপদেশ ও সৎ পরামর্শ থেকে বঞ্চিত না হন।" তখন কুরায়েশ নেতৃবর্গ তাকে অভিনন্দন জানালো। সে তাদেরকে বললোঃ “আপনারা এই লোকটির (মুহাম্মাদ সঃ-এর) ব্যাপারে অত্যন্ত চিন্তাভাবনা ও তদবীরের সাথে কাজ করুন। নতুবা খুব সম্ভব সে আপনাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে বসবে।” সুতরাং একজন মত প্রকাশ করলোঃ “তাকে বন্দী করা হাক, শেষ পর্যন্ত সে বন্দী অবস্থাতেই ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন ইতিপূর্বে কবি যুহাইর ও নাবেগাকে বন্দী করা হয়েছিল এবং ঐ অবস্থাতেই তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। এও তো একজন কবি।” এ কথা শুনে ঐ নাজদী বৃদ্ধ চীৎকার করে বলে উঠলোঃ “আমি এতে কখনই একমত নই। আল্লাহর শপথ! তার প্রভু তাকে সেখান থেকে বের করে নেবে। ফলে সে তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে যাবে। অতঃপর সে তোমাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে তোমাদের সবকিছু ছিনিয়ে নেবে এবং তোমাদেরকে তোমাদের শহর থেকে বের করে দেবে।” লোকেরা তার এ কথা শুনে বললোঃ “শায়েখ সত্য কথা বলেছেন। অন্য মত পেশ করা হাক।” অন্য একজন তখন বললোঃ “তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হাক, তা হলেই তোমরা শান্তি পাবে। সে যখন এখানে থাকবেই না, তখন তোমাদের আর ভয় কিসের? তার সম্পর্ক তোমাদের ছাড়া অন্য কারো সাথে থাকবে। এতে তোমাদের কি হবে?” তার এ কথা শুনে ঐ বৃদ্ধ বললোঃ “আল্লাহর কসম! এ মতও সঠিক নয়। সে যে মিষ্টভাষী তা কি তোমাদের জানা নেই। সে মধু মাখানো কথা দ্বারা মানুষের মন জয় করে নেবে। তোমরা যদি এই কাজ কর তাহলে সে আরবের বাইরে গিয়ে সারা আরববাসীকে একত্রিত করবে। তারা সবাই সম্মিলিতভাবে তোমাদের উপর হামলা করে বসবে এবং তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে। আর তোমাদের সম্ভ্রান্ত লোকদেরকে হত্যা করে ফেলবে।” লোকেরা বললোঃ “শায়েখ সাহেব ঠিক কথাই বলেছেন। অন্য একটি মত পেশ করা হাক।” তখন আবু জেহেল বললোঃ “আমি একটা পরামর্শ দিচ্ছি । তোমরা চিন্তা করে দেখলে বুঝতে পারবে যে, এর চেয়ে উত্তম মত আর হতে পারে না। প্রত্যেক গোত্র থেকে তোমরা একজন করে যুবক বেছে নাও যারা হবে বীর পুরুষ ও সম্ভ্রান্ত। সবারই কাছে তরবারী থাকবে। সবাই সম্মিলিতভাবে হঠাৎ করে তাকে তরবারীর আঘাত করবে। যখন সে নিহত হয়ে। যাবে তখন তার রক্ত সকল গোত্রের মধ্যে বণ্টিত হয়ে যাবে। এটা কখনও সম্ভব নয় যে, বানু হাশিমের একটি গোত্র সমস্ত গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। বাধ্য হয়ে বানু হাশিমকে রক্তপণ গ্রহণ করতে হবে। আমরা তাদেরকে রক্তপণ দিয়ে দিবো এবং শান্তি লাভ করবো।” তার এ কথা শুনে নাজদী বৃদ্ধ বললোঃ “আল্লাহর কসম! এটাই হচ্ছে সঠিকতম মত। এর চেয়ে উত্তম মত আর হতে পারে না।” সুতরাং সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গেল এবং এরপর সভা ভঙ্গ হলো। অতঃপর হযরত জিবরাঈল (আঃ) আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বললেনঃ “আজকে রাত্রে আপনি বিছানায় শয়ন করবেন না।” এ কথা বলে তিনি তাকে কাফিরদের ষড়যন্ত্রের কথা অবহিত করলেন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঐ রাত্রে নিজের বিছানায় শয়ন করলেন না এবং তখনই আল্লাহ তা'আলা তাঁকে হিজরতের নির্দেশ দিলেন। মদীনায় আগমনের পর আল্লাহ পাক তার উপর সূরায়ে আনফাল অবতীর্ণ করলেন। স্বীয় নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তারা ষড়যন্ত্র করতে থাকে এবং আল্লাহ তা'আলাও (স্বীয় নবীকে সঃ রক্ষা করার) তদবীর ও ফিকির করতে থাকেন, আল্লাহ হচ্ছেন সর্বাধিক উত্তম তদবীরকারক।” তাদের উক্তি ছিলঃ (আরবী) অর্থাৎ “তার ব্যাপারে তোমরা মৃত্যু ঘটবার অপেক্ষা কর, শেষ পর্যন্ত সে ধ্বংস হয়ে যাবে।” ঐ দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঅর্থাৎ “তারা কি বলে- এ ব্যক্তি কবি, আমরা তার ব্যাপারে মৃত্যু ঘটারই অপেক্ষা করছি।” (৫২:৩০) তাই ঐ দিনের নামই রেখে দেয়া হয় অর্থাৎ “দুঃখ-বেদনার দিন।” কেননা, ঐ দিন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তাদের সেই দুরভিসন্ধির আলোচনা নিম্নের আয়াতে রয়েছে-(আরবী) অর্থাৎ “তারা এই ভূমি হতে তোমাকে উৎখাত করতে উদ্যত হয়েছিল, যেন তোমাকে তথা হতে বের করে দেয়, আর যদি এরূপ ঘটে যেতো তবে তারাও তোমার পর (এখানে) অতি অল্প সময় টিকে থাকতে পারতো।” (১৭:৭৬) নবী (সঃ) আল্লাহ তাআলার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন। যখন কুরায়েশরা তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিলো তখন হযরত আলী (রাঃ)-কে ডেকে তিনি নির্দেশ দিলেনঃ “তুমি আমার বিছানায় শুয়ে পড়।" হযরত আলী (রাঃ) তখন সবুজ চাদর গায়ে দিয়ে তার বিছানায় শুয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বাইরে বের হলেন। লোকদেরকে তিনি দরজার উপর দেখতে পেলেন। তিনি এক মুষ্টি মাটি নিয়ে তাদের দিকে নিক্ষেপ করলেন। ফলে তাদের চক্ষু নবী (সঃ)-এর দিক থেকে ফিরে গেল। তিনি সূরায়ে ইয়াসীনের (আরবী) হতে (আরবী) (৩৬:১-৯) পর্যন্ত আয়াতগুলো পাঠ করতে করতে বেরিয়ে গেলেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত ফাতিমা (রাঃ) কাঁদতে কাঁদতে নবী (সঃ)-এর কাছে আসলেন। তিনি তাকে কাঁদার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “আমি না কেঁদে পারি কি? কুরায়েশের লোকেরা লাত উযযার নামে শপথ করে বলেছে যে, আপনাকে দেখা মাত্রই আক্রমণ চালিয়ে তারা হত্যা করে ফেলবে এবং তাদের প্রত্যেকেই আপনার হত্যায় অংশগ্রহণ করতে চায়।” এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে বললেনঃ “হে আমার প্রিয় কন্যা! আমার জন্যে অযুর পানি নিয়ে এসো।” তিনি অযু করে বায়তুল্লাহর দিকে চললেন। কুরায়েশরা তাঁকে দেখেই বলে উঠলোঃ “এই যে তিনি।” কিন্তু সাথে সাথেই তাদের মাথাগুলো নীচের দিকে ঝুঁকে পড়লো এবং গর্দানগুলো বাঁকা হয়ে গেল। তারা তাদের চক্ষুগুলো উঠাতে পারলো না। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এক মুষ্টি মাটি নিয়ে তাদের দিকে নিক্ষেপ করলেন এবং বললেনঃ “চেহারাগুলো নষ্ট হয়ে যাক।” যার গায়েই এই কংকর লেগেছিল সে-ই বদরের যুদ্ধে কাফির অবস্থায় নিহত হয়েছিল। (হাকিম (রঃ) বলেনঃ “এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ)-এর শর্তের উপর সহীহ। তারা দুজন এটা তাখরীজ করেননি এবং এর কোন দোষ-ত্রুটি আমার জানা নেই।”) মোটকথা, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হিজরত করে (সওরের) গুহায় পৌছেন। হযরত আবু বকর (রাঃ) সাথে ছিলেন। মুশরিকরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বাড়ী অবরোধ করে থাকে। হযরত আলী (রাঃ)-কেই তারা মুহাম্মাদ (সঃ) মনে করতে থাকে। সকাল হলে তারা তার ঘরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু ঘরে হযরত আলী (রাঃ)-কে দেখতে পায়। এভাবে আল্লাহ তাদের সমস্ত অভিসন্ধি নস্যাৎ করে দেন। তারা হযরত আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেঃ “মুহাম্মাদ (সঃ) কোথায়?" তিনি উত্তরে বলেনঃ “আমি তার কোন খবর জানি না। তারা তখন তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে চলতে থাকে। পাহাড়ের নিকটবর্তী হলে তাদের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়। সুতরাং তারা পাহাড়ের উপর উঠে পড়ে। গুহার সামনে দিয়ে চলার সময় তারা দেখতে পায় যে, গুহার মুখে মাকড়সায় জাল বুনিয়ে রেখেছে। তাই তারা পরস্পর বলাবলি করেঃ “গুহার মধ্যে মানুষ প্রবেশ করলে ওর মুখে কখনো মাকড়সার এত বড় জাল ঠিক থাকতো না।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঐ গুহার মধ্যে তিনদিন পর্যন্ত অবস্থান করেন। তাই আল্লাহ পাক বলেনঃ “তারা ষড়যন্ত্র করতে থাকে এবং আল্লাহ তা'আলাও (স্বীয় নবীকে সঃ রক্ষা করার) তদবীর করতে থাকেন, আল্লাহ হচ্ছেন সর্বাধিক উত্তম তদবীরকারক।” অর্থাৎ হে নবী (সঃ)! তুমি লক্ষ্য কর যে, কিভাবে তদবীর করে আমি তোমাকে ঐসব কাফিরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছি।