At-Tawba • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَءَاخَرُونَ مُرْجَوْنَ لِأَمْرِ ٱللَّهِ إِمَّا يُعَذِّبُهُمْ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيْهِمْ ۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌۭ ﴾
“And [there are yet] others-[people whose cases are] deferred until God wills to judge them: He will either chastise them or turn again unto them in His mercy-for God is all-knowing, wise.”
ইবনে আব্বাস (রাঃ), মুজাহিদ (রঃ), ইকরামা (রঃ), যহহাক (রঃ) প্রমুখ গুরুজন বলেন যে, তাঁরা ছিলেন তিন ব্যক্তি যাদের তাওবা ককূল হওয়ার ব্যাপারটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তারা হচ্ছেন মারারা ইবনে রাবী (রাঃ), কাব ইবনে মালিক (রাঃ) এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া (রাঃ)। তারা তাপূর্কের যুদ্ধে ঐ লোকদের সাথেই রয়ে গিয়েছিলেন যারা অলসতা ও আরামপ্রিয়তার কারণে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। আর একটি কারণ ছিল এই যে, তাঁদের বাগানের ফল পেকে গিয়েছিল এবং সময়টা ছিল মনোমুগ্ধকর ও চিত্তাকর্ষক বসন্তকাল। তাদের যুদ্ধের প্রতি অবহেলা সন্দেহ ও নিফাকের কারণে ছিল না। তাঁদের মধ্যে কতক লোক এমনও ছিলেন যারা নিজেদেরকে স্তম্ভের সাথে বেঁধে ফেলেছিলেন। যেমন আবু লুবাবাহ্ ও তাঁর সঙ্গীরা। অন্যান্য কতকগুলো লোক এরূপ করেননি। তাঁরা ছিলেন উপরোল্লিখিত তিন ব্যক্তি। আবু লুবাবাহ (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের তাওবা এঁদের পূর্বেই কবুল হয়েছিল। এই তিন ব্যক্তির তাওবা কবুল হওয়ার ব্যাপারে বিলম্ব হয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তাআলা আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহ নবী (সঃ), মুহাজির এবং আনসারের তাওবা কবুল করে নিয়েছেন (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) আর ঐ তিন ব্যক্তির তাওবাও আল্লাহ ককূল করে নিয়েছেন যারা যুদ্ধ থেকে পিছনে রয়ে গিয়েছিল, এমন কি এতো প্রশস্ত যমীনও তাদের কাছে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল এবং কোন জায়গাতেই তারা আশ্রয় পাচ্ছিল না।” (৯:১১৭-১১৮) যেমন কাব ইবনে মালিক (রাঃ)-এর হাদীসের বর্ণনা আসছে।আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ (আরবী) অর্থাৎ এটা আল্লাহর ইচ্ছাধীন রয়েছে, তিনি ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন এবং ইচ্ছা করলে তাদের তাওবা কবূল করবেন (এবং ক্ষমা করে দিবেন)। কিন্তু আল্লাহর রহমত তার গযবের উপর জয়যুক্ত। কে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য এবং কে ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য তা তিনি ভালরূপেই জানেন। তিনি তার কাজে ও কথায় বিজ্ঞানময় এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন মা'বুদ ও প্রতিপালক নেই।