slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 45 من سورة سُورَةُ التَّوۡبَةِ

At-Tawba • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ إِنَّمَا يَسْتَـْٔذِنُكَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَٱرْتَابَتْ قُلُوبُهُمْ فَهُمْ فِى رَيْبِهِمْ يَتَرَدَّدُونَ ﴾

“only those ask thee for exemption who do not [truly] believe in God and the Last Day and whose hearts have become a prey to doubt, so that in their doubting they waver between one thing and another.”

📝 التفسير:

৪৩-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর: ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আউন (রাঃ) স্বীয় সাথীদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা কি এর চেয়ে উত্তম তিরস্কারের কথা শুনেছেন? মহান আল্লাহ স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে তিরস্কারপূর্ণ কথা বলার পূর্বেই তাকে ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ “(হে নবী!) আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বটে, কিন্তু কেন তুমি তাদেরকে যুদ্ধ হতে অব্যাহতির অনুমতি দিয়েছো?" (ইবনে জারীর (রঃ) তাখরীজ করেছেন যে, পূর্বে কোন নির্দেশ ছাড়াই নবী দু’টি কাজ করেছেন। একটি হলো মুনাফিকদের যুদ্ধ হতে অব্যাহতির অনুমতি দান এবং দ্বিতীয় হলো বদরের বন্দীদের নিকট থেকে ফিদিয়া গ্রহণ । তখন আল্লাহ তা'আলা ঐ আয়াত অবতীর্ণ করেন) এরপর তিনি সূরায়ে নূরে আয়াত অবতীর্ণ করে তাঁর রাসূল (সঃ)-কে অবকাশ দেন যে, তিনি ইচ্ছা করলে তাদেরকে অনুমতি দিতে পারেন। তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তাদের কেউ যদি কোন কাজ ও ব্যস্ততার কারণে তোমার কাছে। যুদ্ধের অব্যাহতির অনুমতি প্রার্থনা করে তবে তুমি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা অনুমতি দিতে পার।" (২৪:৬২) মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, সূরায়ে তাওবার এ আয়াতটি ঐ লোকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয় যারা পরস্পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে যুদ্ধ হতে অব্যাহতির অনুমতি প্রার্থনা করবে। যদি অনুমতি মিলে যায় তবে তো ভাল কথা। আর যদি তিনি অনুমতি নাও দেন তবুও তারা যুদ্ধে গমন করবে না। এ জন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, যদি তারা অনুমতি লাভ না করতো তবে এটুকু লাভ তো অবশ্যই হতো যে, সত্য ওষরকারী ও মিথ্যা। বাহানাকারীদের মধ্যে পার্থক্য প্রকাশ পেয়ে যেতো। ভাল ও মন্দ এবং সৎ ও অসতের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি হতো। অনুগত লোকেরা তো হাযির হয়েই যেতো। আর অবাধ্য লোকেরা যুদ্ধ হতে অব্যাহতি লাভের অনুমতি না পেয়েও বের হতো না। কেননা, তারা তো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েই ছিল যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে অনুমতি দিন আর নাই দিন, তারা যুদ্ধে গমন করবেই না। এ জন্যেই আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে ঘোষণা করেন- এটা সম্ভব নয় যে, খাঁটি ঈমানদার লোকেরা তোমার কাছে যুদ্ধ হতে অব্যাহতি লাভের অনুমতি প্রার্থনা করবে। তারা তো জিহাদকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় মনে করে নিজেদের জান ও মালকে আল্লাহর পথে উৎসর্গ করতে সর্বদা আকাক্ষী। আল্লাহ তাআলা এই পরহেযগার লোকদেরকে ভালরূপেই অবগত আছেন। আর এ লোকগুলো, যাদের শরীয়ত সম্মত কোনই ওর নেই, যারা শুধু বাহানা করে যুদ্ধ হতে অব্যাহতি লাভের অনুমতি প্রার্থনা করছে তারা বেঈমান লোক। তারা আখিরাতের পুরস্কারের কোন আশা রাখে না। হে নবী! তারা এখনও তোমার শরীয়তের ব্যাপারে সন্দিহান রয়েছে এবং তারা সদা উদ্বিগ্ন হয়ে ফিরছে। তারা এক পা সামনের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে তো আর এক পা পিছনের দিকে সরাচ্ছে। তাদের কোন ধৈর্য ও মনের স্থিরতা নেই। তারা না আছে এদিকে, না আছে। ওদিকে। হে নবী! আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তার জন্যে কোন পথ পাবে না।