At-Tawba • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ يَحْذَرُ ٱلْمُنَٰفِقُونَ أَن تُنَزَّلَ عَلَيْهِمْ سُورَةٌۭ تُنَبِّئُهُم بِمَا فِى قُلُوبِهِمْ ۚ قُلِ ٱسْتَهْزِءُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ مُخْرِجٌۭ مَّا تَحْذَرُونَ ﴾
“[Some of] the hypocrites dread lest a [new] surah be revealed [in evidence] against them, making them understand what is [really] in their hearts. Say: "Go on mocking! Behold, God will bring to light the very thing that you are dreading!"”
কাতাদা (রঃ) বলেন যে, তারা (মুনাফিকরা) পরস্পর আলাপ আলোচনা করতো, কিন্তু সাথে সাথে এ আশংকাও করতো যে, না জানি আল্লাহ তাআলা হয়তো অহীর মারফত মুসলিমদেরকে তাদের গুপ্ত কথা জানিয়ে দিবেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেনঃ “(হে নবী)! যখন তারা (মুনাফিকরা) তোমার কাছে আগমন করে তখন তোমাকে এমনভাবে সম্বোধন করে যেভাবে আল্লাহ তোমাকে সম্বোধন করেন না, অতঃপর তারা মনে মনে বলে- আমরা যা বলছি তার কারণে আল্লাহ আমাদেরকে শাস্তি দিচ্ছে না কেন? (এই মুনাফিকদের জেনে রাখা উচিত যে,) জাহান্নামই তাদের জন্যে যথেষ্ট, ওর মধ্যে তারা প্রবেশ করবে, আর ওটা খুবই নিকৃষ্ট স্থান। এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন, হে মুনাফিকরা! তোমরা মুসলিমদের অবস্থার উপর মন খুলে উপহাসমূলক কথা বলে নাও। কিন্তু জেনে রেখো যে, তোমাদের মনের সমস্ত গুপ্ত কথা আল্লাহ প্রকাশ করে দিবেন। আরো স্মরণ রেখো যে, একদিন তোমরা লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবেই। যেমন আল্লাহ পাক আর এক জায়গায় বলেনঃ “অন্তরে ব্যাধিযুক্ত এই লোকগুলো কি ধারণা করেছে যে, আল্লাহ তাদের অন্তরের শক্রতাকে কখনো প্রকাশ করবে না? আর হে নবী (সঃ)! আমি যদি ইচ্ছা করতাম তবে তোমাকে তাদের পূর্ণ পরিচয় বলে দিতাম, তখন তুমি তাদেরকে তাদের আকৃতি দ্বারাই চিনতে পারতে, তবে তুমি তাদেরকে তাদের কথার ধরনে অবশ্যই চিনতে পারবে; আর আল্লাহ তোমাদের সকলের কার্যাবলী অবগত আছেন। এ জন্যেই কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এই সূরারই নাম হচ্ছে “সূরায়ে ফাযিহাহ্। কেননা, এই সূরায় মুনাফিকদের মুখোশ খুলে দেয়া হয়েছে।