At-Tawba • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ كَيْفَ يَكُونُ لِلْمُشْرِكِينَ عَهْدٌ عِندَ ٱللَّهِ وَعِندَ رَسُولِهِۦٓ إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّمْ عِندَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ۖ فَمَا ٱسْتَقَٰمُوا۟ لَكُمْ فَٱسْتَقِيمُوا۟ لَهُمْ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ ﴾
“HOW COULD they who ascribe divinity to aught beside God be granted a covenant by God and His Apostle, unless it be those [of them] with whom you [O believers] have made a covenant in the vicinity of the Inviolable House of Worship? [As for the latter,] so long as they remain true to you, be true to them: for, verily, God loves those who are conscious of Him.”
এখানে আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত হুকুমের হিকমত বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুশরিকদেরকে চার মাস অবকাশ দেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনুমতি দানের কারণ এই যে, তারা শিরক ও কুফরী পরিত্যাগ করবে না এবং সন্ধি ও চুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিতও থাকবে না। হ্যা, তবে হুদায়বিয়ার সন্ধি তাদের পক্ষ থেকে যে পর্যন্ত ভেঙ্গে না দেয়া হয় সেই পর্যন্ত তোমরাও তা ভেঙ্গে দেবে। হুদায়বিয়ায় দশ বছরের জন্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ষষ্ঠ হিজরীর যুলকাদা মাস হতে রাসূলুল্লাহ (সঃ) চুক্তির মেয়াদ অতিক্রম করে চলছিলেন। শেষ পর্যন্ত কুরায়েশদের পক্ষ থেকে এ চুক্তি ভেঙ্গে দেয়া হয়। তাদের মিত্র বানু বকর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মিত্র খুযাআ’র উপর আক্রমণ চালিয়ে দেয়। এমন কি হারাম শরীফের মধ্যেও তাদেরকে হত্যা করে। এটার উপর ভিত্তি করেই। রাসূলুল্লাহ (সঃ) অষ্টম হিজরীর রমযান মাসে কুরায়েশদের উপর আক্রমণ চালান। আল্লাহ রাব্বল আলামীন তাঁকে মক্কা মুকাররামার উপর বিজয় দান করেন এবং তাদের উপর তাকে ক্ষমতার অধিকারী করেন। কিন্তু তিনি বিজয় ও ক্ষমতা লাভ করা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে যারা ইসলাম কবূল করে তাদেরকে আযাদ করে দেন। (আরবী) তাদেরকেই বা মুক্ত বলা হয়। তারা সংখ্যায় প্রায় দুই হাজার ছিল। আর যারা কুফরীর উপরই ছিল এবং এদিক ওদিক পালিয়ে গিয়েছিল, বিশ্ব শান্তির দূত মুহাম্মাদ (সঃ) তাদেরকে সাধারণভাবে আশ্রয় প্রদান করেছিলেন এবং মক্কায় আগমনের ও সেখানে নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থানের অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, চার মাস পর্যন্ত তারা যেখানে ইচ্ছা সেখানেই আসা-যাওয়া করতে পারে। তাদের মধ্যেই ছিলেন সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রাঃ) ও ইকরামা ইবনে আবি জেহেল (রাঃ) প্রমুখ। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দান করেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁর প্রতিটি কাজে ও পরিমাপ করণে প্রশংসিত।