slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 78 من سورة سُورَةُ التَّوۡبَةِ

At-Tawba • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ أَلَمْ يَعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَىٰهُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ عَلَّٰمُ ٱلْغُيُوبِ ﴾

“Do they not know that God knows [all] their hidden thoughts and their secret confabulations, and that God knows fully all the things that are beyond the reach of human perception'?”

📝 التفسير:

৭৫-৭৮ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেন, এই মুনাফিকদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছে যে, যদি তিনি তাদেরকে সম্পদশালী করে দেন। তবে তারা খুবই দান-খয়রাত করবে এবং সৎ লোক হয়ে যাবে । অতঃপর যখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধনী বানিয়ে দিলেন এবং তাদের অবস্থা স্বচ্ছল হয়ে গেল তখন সে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে দিলো ও কৃপণতা করতে শুরু করলো। এর শাস্তি স্বরূপ আল্লাহ তা'আলা তাদের অন্তরে চিরদিনের জন্যে নিফাক বা কপটতা সৃষ্টি করে দিলেন। এ আয়াতটি সা’লাবা ইবনে হাতিব আনসারীর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। যে নবী (সঃ)-কে বলেঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাকে ধন-সম্পদ দান করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেনঃ “যে অল্প মালের তুমি শাকরিয়া আদায় করবে তা ঐ অধিক মাল হতে উত্তম যার তুমি শাকরিয়া আদায় করতে সক্ষম হবে না।” সে দ্বিতীয়বার ঐ প্রার্থনাই করলো । তখন নবী (সঃ) তাকে বললেনঃ “তুমি কি নিজের অবস্থা আল্লাহর নবী (সঃ)-এর মত রাখা পছন্দ কর নী? যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। তার শপথ! আমি যদি ইচ্ছা করি যে, পাহাড়গুলো সোনা ও রূপা হয়ে আমার সাথে চলতে থাকুক তবে অবশ্যই সেগুলো সেভাবেই চলতে থাকবে। সে বললোঃ “যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন তাঁর শপথ! যদি আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন, অতঃপর তিনি আমাকে ধন-সম্পদ দান করেন তবে আমি অবশ্যই প্রত্যেক হকদারকে তার হক প্রদান করবো।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি সা’লাবাকে ধন-সম্পদ দান করুন। ফলে তার বকরীগুলো এতো বেশী বৃদ্ধি পায় যেমনভাবে পোকা মাকড়গুলো বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এমন কি মদীনা শরীফ তার পশুগুলোর পক্ষে সংকীর্ণ হয়ে গেল। সুতরাং সে মদীনা থেকে দূরে চলে গেলো। যোহর ও আসরের সালাত সে জামাআতের সাথে আদায় করতো বটে, কিন্তু অন্যান্য সালাত জামাআতের সাথে আদায় করতে পারতো না। তার পশুগুলো আরো বৃদ্ধি পায়, ফলে তাকে আরো দূরে চলে যেতে হয়। এখন শুধু জুমআ ছাড়া তার সমস্ত জামাআত ছুটে যায়। মাল আরো বেড়ে গেল। ক্রমে ক্রমে সে জুমআর জামাআতে হাযির হওয়াও ছেড়ে দিলো। যেসব যাত্রীদল জুমআয় হাযির হতো তাদেরকে সে জুমআর আলোচিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতো। একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা সব কিছু বর্ণনা করে দেয়। তখন তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আর এদিকে আয়াত নাযিল হয়ে যায়। (আরবী) অর্থাৎ “তাদের মাল থেকে সাদকা (যাকাত) নিয়ে নাও।” (৯৪ ১০৩) সাদকার আহকামও নাযিল হয়। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সঃ) মুসলিমদের নিকট থেকে যাকাত আদায় করার জন্যে দু’জন লোককে প্রেরণ করেন। একজন ছিলেন জুহাইনা গোত্রের লোক এবং অপরজন ছিলেন সুলাইম গোত্রের লোক। কিভাবে তারা মুসলিমদের নিকট থেকে যাকাত আদায় করবেন তা তিনি তাঁদেরকে লিখে দেন। আর তাদেরকে বলেনঃ “তোমরা দু'জন সালাবার নিকট থেকে এবং বানু সুলাইমের অমুক ব্যক্তির নিকট থেকে যাকাত গ্রহণ কর।” সুতরাং তারা দু’জন সা'লাবার কাছে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নির্দেশনামা দেখালেন এবং যাকাত চাইলেন। সে তখন বললোঃ “এটা তো জিযিয়ার বোন ছাড়া কিছুই নয়! এটা কি তা আমি বুঝতে পারছি না। আচ্ছা। এখন যাও, ফিরবার পথে এসো।” তখন তারা দু'জন চলে আসলেন। তাঁদের সংবাদ সুলাইম গোত্রের লোকটির নিকট পৌঁছলে তিনি উত্তম উটগুলো বের করে আনলেন এবং ওগুলো নিয়ে নিজেই তাদের কাছে আসলেন। তাঁরা ঐ জন্তুগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেনঃ “এগুলো তোমার উপর ওয়াজিবও নয় এবং আমরা এগুলো তোমার নিকট থেকে গ্রহণ করতেও চাই না।” তিনি বললেনঃ “আমি তো খুশী মনে আমার উত্তম পশুগুলো দিতে চাচ্ছি, সুতরাং আপনারা এগুলো কবুল করে নিন। শেষ পর্যন্ত তারা ওগুলো গ্রহণ করলেন। অন্যান্যদের নিকট থেকেও তারা যাকাত আদায় করলেন। ফিরবার পথে তারা সা'লাবার কাছে। আসলেন। সে বললোঃ “যে নির্দেশনামা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে তা আমাকে পড়তে দাও দেখি।" পড়ে সে বলতে লাগলোঃ “এটা তো স্পষ্ট জিযিয়া । কাফিরদের উপর যে ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয় এটাতো একেবারে ঐরূপই। আচ্ছা, তোমরা এখন যাও, আমি চিন্তা ভাবনা করে দেখি।” তাঁরা দু’জন ফিরে চলে আসলেন। তাদেরকে দেখা মাত্রই রাসূলুল্লাহ (সঃ) সা'লাবার উপর দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং সুলাইম গোত্রের লোকটির উপর বরকতের দুআ করলেন। এখন তারাও সা'লাবা ও সুলাইম গোত্রের লোকটির ঘটনা বর্ণনা করে শুনালেন। তখন মহামহিমান্বিত আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেন। সা'লাবার একজন নিকটতম আত্মীয় এ সবকিছু শুনে সালাবার কাছে গিয়ে বর্ণনা করলো এবং আয়াতটিও পড়ে শুনিয়ে দিলো। সা'লাবা তখন নবী (সঃ)-এর কাছে এসে যাকাত ককূল করার প্রার্থনা জানালো। নবী (সঃ) তাকে বললেনঃ “আল্লাহ তা'আলা আমাকে তোমার যাকাত কবুল করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। সে তখন নিজের মাথার উপর মাটি নিক্ষেপ করতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বললেনঃ “এটা তো তোমারই কর্মের ফল। আমি তোমাকে আদেশ করেছিলাম। কিন্তু তুমি আমার আদেশ অমান্য করেছে। সে তখন নিজের জায়গায় ফিরে আসলো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত সা'লাবার কোন কিছুই ককূল করেননি। অতঃপর সে আবু বকর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে তার কাছে আগমন করে এবং বলেঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট আমার যে মর্যাদা ছিল এবং আনসারদের মধ্যে আমার যে সম্মান রয়েছে তা আপনি ভালরূপেই জানেন। সুতরাং আমার সাদকা ককূল। করুন।” তিনি উত্তর দিলেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন কবুল করেননি তখন আমি কে?" মোটকথা, তিনি অস্বীকার করলেন। অতঃপর যখন তিনি ইন্তেকাল করলেন এবং উমার (রাঃ) মুসলিমদের খলীফা নির্বাচিত হলেন তখন সা'লাবা তাঁর কাছে এসে বললোঃ “হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি আমার সাদকা কবুল করুন!" উমর (রাঃ) উত্তর দিলেনঃ “রাসূলুল্লাহ ও প্রথম খলীফা যখন ককূল করেননি তখন আমি কিরূপে ককূল করতে পারি?” সুতরাং তিনিও অস্বীকৃতি জানালেন। তারপর উসমান (রাঃ)-এর ফিলাফতকালে আবার ঐ চিরদিনের মুনাফিক তাঁর কাছে আসলো এবং তার সাদকা কবূল করার জন্যে তাকে অনুরোধ করলো। কিন্তু তিনি জবাব দিলেনঃ “স্বয়ং আল্লাহর রাসূল (সঃ) এবং তাঁর দু’জন খলীফা যখন তোমার সাদকা গ্রহণ করেননি তখন আমি কি করে তা গ্রহণ করতে পারি? সুতরাং তিনিও তা কবুল করলেন না। ঐ অবস্থাতেই লোকটি ধ্বংস হয়ে যায়। মোটকথা, প্রথমে তো সে শপথ করে বলেছিল যে, সে সাদকা ও দান-খয়রাত করবে, কিন্তু পরে ফিরে গেল এবং দান-খয়রাতের পরিবর্তে কার্পণ্য করতে শুরু করলো ও অঙ্গীকার ভঙ্গ করে দিলো। এই অঙ্গীকার ভঙ্গের প্রতিফল হিসেবে তার অন্তরে নিফাক বা কপটতা জড়িয়ে পড়লো, যা ঐ সময় থেকে নিয়ে তার পূর্ণ জীবন পর্যন্ত তার সাথে থেকেই গেল। হাদীসে রয়েছে যে, মুনাফিকের লক্ষণ হচ্ছে তিনটি- (১) যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, (২) যখন কোন ওয়াদা করে তখন তা খিলাফ করে এবং (৩) তার কাছে কোন কিছু আমানত রাখা হলে তা খিয়ানত করে।আল্লাহ পাক বলেনঃ তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তাদের মনের গুপ্ত কথা এবং গোপন পরামর্শ সবই অবগত আছেন? তিনি পূর্ব হতেই জানতেন যে, এটা শুধু তাদের মুখের কথা যে, তারা সম্পদশালী হয়ে গেলে এরূপ এরূপ দান-খয়রাত করবে, এমন এমন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে এবং এরূপ সৎকাজ করবে। কিন্তু তাদের অন্তরের উপর দৃষ্টিপাতকারী তো হচ্ছেন আল্লাহ । তিনি তো জানেন যে, মালধন পেলেই তারা তাতে মত্ত হয়ে যাবে, আমোদ আহলাদ করবে, অকৃতজ্ঞ হবে এবং কার্পণ্য করতে শুরু করবে।আল্লাহ তা'আলা সমস্ত গায়েবের খবর খুবই জ্ঞাত আছেন। তিনি সমস্ত প্রকাশ্য ও গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত। সব কিছুই তাঁর সামনে উজ্জ্বল। কিছুই তার অগোচরে নেই।