slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 99 من سورة سُورَةُ التَّوۡبَةِ

At-Tawba • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَمِنَ ٱلْأَعْرَابِ مَن يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنفِقُ قُرُبَٰتٍ عِندَ ٱللَّهِ وَصَلَوَٰتِ ٱلرَّسُولِ ۚ أَلَآ إِنَّهَا قُرْبَةٌۭ لَّهُمْ ۚ سَيُدْخِلُهُمُ ٱللَّهُ فِى رَحْمَتِهِۦٓ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ﴾

“However, among the bedouin there are [also] such as believe in God and the Last Day, and regard all that they spend (in God's cause] as a means of drawing them nearer to God and of [their being remembered in] the. Apostle's prayers. Oh, verily, it shall [indeed] be a means of [God's] nearness to them, [for] God will admit them unto His grace: verily, God is much-forgiving, a dispenser of grace!”

📝 التفسير:

৯৭-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা এখানে সংবাদ দিচ্ছেন যে, গ্রাম্য লোকদের মধ্যে কাফিরও রয়েছে, মুনাফিকও রয়েছে। আর তাদের কুফরী ও নিফাক অন্যদের তুলনায় খুবই বড় ও কঠিন এবং তারা এরই যোগ্য যে, আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-এর উপর যে হুকুম ও আহকাম নাযিল করেছেন তা থেকে তারা বে-খবর থাকে। যেমন- আমাশ (রঃ) ইবরাহীম (রঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একজন গ্রাম্য বেদুঈন যায়েদ ইবনে সাওহান (রঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিল। তিনি তার সঙ্গীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। নাহাওয়ান্দের যুদ্ধে তাঁর হাত কেটে গিয়েছিল। বেদুঈনটি তাঁকে বললোঃ “আপনার কথাগুলো তো খুবই ভাল। এবং আপনাকে ভাল লোক বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনার কর্তিত হাত আমাকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।” তখন যায়েদ (রঃ) বললেনঃ “আমার কর্তিত হাত দেখে তোমার সন্দেহ হচ্ছে কেন? এটা তো বাম হাত।” বেদুঈন বললোঃ “আল্লাহর শপথ! চুরির অপরাধে ডান হাত কাটা হয় কি বাম হাত কাটা হয় তা আমার জানা নেই।” তখন যায়েদ ইবনে সাওহান (রঃ) বলে উঠলেন যে, আল্লাহ সত্য বলেছেনঃ (আরবী)অর্থাৎ “গ্রামবাসী লোকেরা কুফরী ও কপটতায় অতি কঠোর, আর তাদের এরূপ হওয়াই উচিত কারণ, তাদের ঐসব আহকামের জ্ঞান নেই যা আল্লাহ তাঁর রাসূল (সঃ)-এর প্রতি অবতীর্ণ করেছেন।”ইমাম আহমাদ (রঃ) ইসনাদসহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যারা পল্লীতে বাস করে তারা যেন নির্বাসিত লোক, যারা শিকারের পিছে দৌড়াদৌড়ি করে তারা নির্বোধ এবং যারা কোন বাদশাহ্র সাহচর্য গ্রহণ করে তারা ফিত্রায় পতিত হয়ে থাকে।” (সুনানে আবি দাউদ, জামেউত তিরমিযী এবং সুনানে নাসাঈতেও সুফইয়ান সাওরী (রঃ) হতে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে। ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান গারীব বলেছেন। সাওরী (রঃ)-এর রিওয়ায়াত ছাড়া আর কারো রিওয়ায়াত আমাদের জানা নেই) বেদুঈনরা সাধারণতঃ বদ মেযাজী, বোকা এবং অভদ্র হয়ে থাকে, তাই আল্লাহ তাআলা তাদের মধ্যে কোন রাসূলের জন্ম দেননি। নবুওয়াতের অধিকারী একমাত্র শহুরে ও দ্র লোকেরাই হয়ে থাকেন। যেমন- আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “(হে নবী সঃ)! তোমার পূর্বে জনপদবাসীদের মধ্য হতে পুরুষগণকেই প্রেরণ করেছিলাম যাদের নিকট ওহী পাঠাতাম।” (১২:১০৯) একবার এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে কিছু হাদিয়া পাঠায়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) যে পর্যন্ত তার কাছে ওর কয়েকগুণ বেশী হাদিয়া না পাঠান সেই পর্যন্ত সে খুশী হয়নি। ঐ সময় তিনি বলেছিলেনঃ “আমি এখন সংকল্প করেছি যে, কারাশী, সাকাফী, আনসারী এবং দাওসী ছাড়া আর কারো হাদিয়া কবুল করবো না । কেননা, এরা হচ্ছে শহুরে লোক। এরা মক্কা, তায়েফ, মদীনা এবং ইয়ামনের অধিবাসী। বেদুঈনের তুলনায় এদের চরিত্র বহুগুণে উত্তম। বেদুঈনরা সাধারণতঃ বোকাই হয়। সন্তানকে চুম্বন করার ব্যাপারে বেদুঈনের হাদীসঃ সহীহ মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, বেদুঈনদের কতকগুলো লোক রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে এসে বললোঃ “তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে চুম্বন করে থাকো?” তারা (সাহাবীগণ) উত্তরে বললেনঃ “হ্যা।” তখন তারা বললোঃ “আল্লাহর শপথ! আমরা কিন্তু (আমাদের) শিশুদেরকে চুম্বন করি না।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন তাদেরকে বললেনঃ “আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তর থেকে রহমত বের করে নেন তবে আমি কি করে তার যিম্মাদার হতে পারি?” (সহীহ বুখারীর ইবারত হচ্ছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি কি তোমার জন্যে যিম্মাদার হতে পারি যদি আল্লাহ তোমার অন্তর থেকে রহমত বের করে নেন?)আল্লাহ পাকের উক্তিঃ “আল্লাহ হচ্ছেন মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।” অর্থাৎ আল্লাহ ঐ লোকদেরকে ভালরূপেই জানেন যারা এর যোগ্য যে, তাদেরকে জ্ঞান ও ঈমানের তাওফীক দেয়া হবে। তিনি স্বীয় বান্দাদের মধ্যে জ্ঞান, অজ্ঞতা, ঈমান, কুফরী এবং নিফাকের বন্টন অত্যন্ত বিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতার সাথে করেছেন। তিনি তার জ্ঞান ও নৈপুণ্যের ভিত্তিতে যা কিছু করেন এর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারে না।আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা আল্লাহর পথে কিছু খরচ করলে ওটাকে জরিমানা মনে করে থাকে এবং মুমিনরা কোন দৈব দুর্বিপাকে পতিত হাক তারা এরই প্রতীক্ষায় থাকে। কিন্তু তারা নিজেরাই সেই দুর্বিপাকে পতিত হবে। আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের কথা খুবই ভাল শুনেন ও জানেন। অপমান ও ব্যর্থতার যোগ্য কারা এবং কারা সাহায্য প্রাপ্তি ও সফলতার যোগ্য এটাও তিনি ভালরূপেই জানেন। পল্লীবাসীদের আর এক শ্রেণীর লোক প্রশংসার পাত্র। তারা হচ্ছে ওরাই যারা আল্লাহর পথে খরচ করাকে তাঁর নৈকট্য লাভ ও সন্তুষ্টির মাধ্যম মনে করে থাকে। তারা এটা কামনা করে যে, এর কারণে তারা তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দুআয়ে খায়ের লাভ করবে। হ্যা, অবশ্যই এই খরচ তাদের জন্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কারণ হবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে স্বীয় রহমতের মধ্যে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ তা'আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।