slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 5 من سورة سُورَةُ العَلَقِ

Al-Alaq • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ عَلَّمَ ٱلْإِنسَٰنَ مَا لَمْ يَعْلَمْ ﴾

“taught man what he did not know!”

📝 التفسير:

কুরআনের এই সূরাটিরই নিম্নের আয়াতগুলো সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়। ১-৫ নং আয়াতের তাফসীর হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর প্রতি অহীর প্রথম সূচনা হয় ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে। তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন তা প্রভাতের প্রকাশের ন্যায় সঠিকরূপে প্রকাশ পেয়ে যেতো। তারপর তিনি হেরাগিরি গুহায় ধ্যান করতে শুরু করেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজার (রাঃ) নিকট থেকে খাদ্য পানীয় নিয়ে তিনি হেরা গুহায় চলে যেতেন এবং কয়েকদিন সেখানে ইবাদত বন্দেগী করে কাটিয়ে দিতেন। তারপর বাসায় এসে খাদ্য পানীয় নিয়ে পুনরায় গমন করতেন। একদিন হঠাৎ সেখানেই প্রথম অহী অবতীর্ণ হয়। ফেরেশতা তাঁর কাছে এসে বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আপনি পড়ুন।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “আমি তো পড়তে জানি না।” ফেরেশতা তখন তাঁকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। তাতে তার কষ্ট হলো। তারপর তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ “পাঠ করুন। এবারও তিনি বললেনঃ “আমি তো পড়তে জানি না।”ফেরেশতা পুনরায় তাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। এবারও তিনি কষ্ট পেলেন। তারপর ফেরেশতা তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ “পড়ুন।” তিনি পূর্বেরই মত জবাব দিলেনঃ “আমি তো পড়তে জানি না। ফেরেশতা তাঁকে তৃতীয়বার জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন এবং তিনি কষ্ট পেলেন। তারপর তাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন! “পাঠ করুন আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন-সৃষ্টি করেছেন মানুষকে রক্তপিণ্ড হতে। পাঠ করুন, আর আপনার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না।” রাসূলুল্লাহ (সঃ )কাঁপতে কাঁপতে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর কাছে এলেন এবং বললেনঃ “আমাকে চাদর দ্বারা আচ্ছাদিত কর।” তখন তাঁকে চাদর দ্বারা ঢেকে দেয়া হলো। কিছুক্ষণ পর তার ভয় কেটে গেলে তিনি হযরত খাদীজাকে (রাঃ) সব কথা খুলে বললেন এবং তাঁকে জানালেন যে, তিনি তাঁর জীবনের আশংকা করছেন। হযরত খাদীজা (রাঃ) তখন তাঁকে (সান্ত্বনার সুরে) বললেনঃ “আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আপনাকে কখনো অপদস্থ করবেন না। আপনি আত্মীয় স্বজনের প্রতি আপনার কর্তব্য পালন করে থাকেন, সদা সত্য কথা বলেন, অপরের বোঝা বহন করেন, অতিথি সেবা করেন এবং সত্যের পথে অন্যদেরকে সাহায্য করেন। তারপর হযরত খাদীজা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই অরাকা ইবনে নওফিল ইবনে আসাদ ইবনে আবদিল উযযা ইবনে কুসাই এর নিকট গেলেন। আইয়ামে জাহিলিয়্যাতের সময়ে তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরবীতে কিতাব লিখতেন এবং আরবী ভাষায় ইঞ্জিলের অনুবাদ করতেন। তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন এবং দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ “আপনার ভ্রাতুষ্পত্রের ঘটনা শুনুন।” অরাকা নবী করীম (সঃ) কে জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে ভাতিজা! আপনি কি দেখেছেন?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন তাঁর কাছে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন। অরাকা ঘটনাটি শুনে বললেনঃ “ইনিই সেই রহস্যময় ফেরেশতা যিনি আল্লাহর প্রেরিত বার্তা নিয়ে হযরত মূসার (আঃ) কাছেও আসতেন। আপনার স্বজাতিরা যখন আপনাকে বের করে দিবে তখন যদি যুবক থাকতাম! হায়, তখন যদি আমি বেঁচে থাকতাম (তবে কতই না ভাল হতো!” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর একথা শুনে বললেনঃ “তারা আমাকে বের করে দিবে?” অরাকা উত্তরে বললেনঃ “হ্যা তবে শুধু আপনাকেই নয়, বরং আপনার মত যারাই নবুওয়াত লাভে ধন্য হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের সাথেই এরূপ শত্রুতা করা হয়েছিল। ঠিক আছে, আমি যদি ঐ সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকি তবে আমি আপনাকে যথাসাধ্য সাহায্য করবো।" এই ঘটনার পর অরাকা অতি অল্পদিনই বেঁচে ছিলেন। আর এদিকে অহী আসাও বন্ধ হয়ে যায়। তাই নবী করীম (সঃ) মানসিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। কয়েকবার তিনি পর্বত চূড়া থেকে নিজেকে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রত্যেক বারই হযরত জিবরাঈল (আঃ) এসে বলতেনঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! আপনি আল্লাহ তাআলার সত্য নবী।” এতে নবী করীম (সঃ) আশ্বস্ত হতেন এবং তার মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কেটে যেতো। তিনি প্রশান্ত চিত্তে বাড়িতে ফিরতেন। (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমদে বর্ণিত হয়েছে। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমেও যুহরী (রঃ) হতে হাদীসটি বর্ণিত আছে)কুরআনে নাযিলকৃত আয়াতসমূহের মধ্যে এই আয়াতগুলোই সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। নিজের বান্দার উপর এটাই ছিল আল্লাহর প্রথম নিয়ামত এবং রহমানুর রাহীমের প্রথম রহমত। এখানে মানুষের সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে আল্লাহ রাব্বল আলামীন বলেন যে, তিনি মানুষকে জমাট রক্ত দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।অর্থাৎ জমাট রক্তের মধ্যে নিজের অসীম রহমতে সুন্দর চেহারা দান করেছেন। তারপর নিজের বিশেষ রহমতে জ্ঞান দান করেছেন এবং বান্দা যা জানতো না তা শিক্ষা দিয়েছেন। জ্ঞানের কারণেই আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) সমস্ত ফেরেশতার মধ্যে বিশেষ সম্মান লাভে সমর্থ হয়েছিলেন। জ্ঞান কখনো মনের মধ্যে থাকে, কখনো মুখের মধ্যে থাকে এবং কখনো কিতাবের মধ্যে লিখিতভাবে বিদ্যমান থাকে। কাজেই জ্ঞান যে তিন প্রকার তা প্রতীয়মান হয়েছে। অর্থাৎ মানসিক জ্ঞান, শাব্দিক জ্ঞান এবং রসমী জ্ঞান। মানসিক এবং শাব্দিক জ্ঞানের জন্য রসমী জ্ঞান প্রয়োজন। কিন্তু রসমী জ্ঞানের জন্যে এ দুটি জ্ঞান না হলেও চলে। এ কারণেই আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী (সঃ) কে বলেন, তুমি পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না।একটি আসারে রয়েছেঃ, “জ্ঞানকে লিখে নাও। যে ব্যক্তি নিজের অর্জিত জ্ঞানের উপর আমল করে আল্লাহ তাআলা তাকেই সেই জ্ঞানেরও ওয়ারিস করেন যা তার জানা ছিল না।”