An-Nahl • BN-TAFSIR-ABU-BAKR-ZAKARIA
﴿ وَلَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَلَهُ ٱلدِّينُ وَاصِبًا ۚ أَفَغَيْرَ ٱللَّهِ تَتَّقُونَ ﴾
“And His is all that is in the heavens and on earth, and to Him [alone] obedience is always due: will you, then, pay reverence to aught but Him?”
আর আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু আছে তা তাঁরই এবং সার্বক্ষণিক আনুগত্য তাঁরই প্রাপ্য [১]। তারপরও কি তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারও তাকওয়া অবলম্বন করবে? [১] এ আয়াতের একটি অনুবাদ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, যা কাতাদাহ থেকে বর্ণিত। [আত-তাফসীরুস সহীহ] কোন কোন মুফাসসির বলেন, (وَاصِبًا) এর অর্থ হচ্ছে, (واجبًا) বা বাধ্যতামূলকভাবে। [ইবন কাসীর] কোন কোন মুফাসসির (وَاصِبًا) এর অর্থ হচ্ছে, (التَّعَبُ وَالاِعْيٰاءُ) বা ক্লান্তক্লিষ্ট। অর্থাৎ আল্লাহর আনুগত্য করেই যেতে হবে, যদিও বান্দা সেটা করতে ক্লান্ত-ক্লিষ্ট হয়ে পড়ে। [কুরতুবী] আর যদি (وَاصِبًا) শব্দের অর্থ (خالصًا) ধরা হয় [কুরতুবী] তখন এর অর্থ হবে "আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সেগুলোর ইবাদত একমাত্র তাঁরই উদ্দেশ্যে”। তখন আয়াতটির সমার্থবোধক হবে আল্লাহর বাণীঃ "তারা কি আল্লাহর দ্বীন ব্যতীত অন্য কিছু খুঁজে ফিরছে? অথচ আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সবই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় তাঁরই কাছে আত্মসমৰ্পন করেছে" [সূরা আলে ইমরানঃ ৮৩] তাছাড়া আয়াতটির নির্দেশসূচক অর্থও করা যায়। অর্থাৎ তোমরা একমাত্র তাঁকেই ভয় কর এবং তাঁরই আনুগত্য কর। যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছেঃ “সাবধান দ্বীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই খালেস করে নাও" [সূরা আয-যুমারঃ ৩]