Al-Ma'aarij • BN-TAFSIR-ABU-BAKR-ZAKARIA
﴿ بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ سَأَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍۢ وَاقِعٍۢ ﴾
“ONE who is minded to ask might ask about the suffering which [in the hereafter] is bound to befall”
এক ব্যক্তি চাইল, সংঘটিত হোক শাস্তি যা অবধারিত [১] --- সূরা সংক্রান্ত আলোচনাঃ আয়াত সংখ্যাঃ ৪৪ আয়াত। নাযিল হওয়ার স্থানঃ মক্কী। রহমান, রহীম আল্লাহ্র নামে [১] سأل শব্দটি কখনও তথ্যানুসন্ধান ও জিজ্ঞেস করার অর্থে আসে। তখন আরবী ভাষায় এর সাথে عن অব্যয় ব্যবহৃত হয়। সে অনুসারে আয়াতের অর্থ হলো একজন জিজ্ঞেসকারী জানতে চেয়েছে যে, তাদেরকে যে আযাব সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে তা কার ওপর আপতিত হবে? আল্লাহ্ তা‘আলা এপ্রশ্নের জওয়াব দিয়েছেন এই বলে যে, তা কাফেরদের ওপর পতিত হবেই। আবার কখনও এ শব্দটি আবেদন ও কোন কিছু চাওয়া বা দাবী করার অর্থে আসে। আয়াতে এই অর্থে আসার কারণে এর সাথে باء অব্যয় ব্যবহৃত হয়েছে। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর] অধিকাংশ মুফাস্সির এ অর্থই গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন বর্ণনায় ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে এসেছে, নদর ইবনে হারেস এই আযাব চেয়েছিল। [নাসায়ী: তাফসীরা ২/৪৬৩, নং ৬৪০, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৫০২] সে কুরআন ও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি মিথ্যারোপ করতে গিয়ে ধৃষ্টতাসহকারে আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে আযাব চেয়েছিল। এটি ছাড়াও কুরআন মজীদের আরো অনেক স্থানে মক্কার কাফেরদের এ চ্যালেঞ্জেরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপনি আমাদের যে আযাবের ভয় দেখাচ্ছেন তা নিয়ে আসছেন না কেন? যেমন, সূরা ইউনুস: ৪৬-৪৮; সূরা আল-আম্বিয়া: ৩৬-৪১; সূরা আন-নামল: ৬৭-৭২; সূরা সাবা: ২৬-৩০; ইয়াসীন: ৪৫-৫২ এবং সূরা আল-মূলক: ২৪-২৭৷