Al-Israa • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدْعُونَ يَبْتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلْوَسِيلَةَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ وَيَرْجُونَ رَحْمَتَهُۥ وَيَخَافُونَ عَذَابَهُۥٓ ۚ إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ كَانَ مَحْذُورًۭا ﴾
“Those [saintly beings] whom they invoke are themselves striving to obtain their Sustainer's favour - [even] those among them who are closest [to Him] - hoping for His grace and dreading His chastisement: for, verily, thy Sustainer's chastisement is something to beware of!”
তারা যাদেরকে আহবান করে, তারাই তো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে কত নিকট হতে পারে, তারা তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে ও তাঁর শাস্তিকে ভয় করে; [১] নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের শাস্তি ভয়াবহ। [১] উল্লিখিত আয়াতে مِنْ دُوْنِ اللهِ বলতে, ফিরিশতা এবং বড়দের সেই নির্মিত ও অঙ্কিত মূর্তি, যাদের তারা ইবাদত করত। অথবা উযায়ের ও ঈসা (আঃ) যাঁদেরকে ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানরা আল্লাহর পুত্র ভাবত এবং তাঁদেরকে আল্লাহর গুণাবলীর অধিকারী মনে করত। কিংবা সেই জীনরা যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং মুশরিকরা যাদের পূজা করত। কারণ, এই আয়াতে বলা হচ্ছে যে, এরা নিজেরাই তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের খোঁজে থাকে, তাঁর রহমতের আশা করে এবং তাঁর আযাবকে ভয় করে। আর এই গুণ জড়পদার্থের (পাথরের) হতে পারে না। এই আয়াত থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, مِنْ دُوْنِ اللهِ (আল্লাহ ব্যতীত যাদের উপাসনা করা হত) তারা কেবল পাথরের মূর্তিই ছিল না। বরং আল্লাহর বান্দারাও ছিল। তাদের মধ্যে কিছু ছিলেন ফিরিশতাগণ, কিছু সৎলোকগণ, কিছু নবীগণ এবং কিছু জীন। মহান আল্লাহ সকলের ব্যাপারে বললেন যে, তারা কিছুই করতে পারে না; না কারো কষ্ট দূর করতে পারে, আর না কারো অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। "তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে" অর্থাৎ, সৎকর্মের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য খোঁজ করে। এটাই হল অসীলা (মাধ্যম), যা অনুসন্ধান করতে কুরআন আদেশ করেছে। সেটা অসীলা নয়, যা কবর পূজারীরা বয়ান করে যে, (পীর ধর, উকিল ধর), (মৃত) আওলিয়ার নামে নজরানা দাও, তাদের কবরে চাদর চড়াও, উরস কর, মেলা বসাও, তাদের কাছে সাহায্য চাও ও ফরিয়াদ কর। কেননা, এ সব অসীলা নয়, বরং তাদের ইবাদত যা শিরক। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলিমকে এ থেকে রক্ষা করুন!