Al-Israa • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَمَا مَنَعَنَآ أَن نُّرْسِلَ بِٱلْءَايَٰتِ إِلَّآ أَن كَذَّبَ بِهَا ٱلْأَوَّلُونَ ۚ وَءَاتَيْنَا ثَمُودَ ٱلنَّاقَةَ مُبْصِرَةًۭ فَظَلَمُوا۟ بِهَا ۚ وَمَا نُرْسِلُ بِٱلْءَايَٰتِ إِلَّا تَخْوِيفًۭا ﴾
“And nothing has prevented Us from sending [this message, like the earlier ones,] with miraculous signs [in its wake], save [Our knowledge] that the people of olden times [only too often] gave the lie to them: thus, We provided for [the tribe of] Thamud the she-camel as a light-giving portent, and they sinned against it. And never did We send those signs for any other purpose than to convey a warning.”
পূর্ববর্তিগণ কর্তৃক নিদর্শন মিথ্যাজ্ঞান করাই আমাকে নিদর্শন প্রেরণ করা হতে বিরত রাখে।[১] আর আমি স্পষ্ট নিদর্শনস্বরূপ সামূদকে উটনী দিয়েছিলাম; কিন্তু তারা তার প্রতি যুলুম করেছিল।[২] আসলে আমি ভীতি প্রদর্শনের জন্যই নিদর্শন প্রেরণ করি। [১] এই আয়াত তখন অবতীর্ণ হয়, যখন মক্কার কাফেররা দাবী করল যে, সাফা পাহাড়কে সোনার পাহাড় বানিয়ে দেওয়া হোক অথবা মক্কার পাহাড়গুলোকে তার স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক যাতে সেখানে চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। এরই উত্তরে মহান আল্লাহ জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে বার্তা পাঠালেন যে, আমি তাদের সমস্ত দাবী পূরণ করার জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু এর পরও যদি তারা ঈমান না আনে, তবে তাদের ধ্বংস সুনিশ্চিত। এর পর তাদেরকে আর অবকাশ দেওয়া হবে না। নবী করীম (সাঃ) এ কথা পছন্দ করলেন যে, তাদের দাবীগুলো পূরণ না করা হোক। যাতে তারা নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হওয়া থেকে বেঁচে যায়। (আহমাদ ১/২৫৮) এই আয়াতেও আল্লাহ তাআলা এই বিষয়টাকেই বর্ণনা করে বলেন যে, তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করা আমার জন্য কোন কঠিন ব্যাপার নয়। কিন্তু আমি তা করা থেকে এই জন্য বিরত থাকি যে, পূর্বের জাতিরাও তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নিদর্শনসমূহ দাবী করেছিল যা তাদেরকে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা ভেবে ঈমান আনেনি। যার ফলস্বরূপ তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল। [২] সামুদ সম্প্রদায়কে দৃষ্টান্ত স্বরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, তাদের চাহিদা মোতাবেক শক্ত পাথর থেকে উটনী বের করে দেখানো হয়েছিল, কিন্তু এই অত্যাচারীরা ঈমান আনার পরিবর্তে সেই উটনীকে হত্যা করে দেয়। যার কারণে তিনদিন পর তাদের উপর সর্বনাশী আযাব আসে।