Al-Israa • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَإِذْ قُلْنَا لَكَ إِنَّ رَبَّكَ أَحَاطَ بِٱلنَّاسِ ۚ وَمَا جَعَلْنَا ٱلرُّءْيَا ٱلَّتِىٓ أَرَيْنَٰكَ إِلَّا فِتْنَةًۭ لِّلنَّاسِ وَٱلشَّجَرَةَ ٱلْمَلْعُونَةَ فِى ٱلْقُرْءَانِ ۚ وَنُخَوِّفُهُمْ فَمَا يَزِيدُهُمْ إِلَّا طُغْيَٰنًۭا كَبِيرًۭا ﴾
“And lo! We said unto thee, [O Prophet:] "Behold, thy Sustainer encompasses all mankind [within His knowledge and might]: and so We have ordained that the vision which We have shown thee -as also the tree [of hell,] cursed in this Qur'an - shall be but a trial for men. Now [by Our mentioning hell] We convey a warning to them: but [if they are bent on denying the truth,] this [warning] only increases their gross, overweening arrogance."”
(স্মরণ কর,) যখন আমি তোমাকে বলেছিলাম যে, তোমার প্রতিপালক মানুষকে পরিবেষ্টন করে আছেন।[১] আর আমি যে দৃশ্য তোমাকে দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত বৃক্ষ শুধু মানুষের পরীক্ষার জন্যই।[২] আমি তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করি, কিন্তু এটা তাদের তীব্র অবাধ্যতাই বৃদ্ধি করে। [৩] [১] অর্থাৎ, মানুষ আল্লাহর আধিপত্য ও তাঁর আয়ত্তাধীনে রয়েছে এবং তিনি যা চাইবেন, তা-ই হবে। তারা যা চাইবে, তা নয়। অথবা এ থেকে মক্কাবাসীদেরকে বুঝানো হয়েছে যে, তারা আল্লাহর অধীনস্থ। তুমি কোন প্রকার ভয় না করে রিসালাতের দাওয়াত দিয়ে যাও। তারা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আমি তাদের হাত থেকে তোমাকে রক্ষা করব। কিংবা এখানে বদর যুদ্ধে এবং মক্কা বিজয়ের দিন মক্কার কাফেররা যে শিক্ষামূলক পরাজয়ের শিকার হয়েছিল, সেটাকেই তুলে ধরা হয়েছে।[২] সাহাবা ও তাবেঈনগণ এই দৃশ্যের ব্যাখ্যা করেছেন, চাক্ষুষ দর্শন এবং এ থেকে মি'রাজের ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে। এ ঘটনা অনেক দুর্বল ঈমানের লোকদের জন্য ফিতনার কারণ হয়েছে এবং তারা মুরতাদ হয়ে গেছে। আর 'বৃক্ষ' বলতে যাক্কুম গাছ, যা মি'রাজের রাতে রসূল (সাঃ) জাহান্নামে দেখেছেন। المَلْعُوْنَةَ (অভিশপ্ত) বলতে, ভক্ষণকারী। অর্থাৎ, সেই গাছ যা অভিশপ্ত জাহান্নামীরা ভক্ষণ করবে। যেমন, অন্যত্র এসেছে, {إِنَّ شَجَرَةَ الزَّقُّومِ* طَعَامُ الْأَثِيمِ} "অবশ্যই যাক্কুম বৃক্ষ পাপীর খাদ্য হবে।" (সূরা দুখান ৪৪:৪৩-৪৪ আয়াত) [৩] অর্থাৎ, যেহেতু কাফেরদের অন্তরে কূটবুদ্ধি ও শত্রুতা রয়েছে, যার কারণে নিদর্শনসমূহ দেখা সত্ত্বেও ঈমান আনার পরিবর্তে তাদের অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন আরো বেড়ে যায়।