Al-Kahf • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ فَٱنطَلَقَا حَتَّىٰٓ إِذَآ أَتَيَآ أَهْلَ قَرْيَةٍ ٱسْتَطْعَمَآ أَهْلَهَا فَأَبَوْا۟ أَن يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًۭا يُرِيدُ أَن يَنقَضَّ فَأَقَامَهُۥ ۖ قَالَ لَوْ شِئْتَ لَتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًۭا ﴾
“And so the two went on, till, when they came upon some village people, they asked them for food; but those [people] refused them all hospitality. And they saw in that (village] a wall which was on the point of tumbling down, and [the sage] rebuilt it [whereupon Moses] said: "Hadst thou so wished, surely thou couldst [at least] have obtained some payment for it?"”
অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল; চলতে চলতে তারা এক জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছে খাদ্য চাইল; কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল।[১] অতঃপর সেখানে তারা এক পতনোন্মুখ প্রাচীর দেখতে পেল এবং সে ওটাকে সোজা খাড়া করে দিল। [২] মূসা বলল, ‘আপনি তো ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন।’ [৩] [১] এই গ্রামটি ছিল কৃপণ ও হীন লোকদের যারা অতিথিদের আপ্যায়ন করতে অস্বীকার করল। অথচ মুসাফিরদেরকে খাদ্য দান করা এবং অতিথিদের আতিথেয়তা করা প্রত্যেক ধর্মের সৎচরিত্রতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে পরিচিত। মহানবী (সাঃ)ও মেহমানদের আপ্যায়ন করা ও তাদের সম্মান করা ঈমানের দাবী বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন নিজ মেহমানদের সম্মান করে।" (বুখারী, মুসলিম) [২] খাযির (আঃ) দেওয়ালটাতে হাত দিয়ে স্পর্শ করলেন আর আল্লাহর আদেশে অলৌকিকভাবে তা সোজা হয়ে গেল। যেমন সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এ কথা স্পষ্ট হয়। [৩] মূসা (আঃ) যিনি প্রথম থেকেই গ্রামের মানুষের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন, তিনি খাযির (আঃ)-এর বিনা পারিশ্রমিকে কাজটি করে দেওয়ায় চুপ থাকতে পারলেন না; বরং বলে ফেললেন যে, যারা আমাদের মুসাফিরী অবস্থা, আহারের প্রয়োজনীয়তা, মান-সম্মান প্রভৃতি কিছুরই খেয়াল রাখল না তারা অনুগ্রহ পাওয়ার যোগ্য হয় কি করে?