Al-Baqara • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًۭا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍۢ وَعَشْرًۭا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِىٓ أَنفُسِهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ ۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌۭ ﴾
“And if any of you die and leave wives behind, they shall undergo, without remarrying, a waiting-period of four months and ten days; whereupon, when they have reached the end of their waiting-term, there shall be no sin in whatever they may do with their persons in a lawful manner. And God is aware of all that you do.”
তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন অপেক্ষা করবে।[১] যখন তারা ইদ্দত (চার মাস দশ দিন) পূর্ণ করবে, তখন তারা নিজেদের জন্য কোন বিধিমত কাজ (সৌন্দর্যগ্রহণ বা বিবাহ) করলে, তাতে তোমাদের কোন পাপ হবে না।[২] তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। [১] স্বামীর মৃত্যুর পর (শোক পালনের) এই ইদ্দত সকল নারীর জন্য, তাতে বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কায়েম হয়ে থাকুক বা না হয়ে থাকুক, যুবতী হোক বা বৃদ্ধা। অবশ্য গর্ভবতী মহিলা এই আওতায় পড়বে না। কারণ, তার ইদ্দতকাল হল সন্তানপ্রসব হওয়া পর্যন্ত। মহান আল্লাহ বলেন, "গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব হওয়া পর্যন্ত।" (সূরা ত্বালাক ৬৫:৪ আয়াত) স্বামী-মৃত্যুর এই ইদ্দতকালে মহিলার সাজ-সজ্জা করার (এমন কি সুর্মা লাগানো) এবং স্বামীর বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও বাস করার অনুমতি নেই। তবে রজয়ী তালাকপ্রাপ্তা (যাকে ফিরিয়ে নেওয়ার স্বামীর অধিকার থাকে এমন) মহিলার জন্য সাজ-সজ্জা করা নিষেধ নয়। আর তালাকে বায়েন প্রাপ্তা (যাকে যথাবিহিত ব্যবস্থা ছাড়া আর ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় এমন) মহিলার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, বৈধ এবং কেউ বলেছেন, অবৈধ। (ইবনে কাসীর) [২] অর্থাৎ, ইদ্দত শেষ হয়ে যাওয়ার পর সে যদি সাজ-সজ্জা করে এবং অভিভাবকদের অনুমতি ও তাদের পরামর্শক্রমে অন্যত্র বিবাহ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই। কাজেই (হে মহিলার অভিভাবকগণ) তোমাদেরও কোন পাপ নেই। এ থেকে জানা গেল যে, বিধবা-বিবাহকে খারাপ ভাবা উচিত নয়, উচিত নয় তাতে বাধা দেওয়া। যেমন হিন্দু-প্রভাবিত মুসলিম সমাজে এমন আচরণ লক্ষ্য করা যায়।