Al-Baqara • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَإِن كَانَ ذُو عُسْرَةٍۢ فَنَظِرَةٌ إِلَىٰ مَيْسَرَةٍۢ ۚ وَأَن تَصَدَّقُوا۟ خَيْرٌۭ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ﴾
“If, however, [the debtor] is in straitened circumstances, [grant him] a delay until a time of ease; and it would be for your own good -if you but knew it -to remit [the debt entirely] by way of charity.”
যদি (খাতক) অভাবী হয়, তাহলে তাকে সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম;[১] যদি তোমরা উপলব্ধি কর। [১] ইসলামের পূর্বে জাহেলী যুগে ঋণ পরিশোধ না হলে চক্রবৃদ্ধিহারে সূদের উপর সূদ বাড়তে বাড়তে মূলধনে যোগ হত। ফলে সামান্য অর্থ একটি পাহাড় হয়ে দাঁড়াত এবং তা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ত। মহান আল্লাহ এর বিপরীত নির্দেশ দিয়ে বললেন, যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তাহলে (সূদ নেওয়া তো দূরের কথা মূলধন নেওয়ার ব্যাপারেও) সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত তাকে সময় দাও। আর যদি ঋণ একেবারে মাফ করে দাও, তাহলে তা আরো উত্তম। হাদীসসমূহেও এর বড়ই ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। উভয় নীতির মধ্যে কত ব্যবধান? একটি একেবারে যুলুম, নির্দয়তা এবং স্বার্থপরতার উপর প্রতিষ্ঠিত। আর দ্বিতীয়টি সহানুভূতি, সহযোগিতা এবং একে অপরকে সাহায্য করার নীতি। মুসলিমরা যদি বরকতময় এবং দয়াভরা আল্লাহর এই নীতিকে গ্রহণ না করে, তাহলে তাতে ইসলামের দোষ কি এবং আল্লাহর প্রতি দোষারোপ কেন? হায়! মুসলিমরা যদি তাদের দ্বীনের গুরুত্ব ও উপকারিতার কথা বুঝত এবং সেই অনুযায়ী যদি নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারত (তাহলে কতই না ভালো হত)!