Al-Hajj • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ ثُمَّ لْيَقْضُوا۟ تَفَثَهُمْ وَلْيُوفُوا۟ نُذُورَهُمْ وَلْيَطَّوَّفُوا۟ بِٱلْبَيْتِ ٱلْعَتِيقِ ﴾
“Thereafter let them bring to an end their state of self-denial, and let them fulfill the vows which they [may] have made, and let them walk [once again] around the Most Ancient Temple.”
অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে, [১] তাদের মানত পূর্ণ করে[২] এবং তাওয়াফ করে প্রাচীন (কা’বা) গৃহের। [৩] [১] অর্থাৎ, ১০ম যুলহজ্জ তারিখে জামরাতুল কুবরা (বা আক্বাবার বড় জামরায়) পাথর মারার পর হাজীরা প্রাথমিকভাবে হালাল হয়ে যান। যার পর ইহরাম খুলে ফেলেন এবং এক কথায় স্ত্রী-মিলন ছাড়া ঐ সব কাজ যা ইহরাম অবস্থায় অবৈধ ছিল, বৈধ হয়ে যায়। আর অপরিচ্ছন্নতা দূর করার অর্থ হল, চুল ও নখ ইত্যাদি কেটে নিয়ে তেল ও সুগন্ধি ব্যবহার করা, সেলাই করা কাপড় পরিধান করা ইত্যাদি। [২] যদি কেউ মানত করে থাকে; যেমন মানত করে থাকে যে, আল্লাহ যদি আমাকে তাঁর পবিত্র ঘর কা'বা দর্শন করার সৌভাগ্য দান করেন, তাহলে আমি অমুক নেকীর কাজ (যেমনঃ নামায, রোযা বা দান) করব। [৩] عَتِيق মানে প্রাচীন, উদ্দেশ্য কা'বাগৃহ। অর্থাৎ মাথা নেড়া করা বা চুল ছেঁটে ফেলার পর (হজ্জের তাওয়াফ) তাওয়াফে ইফাযাহ করে, যাকে তাওয়াফে যিয়ারাহও বলা হয়। এটি হজ্জের একটি রুকন; যা আরাফায় অবস্থান ও জামরাতুল কুবরায় পাথর মারার পর করা হয়। পক্ষান্তরে তাওয়াফে কুদূম কিছু লোকের নিকট ওয়াজিব, আবার কিছু লোকের কাছে সুন্নত। আর তাওয়াফে বিদা' (বিদায়ী তাওয়াফ) সুন্নতে মুআক্কাদাহ (বা ওয়াজিব); যা বেশির ভাগ উলামাদের নিকট ওজর থাকলে ত্যাগ করা বৈধ। যেমন সর্বসম্মতিক্রমে ঋতুমতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এ তাওয়াফ মাফ। (আইসারুত্ তাফাসীর)