Al-Hajj • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ لَكُمْ فِيهَا مَنَٰفِعُ إِلَىٰٓ أَجَلٍۢ مُّسَمًّۭى ثُمَّ مَحِلُّهَآ إِلَى ٱلْبَيْتِ ٱلْعَتِيقِ ﴾
“In that [God-consciousness] you shall find benefits until a term set [by Him is fulfilled], and [you shall know that] its goal and end is the Most Ancient Temple.”
এ (পশু)গুলোতে তোমাদের জন্য নানাবিধ উপকার রয়েছে এক নির্দিষ্ট কালের জন্য; [১] অতঃপর ওগুলির কুরবানীর স্থান প্রাচীন গৃহের নিকট। [২] [১] উক্ত উপকার লাভ হয় সওয়ার হয়ে, তার দুধ পান করে, তার লোম ইত্যাদি সংগ্রহ করে এবং তার বংশ-বিস্তারের মাধ্যমে। নির্দিষ্ট কাল বলতে যবেহ করার সময়, অর্থাৎ যবেহ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত উপকার তোমরা গ্রহণ করে থাকো। এখান হতে বুঝা গেল যে, কুরবানীর জন্তু দ্বারা যবেহ না হওয়া পর্যন্ত উপকার নেওয়া যেতে পারে। সহীহ হাদীসেও এর সমর্থন মিলে। এক ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু সাথে নিয়ে যাচ্ছিল। নবী (সাঃ) তাকে বললেন, "ওর উপর সওয়ার হও।" সে বলল, 'এটি কুরবানীর পশু।' নবী (সাঃ) বললেন, "তুমি ওর উপর সওয়ার হও।" (বুখারী, হজ্জ অধ্যায়) [২] হালাল বা কুরবানী হওয়ার স্থান, অর্থাৎ যেখানে তা যবেহ করে হালাল বা কুরবানী করা হয়। অর্থাৎ, এই পশুগুলো কা'বাগৃহ ও হারামে পৌঁছে যায় অতঃপর হজ্জের কার্যাদি সম্পন্ন করে সেখানে আল্লাহর নামে কুরবানী করে দেওয়া হয়। সুতরাং উপরোক্ত উপকার গ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে যায়। আর যদি তা শুধু মাত্র হারামের জন্য 'হাদ্ই' হয়, তাহলে হারামে পৌঁছেই তা যবেহ করে দেওয়া হয় এবং মক্কার গরীবদের মাঝে তার গোশত বিলি করে দেওয়া হয়।