Al-Furqaan • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ ۞ وَقَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَآءَنَا لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْنَا ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ أَوْ نَرَىٰ رَبَّنَا ۗ لَقَدِ ٱسْتَكْبَرُوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِمْ وَعَتَوْ عُتُوًّۭا كَبِيرًۭا ﴾
“But those who do not believe that they are destined to meet Us are wont to say, “Why have no angels been sent down to us?” – or, “Why do we not see our Sustainer?” Indeed, they are far too proud of themselves, having rebelled [against God’s truth] with utter disdain!”
যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না, তারা বলে, ‘আমাদের নিকট ফিরিশতা অবতীর্ণ করা হয় না কেন?[১] অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে দেখি না কেন?’ [২] ওরা ওদের অন্তরে অহংকার পোষণ করেছে এবং ওরা গুরুতররূপে সীমালংঘন করেছে। [৩] [১] অর্থাৎ, কোন মানুষকে রসূল হিসাবে না পাঠিয়ে কোন ফিরিশতাকে রসূল হিসাবে পাঠানো হয় না কেন? অথবা এর অর্থ এই যে, নবীর সঙ্গে ফিরিশতাগণও অবতীর্ণ হতেন; যাঁদেরকে আমরা স্বচক্ষে দেখতাম এবং তাঁরা মানুষ রসূলের সত্যায়ন করতেন। [২] অর্থাৎ, প্রভু এসে বলতেন যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আমার প্রেরিত রসূল, সুতরাং তার উপর ঈমান আনা তোমাদের অবশ্য কর্তব্য। [৩] এটি অহংকার ও সীমালঙ্ঘনের পরিণাম যে, তারা এই ধরনের দাবী করছে, যা আল্লাহর ইচ্ছার বিরোধী। আল্লাহ অদেখা বিষয়ের উপর ঈমানের মাধ্যমে মানুষের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। যদি তিনি ফিরিশতাদের তাদের চোখের সামনে অবতীর্ণ করেন বা তিনি স্বয়ং পৃথিবীতে অবতরণ করেন, তাহলে এরপর তো পরীক্ষার দিকটাই অবশিষ্ট থাকে না। অতএব আল্লাহ তাআলা এমন কাজ কেন করবেন, যা তাঁর বিশ্ব রচনার যৌক্তিকতা ও সৃষ্টিগত ইচ্ছার পরিপন্থী?