Al-Furqaan • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ أَرَءَيْتَ مَنِ ٱتَّخَذَ إِلَٰهَهُۥ هَوَىٰهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا ﴾
“Hast thou ever considered [the kind of man] who makes his own desires his deity? Couldst thou, then, [O Prophet,] be held responsible for him?”
তুমি কি দেখ না তাকে, যে তার কামনা-বাসনাকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি তুমি তার কর্মবিধায়ক হবে। [১] [১] অর্থাৎ, যা তাদের মনে ভালো লাগে, তাকেই তারা নিজেদের ধর্ম ও মযহাব বানিয়ে নেয়। তুমি কি এসব লোকদেরকে পথ দেখাতে পারবে? অথবা তাদেরকে আল্লাহর আযাব হতে বাঁচাতে পারবে? এই কথাটি অন্য জায়গায় এভাবে বলা হয়েছে, "কাউকেও যদি তার মন্দ কাজ শোভন করে দেখানো হয় এবং সে একে উত্তম মনে করে, সে ব্যক্তি কি তার সমান (যে সৎকাজ করে)? আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। অতএব তুমি ওদের জন্য আক্ষেপ করে নিজেকে ধ্বংস করো না। নিশ্চয় ওরা যা করে, আল্লাহ তা খুব জানেন।" (সূরা ফাত্বির ৩৫:৮ আয়াত) ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, জাহেলী যুগে মানুষ এক যুগ ধরে সাদা পাথরের ইবাদত করত। অতঃপর যখন সে এর চেয়ে উত্তম কোন পাথর পেয়ে যেত, তখন সে পুরাতন পাথরটি ফেলে দিয়ে নতুন পাথরের পূজা শুরু করত। (ইবনে কাসীর) অর্থ এই যে, এমন জ্ঞানশূন্য মানুষ শুধুমাত্র নিজ খেয়াল-খুশী ও প্রবৃত্তি পূজায় ব্যস্ত। হে নবী! তুমি কি এদের সুপথ দেখাতে পারবে? অর্থাৎ, পারবে না।