Al-Furqaan • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ عَمَلًۭا صَٰلِحًۭا فَأُو۟لَٰٓئِكَ يُبَدِّلُ ٱللَّهُ سَيِّـَٔاتِهِمْ حَسَنَٰتٍۢ ۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًۭا رَّحِيمًۭا ﴾
“Excepted, however, shall be they who repent and attain to faith and do righteous deeds: for it is they whose [erstwhile] bad deeds God will transform into good ones - seeing that God is indeed much-forgiving, a dispenser of grace,”
তবে যারা তওবা করে, বিশ্বাস ও সৎকাজ করে[১] আল্লাহ তাদের পাপকর্মগুলিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন।[২] আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [১] এখান হতে বুঝা যায় যে, বিশুদ্ধ তওবা দ্বারা পৃথিবীতে সমস্ত পাপ মোচন হতে পারে; তাতে তা যত বড়ই হোক না কেন। আর সূরা নিসার ৪:৯৩ আয়াতে মু'মিন হত্যার শাস্তি যে জাহান্নাম বলা হয়েছে, তা ঐ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, যখন সে তওবা করবে না; বরং বিনা তওবায় মৃত্যু বরণ করবে। কারণ হাদীসে আছে যে, একশত লোক হত্যাকারীকেও তওবার কারণে মহান আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। (মুসলিম তাওবা অধ্যায় ) [২] এর একটা অর্থ এই যে, মহান আল্লাহ তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটান। ইসলাম গ্রহণের আগে সে পাপাচার করত, এখন সে সৎকর্ম করে, আগে শিরক করত এখন শুধুমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করে। আগে কাফেরদের সাথে মিলিত হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়ত। আর এখন সে মুসলিমদের দলভুক্ত হয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ইত্যাদি। এর অন্য একটি অর্থঃ তার পাপগুলো নেকী দ্বারা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।। এর প্রমাণ হাদীসেও পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আমি ঐ ব্যক্তিকে জানি যে, সর্বশেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে ও সর্বশেষে জাহান্নাম হতে বের হবে। সে হবে ঐ ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে যার ছোট ছোট পাপগুলো তুলে ধরা হবে আর বড় বড় পাপগুলি একদিকে রেখে দেওয়া হবে। তাকে বলা হবে, 'তুমি অমুক অমুক দিনে অমুক অমুক পাপ করেছিলে?' সে স্বীকৃতিবাচক জবাব দেবে এবং অস্বীকার করার কোন ক্ষমতা তার থাকবে না। তাছাড়া সে এই ব্যাপারেও ভয় পাবে যে, এক্ষনি তার বড় বড় পাপগুলি তুলে ধরা হবে। এমতাবস্থায় বলা হবে, 'যাও! তোমার প্রত্যেক পাপের বদলে এক একটি নেকী।' আল্লাহর এই দয়া দেখে সে বলবে, 'এখনও তো আমি আমার অনেক আমল দেখছি না।" এই কথা বলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হেসে ফেললেন, এমনকি তার দাঁত দেখা গেল। (মুসলিমঃ ঈমান অধ্যায়)