Al-Ahzaab • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَأَوْرَثَكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَٰرَهُمْ وَأَمْوَٰلَهُمْ وَأَرْضًۭا لَّمْ تَطَـُٔوهَا ۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرًۭا ﴾
“and He made you heirs to their lands, and their houses, and their goods - and [promised you] lands on which you had never yet set foot: for God has indeed the power to will anything.”
তিনি তোমাদেরকে ওদের ভূমি, ঘর-বাড়ী ও ধন-সম্পদের এবং এমন এক দেশের উত্তরাধিকারী করলেন[১] যেখানে তোমরা পা রাখনি। [২] আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। [১] এখানে বানী কুরাইযা যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। যেমন পূর্বে বর্ণনা হয়েছে যে, এই গোত্র নিজেদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে আহযাব যুদ্ধে মুশরিক এবং অন্য ইয়াহুদীদের সাথে মিলিত হয়েছিল। সুতরাং আহযাব যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সবেমাত্র গোসল সেরেছেন এমতাবস্থায় জিবরীল (আঃ) এসে বললেন, আপনি হাতিয়ার রেখে দিয়েছেন? আমরা (ফিরিশতাদল) তো এখনো হাতিয়ার রাখিনি। চলুন, এখন বানু কুরাইযার হিসাব চুকাতে হবে। আমাকে আল্লাহ তাআলা এই জন্য আপনার নিকট পাঠিয়েছেন। সুতরাং মহানবী (সাঃ) মুসলিমদের মাঝে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারী করলেন যে, আসরের নামায ঐখানে গিয়ে পড়বে। তাদের বাসস্থান মদীনা হতে কয়েক মাইল দূরে ছিল। তারা আপন কেল্লাতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। বাইরে থেকে মুসলিমগণ তাদেরকে ঘিরে ফেলল। এই অবরোধ প্রায় বিশ-পঁচিশ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকল। পরিশেষে তারা সা'দ বিন মুআযকে নিজেদের বিষয়ে সালিস মেনে নিল যে, তিনি আমাদের ব্যাপারে যে ফায়সালা দেবেন, আমরা তা মেনে নেব। সুতরাং তিনি ফায়সালা দিলেন যে, তাদের মধ্যে যোদ্ধাদেরকে হত্যা এবং নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করা হবে। আর তাদের সম্পদ মুসলিমদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হবে। নবী (সাঃ) উক্ত ফায়সালা শুনে বললেন, "আকাশের উপর আল্লাহ তাআলার ফায়সালাও এটাই।" এই ফায়সালা অনুযায়ী তাদের যোদ্ধাদের শিরশ্ছেদ করা হল এবং মদীনাকে তাদের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করা হল। (দেখুনঃ সহীহ বুখারী, খন্দক যুদ্ধ) أَنزَل অর্থাৎ কেল্লা থেকে নিচে নামিয়ে দিল। ظاهروهم অর্থাৎ তারা কাফেরদের পৃষ্ঠপোষকতা ও সাহায্য করেছিল। [২] অনেকে বলেছেন, এ স্থান থেকে উদ্দেশ্য হল খায়বার এলাকা। আহযাবের পরেই ৬ হিজরী সনে হুদাইবিয়ার সন্ধির পর মুসলিমরা খায়বার জয় করেন। অনেকে বলেছেন, মক্কা। অনেকে রোম বা পারস্যের এলাকা উদ্দেশ্য বলেছেন। পক্ষান্তরে অনেকের নিকট আয়াতের উদ্দেশ্য হল, ঐ সকল দেশ ও এলাকা যা কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিমগণ জয়লাভ করবেন। (ফাতহুল ক্বাদীর)