Saba • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ قُلْ إِن ضَلَلْتُ فَإِنَّمَآ أَضِلُّ عَلَىٰ نَفْسِى ۖ وَإِنِ ٱهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوحِىٓ إِلَىَّ رَبِّىٓ ۚ إِنَّهُۥ سَمِيعٌۭ قَرِيبٌۭ ﴾
“Say: “Were I to go astray, I would but go astray [due to my own self, and] to the hurt of myself; but if I am on the right path, it is but by virtue of what my Sustainer reveals unto me: for, verily, He is all-hearing, ever-near!””
বল, ‘আমি বিভ্রান্ত হলে বিভ্রান্তির পরিণাম আমাকেই ভোগ করতে হবে। আর যদি আমি সৎপথে থাকি তবে তা এ জন্য যে, আমার প্রতি আমার প্রতিপালক অহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করেন।[১] তিনি সর্বশ্রোতা, সন্নিকটবর্তী।’ [২] [১] অর্থাৎ সর্বপ্রকার মঙ্গল আল্লাহর পক্ষ থেকে। আল্লাহ তাআলা যে অহী ও স্পষ্ট সত্য অবতীর্ণ করেছেন, তাতে সঠিক পথ ও হিদায়াত নিহিত আছে। মানুষ তাতেই সঠিক পথের দিশা পায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয়, তাতে মানুষের নিজের ত্রুটি এবং প্রবৃত্তির খেয়াল-খুশী থাকে। এই জন্য তার কুফলও তাকেই ভোগ করতে হবে। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) যখন কোন জিজ্ঞাসকের উত্তরে নিজের পক্ষ থেকে কিছু বর্ণনা করতেন, তখন বলতেন, এ ব্যাপারে আমি আমার নিজস্ব রায় বললাম। সুতরাং তা যদি সঠিক হয়, তাহলে তা আল্লাহর তরফ হতে, আর যদি তা বেঠিক হয়, তাহলে তা আমার ও শয়তানের তরফ হতে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার সাথে সম্পর্কহীন। (ইবনে কাসীর) [২] যেমন হাদীসে এসেছে যে, একদা সাহাবীগণ জোরে-শোরে তকবীর পড়তে শুরু করলেন। তখন নবী (সাঃ) বললেন, হে লোক সকল! নিজেদের উপর কৃপা কর। নিশ্চয় তোমরা কোন বধির অথবা কোন (দূরবর্তী) অনুপস্থিতকে আহবান করছ না; বরং তোমরা সর্বশ্রোতা নিকটবর্তীকে আহবান করছ। তিনি (তাঁর ইলমসহ) তোমাদের সঙ্গে আছেন।" (বুখারী ৫ / ৭৫, মুসলিম ৪ / ২০৭৬)