Faatir • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ ثُمَّ أَوْرَثْنَا ٱلْكِتَٰبَ ٱلَّذِينَ ٱصْطَفَيْنَا مِنْ عِبَادِنَا ۖ فَمِنْهُمْ ظَالِمٌۭ لِّنَفْسِهِۦ وَمِنْهُم مُّقْتَصِدٌۭ وَمِنْهُمْ سَابِقٌۢ بِٱلْخَيْرَٰتِ بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَضْلُ ٱلْكَبِيرُ ﴾
“And so, We have bestowed this divine writ as a heritage unto such of Our servants as We chose: and among them are some who sin against themselves; and some who keep half-way [between right and wrong]; and some who, by God’s leave, are foremost in deeds of goodness: [and] this, indeed, is a merit most high!”
অতঃপর আমি আমার দাসদের মধ্যে তাদেরকে গ্রন্থের অধিকারী করলাম যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি;[১] তবে তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, [২] কেউ মিতাচারী[৩] এবং কেউ আল্লাহর নির্দেশে কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। [৪] এটিই মহা অনুগ্রহ। [৫] [১] গ্রন্থ বলতে কুরআন এবং মনোনীত বান্দা বা দাস বলতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আমি উম্মতে মুহাম্মাদীকে এই কুরআনের অধিকারী বানিয়েছি এবং তাদেরকে আমি অন্যান্য উম্মতসমূহ ব্যতিরেকে মনোনীত করেছি এবং তাদেরকে মর্যাদা ও অনুগ্রহ প্রদান করেছি। এ আয়াতটি (وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ) البقرة-১৪৩) এর যে বক্তব্য তার নিকটবর্তী বক্তব্য। [২] এখানে উম্মতে মুহাম্মাদীর তিনটি শ্রেণী উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমঃ এমন লোক, যারা কিছু ফরয পালনে শৈথিল্য করে এবং কিছু হারাম কর্মেও লিপ্ত হয়ে পড়ে অথবা অনেকের নিকট ঐ সকল ব্যক্তি যারা সাগীরা গুনাহ করে ফেলে। তাদেরকে নিজের প্রতি অত্যাচারী এই জন্য বলা হয়েছে যে, তারা সামান্য শৈথিল্যের কারণে নিজেদেরকে সেই উচ্চস্থান থেকে বঞ্চিত করে নেবে, যা বাকি অন্য দুই প্রকারের মুসলিমরা অর্জন করতে সক্ষম হবে। [৩] এটি দ্বিতীয় শ্রেণীর উম্মতঃ অর্থাৎ, মধ্যমপন্থী; যারা ভালো-মন্দের মিশ্র আমল করে। অনেকের নিকট এরা হল তারা, যারা ফরয কাজ যথাযথভাবে পালন এবং হারাম কাজ ত্যাগ তো করে; কিন্তু কখনো কখনো মুস্তাহাব কাজ ত্যাগ করে এবং হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অথবা ঐ সকল ব্যক্তি তারা, যারা সৎলোক তো বটে; কিন্তু অগ্রণী নয়। [৪] এরা ঐ সকল ব্যক্তি যারা দ্বীনের ব্যাপারে ইতিপূর্বে উল্লিখিত দুই দল থেকে অগ্রগামী। [৫] অর্থাৎ, কিতাবের অধিকারী বানানো এবং মর্যাদা ও অনুগ্রহ দানে মনোনীত করাটাই মহা অনুগ্রহ।