Faatir • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ جَنَّٰتُ عَدْنٍۢ يَدْخُلُونَهَا يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِن ذَهَبٍۢ وَلُؤْلُؤًۭا ۖ وَلِبَاسُهُمْ فِيهَا حَرِيرٌۭ ﴾
“[Hence,] gardens of perpetual bliss will they enter, therein to be adorned with bracelets of gold and pearls, and therein to be clad in raiments of silk;”
তারা প্রবেশ করবে স্থায়ী জান্নাতে,[১] যেখানে তাদের স্বর্ণ নির্মিত কঙ্কণ ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং যেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। [২] [১] অনেকে বলেন, শুধু সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। কুরআনের পূর্বাপর বাগধারার দাবী অনুযায়ী তিন দলই জান্নাতী হবে। তবে একথা স্বতন্ত্র যে সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিগণ বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং মধ্যপন্থী ব্যক্তিগণ সহজ ও সরল হিসাবের পর এবং নিজের প্রতি অত্যাচারিগণ সুপারিশ অথবা শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ কথাই হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হয়। মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়্যাহ বলেন, 'এই উম্মত হচ্ছে উম্মাতে মারহূমাহ (করুণার পাত্র), যালেম বা গুনাহগারদেরকে ক্ষমা করা হবে, মধ্যপন্থীরা আল্লাহর নিকট জান্নাতে থাকবে এবং সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে।' (ইবনে কাসীর) [২] মহানবী (সাঃ) বলেছেন, "রেশম ও দীবাজ (এক প্রকার মোটা রেশম) পৃথিবীতে পরিধান করো না। কারণ, যে তা পৃথিবীতে পরিধান করবে, সে তা আখেরাতে পরিধান করতে পাবে না।" (বুখারী -মুসলিম)