Az-Zumar • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَإِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَحْدَهُ ٱشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ ۖ وَإِذَا ذُكِرَ ٱلَّذِينَ مِن دُونِهِۦٓ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ ﴾
“And yet, whenever God alone is mentioned, the hearts of those who will not believe in the life to come contract with bitter aversion - whereas, when those [imaginary powers] are mentioned side by side with Him, lo, they rejoice!”
‘আল্লাহ এক’ --এ কথা উল্লেখ করা হলে যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় সংকুচিত হয়।[১] আর আল্লাহর পরিবর্তে (তাদের উপাস্যদের কথা) উল্লেখ করা হলে তারা আনন্দে উল্লসিত হয়।[২] [১] অথবা কুফরী ও অহংকার করে অথবা তাদের মন সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। অর্থাৎ, মুশরিকদেরকে যখন বলা হয় যে, উপাস্য কেবল একজনই, তখন তাদের মন তা মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় না। [২] তবে হ্যাঁ, যখন বলা হয় যে, অমুক অমুকরাও উপাস্য অথবা তারাও তো আল্লাহরই ওলীই বটে, তাদেরও কিছু এখতিয়ার আছে, তারাও বিপদাপদ দূর এবং প্রয়োজনাদি পূরণ করার সামর্থ্য রাখে, তখন মুশরিকরা বড়ই আনন্দিত হয়। সঠিক পথচ্যুত লোকদের এই অবস্থা আজও বিদ্যমান। যখন তাদেরকে বলা হয়, কেবল বল, 'ইয়া আল্লাহ মদদ' কারণ তিনি ছাড়া তো কেউ সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না, তখন তারা চরম অসন্তুষ্ট হয়। এ বাক্য তাদের কাছে বড়ই অপছন্দনীয়। কিন্তু যদি বলা হয়, 'ইয়া আলী মদদ' অথবা 'ইয়া রাসূলুল্লাহ মদদ' অনুরূপভাবে অন্যান্য মৃতদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয় যেমন, যদি বলা হয়, 'হে পীর আব্দুল ক্বাদের! আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দিন!' তবে তাদের অন্তর আনন্দে নেচে ওঠে। বস্তুতঃ এদেরও চিন্তা-চেতনা ওদেরই মতই।