Fussilat • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَلَوْ جَعَلْنَٰهُ قُرْءَانًا أَعْجَمِيًّۭا لَّقَالُوا۟ لَوْلَا فُصِّلَتْ ءَايَٰتُهُۥٓ ۖ ءَا۬عْجَمِىٌّۭ وَعَرَبِىٌّۭ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ هُدًۭى وَشِفَآءٌۭ ۖ وَٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِىٓ ءَاذَانِهِمْ وَقْرٌۭ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى ۚ أُو۟لَٰٓئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍۢ ﴾
“Now if We had willed this [divine writ] to be a discourse in a non-Arabic tongue, they [who now reject it] would surely have said, “Why is it that its messages have not been spelled out clearly? Why - [a message in] a non-Arabic tongue, and [its bearer] an Arab?” Say: “Unto all who have attained to faith, this [divine writ] is a guidance and a source of health; but as for those who will not believe - in their ears is deafness, and so it remains obscure to them: they are [like people who are] being called from too far away.”
আমি যদি অনারবী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করতাম,[১] তাহলে ওরা অবশ্যই বলত, ‘এর আয়াতগুলি (বোধগম্য ভাষায়) বিবৃত হয়নি কেন?[২] কি আশ্চর্য যে, এর ভাষা অনারবী অথচ রসূল আরবী!’[৩] বল, বিশ্বাসীদের জন্য এ পথনির্দেশক ও ব্যাধির প্রতিকার। কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তাদের কর্ণে রয়েছে বধিরতা এবং কুরআন হবে এদের জন্য অন্ধকারস্বরূপ। এরা এমন যে, যেন এদেরকে বহু দূর হতে আহবান করা হয়। [৪] [১] অর্থাৎ, আরবী ভাষার পরিবর্তে কোন অন্য ভাষায় অবতীর্ণ করতাম। [২] অর্থাৎ, আমাদের ভাষায় সেটাকে বর্ণনা করা হয়নি কেন? তাহলে আমরা বুঝতে পারতাম। কারণ, আমরা তো আরব, আরবী ছাড়া অন্য ভাষা বুঝি না। [৩] এটাও কাফেরদের কথা। তারা আশ্চর্যান্বিত হত যে, নবী তো আরবী, আর কুরআন তাঁর উপর অনারবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। মোটকথা, কুরআনকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করে সর্বপ্রথম যাদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে সেই আরবদের জন্য কোন ওজর-আপত্তি অবশিষ্ট রাখা হয়নি। এটা যদি অন্য ভাষায় হত, তাহলে তারা ওজর-আপত্তি করতে পারত। [৪] অর্থাৎ, অনেক দূরে অবস্থিত ব্যক্তি দূরে থাকার কারণে আহবানকারীর আওয়াজ শুনতে সক্ষম হয় না, অনুরূপ এই লোকরা যেন বহু দূরে আছে, তাই তাদের কর্ণকুহরে কুরআন আসে না।