Ash-Shura • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَمَآ أَصَٰبَكُم مِّن مُّصِيبَةٍۢ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُوا۟ عَن كَثِيرٍۢ ﴾
“Now whatever calamity may befall you [on Judgment Day] will be an outcome of what your own hands have wrought, although He pardons much;”
তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন। [১] [১] এ থেকে উদ্দেশ্য যদি ঈমানদাররা হয়, তবে অর্থ হবে, তোমাদের কোন কোন পাপের কাফফারা সেই বিপদাপদ হয়, যা তোমাদের গুনাহের কারণে তোমাদের উপর আপতিত হয় এবং কিছু গুনাহ মহান আল্লাহ তো এমনিই ক্ষমা করে দেন। আল্লাহর সত্তা বড়ই দয়ালু। ক্ষমা করে দেওয়ার পর আখেরাতে এর জন্য আর পাকড়াও করবেন না, হাদীসে এসেছে যে, "মু'মিন যে কোন কষ্ট এবং দুশ্চিন্তা ও দুঃখের শিকার হয়; এমনকি তার পায়ে কাঁটাও যদি ঢুকে যায়, তাহলে তার ফলে মহান আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন।" (বুখারীঃ কিতাবুল মারয্বা, মুসলিমঃ কিতাবুল বির্র) পক্ষান্তরে উদ্দেশ্য ও সম্বোধন যদি ব্যাপক ও সাধারণ হয়, তাহলে অর্থ হবে, দুনিয়াতে যে বিপদাপদের তোমরা সম্মুখীন হও, এ সবই তোমাদের পাপের ফল। অথচ মহান আল্লাহ অনেক পাপ তো এমনিই মাফ করে দেন। অর্থাৎ, হয় চিরদিনকার জন্য মাফ করে দেন। অথবা পাপের শাস্তি সত্বর দেন না। (আর শাস্তি দানে বিলম্ব করাও এক প্রকার ক্ষমাশীলতা) যেমন, অন্যত্র বলেছেন, {وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوْا مَا تَرَكَ عَلَى ظَهْرِهَا مِنْ دَآبَّةٍ} অর্থাৎ, আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভূপৃষ্ঠে চলমান কাউকে ছেড়ে দিতেন না।" (সূরা ফাত্বির ৩৫:৪৫ আয়াত, সূরা নাহল ১৬:৬১ নং আয়াতও এই অর্থেরই।)