Al-Ahqaf • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَوْ كَانَ خَيْرًۭا مَّا سَبَقُونَآ إِلَيْهِ ۚ وَإِذْ لَمْ يَهْتَدُوا۟ بِهِۦ فَسَيَقُولُونَ هَٰذَآ إِفْكٌۭ قَدِيمٌۭ ﴾
“But they who are bent on denying the truth speak thus of those who have attained to faith: “If this [message] were any good, these [people] would not have preceded us in accepting it!” And since they refuse to be guided by it, they will always say, “This is [but] an ancient falsehood!””
বিশ্বাসীদের সম্পর্কে অবিশ্বাসীরা বলে, ‘এটা ভাল হলে তারা এর দিকে আমাদের অগ্রগামী হত না।’ আর যখন তারা এ (কুরআন) দ্বারা পরিচালিত নয়, তখন তারা বলবে যে, ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা।’[১] [১] বিলাল, আম্মার, সুহাইব ও খাব্বাব (রাযিবয়াল্লাহু আনহুম)-এর মত মুসলিমরা ছিলেন মক্কার মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র ও নিঃস্ব ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু ইসলাম গ্রহণে অগ্রগামিতার সৌভাগ্য লাভে তাঁরাই ধন্য হন। এ দেখে মক্কার কাফেররা বলত যে, এই দ্বীনে যদি কোন কল্যাণ থাকত, তবে আমাদের মত সম্মানী ও মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই সর্বপ্রথম তা গ্রহণ করত, ওরা আমাদের আগে ঈমান আনতে পারত না। (অর্থাৎ তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যাপারে ভেবে নিল যে, আল্লাহর নিকট তাদের বিরাট মর্যাদা রয়েছে।) এই দ্বীন যদি আল্লাহর পক্ষ হতে হত, তবে তিনি তা গ্রহণ করার ব্যাপারে আমাদেরকে পিছনে ফেলে রাখতেন না। আর আমাদের তা গ্রহণ না করার অর্থই হল যে, এটা একটি পুরাতন মিথ্যা। অর্থাৎ, কুরআনকে তারা 'পুরাতন মিথ্যা' বলে আখ্যায়িত করল। যেমন এটাকে তারা أَسَاطِيْرُ الأَوَّلِيْنَ (পূর্ববর্তীদের কেচ্ছা-কাহিনী)ও বলত। অথচ দুনিয়াতে কারো ধন-মালের মালিক হওয়া আল্লাহর নিকট গণ্য ব্যক্তি হওয়ার দলীল নয়। (যেমন তাদের ভুল ধারণা ছিল বা শয়তান তাদেরকে এই ভুল ধারণায় ফেলে রেখেছিল।) আল্লাহর নিকট গণ্য হওয়ার জন্য তো ঈমান ও ইখলাসের প্রয়োজন। আর তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকে এই ঈমান ও ইখলাসের ধন দানে ধন্য করেন। যেমন তিনি পরীক্ষার জন্য যাকে ইচ্ছা তাকে মাল-ধন দিয়ে থাকেন।