Muhammad • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ فَهَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا ٱلسَّاعَةَ أَن تَأْتِيَهُم بَغْتَةًۭ ۖ فَقَدْ جَآءَ أَشْرَاطُهَا ۚ فَأَنَّىٰ لَهُمْ إِذَا جَآءَتْهُمْ ذِكْرَىٰهُمْ ﴾
“Are, then, they [whose hearts are sealed] waiting for the Last Hour - [waiting] that it come upon them of a sudden? But it has already been foretold! And what will their remembrance [of their past sins] avail them, once it has come upon them?”
তারা কি শুধু এ জন্য অপেক্ষা করছে যে, কিয়ামত তাদের নিকট আকস্মিকভাবে এসে পড়ুক? কিয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে।[১] অতঃপর কিয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে? [২] [১] অর্থাৎ, নবী করীম (সাঃ)-এর নবী হয়ে প্রেরিত হওয়াই কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার একটি নিদর্শন। যেমন তিনি নিজেও এ কথা বলেছেন, (بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ) "আমার প্রেরিত হওয়ার ও কিয়ামতের মাঝে ব্যবধান হল এই দুই আঙ্গুলের (মাঝে ব্যবধানের) ন্যায়।" (বুখারী) তিনি ইঙ্গিত করে একথা পরিষ্কার করে দিলেন যে, যেভাবে এই আঙ্গুল দু'টি পরস্পর মিলে রয়েছে, অনুরূপ আমার ও কিয়ামতের মধ্যেও কোন ব্যবধান নেই। অথবা একটি আঙ্গুল যেমন অপর আঙ্গুলটির চেয়ে একটু বেশি লম্বা আছে, অনুরূপ কিয়ামতও আমার জীবনকালের একটু পরে সংঘটিত হবে। [২] অর্থাৎ, কিয়ামত যখন হঠাৎ এসে পড়বে, তখন কাফের কিভাবে উপদেশ গ্রহণ করতে সক্ষম হবে? অর্থাৎ, সেই সময় সে যদি তওবাও করে, তবুও তা গৃহীত হবে না। কাজেই তওবা করতে চাইলে এটাই সময়। তাছাড়া এমন সময়ও এসে উপস্থিত হতে পারে, যখন তাদের তওবাও ফলপ্রসূ হবে না।