Al-Fath • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ سَيَقُولُ ٱلْمُخَلَّفُونَ إِذَا ٱنطَلَقْتُمْ إِلَىٰ مَغَانِمَ لِتَأْخُذُوهَا ذَرُونَا نَتَّبِعْكُمْ ۖ يُرِيدُونَ أَن يُبَدِّلُوا۟ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ۚ قُل لَّن تَتَّبِعُونَا كَذَٰلِكُمْ قَالَ ٱللَّهُ مِن قَبْلُ ۖ فَسَيَقُولُونَ بَلْ تَحْسُدُونَنَا ۚ بَلْ كَانُوا۟ لَا يَفْقَهُونَ إِلَّا قَلِيلًۭا ﴾
“As soon as you [O believers] are about to set forth on a war that promises booty, those who stayed behind [aforetime] will surely say, “Allow us to go with you” - [thus showing that] they would like to alter the Word of God. Say: “By no means shall you go with us: God has declared aforetime [to whom all spoils shall belong].” Thereupon they will [surely] answer, “Nay, but you begrudge us [our share of booty]!” Nay, they can grasp but so little of the truth!”
তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে, তখন (যুদ্ধ হতে) পশ্চাতে থাকা লোকেরা বলবে, ‘আমাদেরকে তোমাদের সাথে যেতে দাও।’[১] তারা আল্লাহর কথা পরিবর্তন করতে চায়।[২] বল, ‘তোমরা কিছুতেই আমাদের সঙ্গী হতে পারবে না।’ আল্লাহ পূর্বেই এরূপ বলে রেখেছেন।[৩] তারা বলবে, ‘বরং তোমরা তো আমাদের প্রতি হিংসা করছ।’[৪] বস্তুতঃ তাদের বোধশক্তি সামান্য। [৫] [১] এই আয়াতে খায়বার যুদ্ধের আলোচনা রয়েছে। যার বিজয়ের সুসংবাদ মহান আল্লাহ হুদাইবিয়াতেই দিয়েছিলেন। অনুরূপ মহান আল্লাহ এ কথাও বলেছিলেন যে, এখান থেকে যুদ্ধলব্ধ সমস্ত সম্পদের অধিকারী হবে কেবল হুদাইবিয়ার বায়আতে অংশগ্রহণকারীরা। তাই হুদাইবিয়া থেকে ফিরে আসার পর ইহুদীদের বারংবার চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে নবী করীম (সাঃ) যখন খায়বারের উপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন পূর্বে উল্লিখিত পশ্চাতে অবস্থানকারীরা কেবল গনীমতের মাল অর্জনের লোভে সাথে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করল। তবে তা গৃহীত হয়নি। আয়াতে 'যুদ্ধলব্ধ সম্পদ' (গনীমতের মাল) বলতে খায়বারের গনীমতের মালকেই বুঝানো হয়েছে। [২] 'আল্লাহর কথা' বলতে খায়বারের গনীমতের মালকে হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য নির্দিষ্টীকরণের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। মুনাফিকরা তাতে অংশ গ্রহণ করে 'আল্লাহর কথা' তথা তার প্রতিশ্রুতিকে পরিবর্তন করতে চায়। [৩] আয়াতে 'নাফী' (নেতিবাচক) বাক্যটি 'নাহী' (নিষেধাজ্ঞা)র অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের সাথে তোমাদের যাওয়ার অনুমতি নেই। মহান আল্লাহর নির্দেশও এটাই। [৪] অর্থাৎ, এ কথা পশ্চাতে অবস্থানকারীরা বলবে যে, তোমরা কেবল হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদেরকে তোমাদের সাথে নিতে চাচ্ছ না। যাতে আমরা গনীমতের মালে তোমাদের শরীক না হই। [৫] অর্থাৎ, ব্যাপার এটা নয়, যা তারা ভাবছে। বরং এই নিষেধাজ্ঞা তাদের পশ্চাতে থাকার কারণে। কিন্তু তারা প্রকৃত ব্যাপার বুঝতে পারছে না।