Al-Maaida • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ مِنْ أَجْلِ ذَٰلِكَ كَتَبْنَا عَلَىٰ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ أَنَّهُۥ مَن قَتَلَ نَفْسًۢا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍۢ فِى ٱلْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ ٱلنَّاسَ جَمِيعًۭا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَآ أَحْيَا ٱلنَّاسَ جَمِيعًۭا ۚ وَلَقَدْ جَآءَتْهُمْ رُسُلُنَا بِٱلْبَيِّنَٰتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًۭا مِّنْهُم بَعْدَ ذَٰلِكَ فِى ٱلْأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ ﴾
“Because of this did We ordain unto the children of Israel that if anyone slays a human being-unless it be [in punishment] for murder or for spreading corruption on earth-it shall be as though he had slain all mankind; whereas, if anyone saves a life, it shall be as though he had saved the lives of all mankind. And, indeed, there came unto them Our apostles with all evidence of the truth: yet, behold, notwithstanding all this, many of them go on committing all manner of excesses on earth.”
এ কারণেই বনী ইস্রাঈলের প্রতি এ বিধান দিলাম যে, যে ব্যক্তি নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার দন্ডদান উদ্দেশ্য ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকেই হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণরক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।[১] তাদের নিকট তো আমার রসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণ এনেছিল, কিন্তু এর পরও অনেকে পৃথিবীতে সীমালংঘনকারীই রয়ে গেল।[২] [১] এই অন্যায়ভাবে হত্যার পর, মানুষের প্রাণের মূল্য যে কত বেশী ও তার মর্যাদা যে কত বড়, তা পরিষ্কারভাবে আল্লাহ বানী ইস্রাঈলের উপরে এই নির্দেশ অবতীর্ণ করে বলে দিয়েছেন। যার দ্বারা এই অনুমান করা যায় যে, আল্লাহর নিকট মানুষের রক্তের গুরুত্ব ও মর্যাদা কত! আর এই নীতি শুধু বানী ইস্রাঈলদের জন্য ছিল না; বরং ইসলামী মূলনীতি মোতাবেক এই নীতি চিরস্থায়ী সকলের জন্য। সুলাইমান বিন রাবী' বলেন, আমি হাসান বাসরী (রঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, 'বানী ইস্রাঈল যেমন এ হুকুমের আওতাভুক্ত ছিল, তেমনি আমরাও কি এই আয়াতের হুকুমের আওতাভুক্ত?' তিনি উত্তরে বললেন, 'হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ! বানী ইস্রাঈলের রক্ত আল্লাহর নিকট আমাদের রক্ত অপেক্ষা কোনক্রমেই অধিক মর্যাদাপূর্ণ নয়।' (তাফসীর ইবনে কাসীর) [২] আয়াতের এই অংশে ইয়াহুদীদেরকে ভীতি-প্রদর্শন ও তিরস্কার করা হয়েছে। কেননা তাদের নিকট আল্লাহ প্রেরিত নবীগণ সুস্পষ্ট দলীল ও অকাট্য প্রমাণ নিয়ে আগমন করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের নীতিই হচ্ছে সব সময় সীমালঙ্ঘন ও বিরুদ্ধাচরণ করা। সম্ভবতঃ নবী (সাঃ)-কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই এখানে তাদের কুকর্মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, তোমাকে তারা হত্যা করার পরিকল্পনা এবং ক্ষতিসাধন করার যে চক্রান্ত করছে, এটা কোন নতুন কথা নয়। বরং তাদের সমস্ত জীবনটাই ষড়যন্ত্র ও ফিতনাবাজীতে পরিপূর্ণ। সুতরাং তুমি আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা রাখ। তিনিই হচ্ছেন সূক্ষ্ম শ্রেষ্ঠতম কৌশলী। সমস্ত চক্রান্ত হতে তিনিই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশল অবলম্বনকারী।