Al-Maaida • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَيَبْلُوَنَّكُمُ ٱللَّهُ بِشَىْءٍۢ مِّنَ ٱلصَّيْدِ تَنَالُهُۥٓ أَيْدِيكُمْ وَرِمَاحُكُمْ لِيَعْلَمَ ٱللَّهُ مَن يَخَافُهُۥ بِٱلْغَيْبِ ۚ فَمَنِ ٱعْتَدَىٰ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَلَهُۥ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ ﴾
“O YOU who have attained to faith! Most certainly God will try you by means of the game which may come within the reach of your hands and your weapons [while you are on pilgrimage], so that God might mark out those who fear Him although He is beyond the reach of human perception. And as for him who, after all this, transgresses the bounds of what is right-grievous suffering awaits him!”
হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের হাত ও বর্শা দ্বারা যা শিকার করা যায়[১] তার কিছু দ্বারা আল্লাহ তোমাদেরকে (ইহরাম অবস্থায়) পরীক্ষা করবেন।[২] যাতে আল্লাহ অবহিত হন, কে তাঁকে না দেখেও ভয় করে। সুতরাং এরপর কেউ সীমালংঘন করলে, তার জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে। [১] শিকার করা আরববাসীদের জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা ছিল। আর সে জন্যই ইহরাম অবস্থায় তা নিষিদ্ধ করে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিশেষ করে হুদায়বিয়ায় অবস্থান কালে সাহাবাদের নিকট অধিকহারে শিকার আসতে থাকে, আর সে সময় এই চারটি আয়াত অবতীর্ণ হয়, যাতে এই সম্পর্কিত বিধান বর্ণনা করা হয়েছে । [২] নিকটবর্তী শিকার অথবা ছোট জন্তু শিকার সাধারণতঃ হাত দিয়েই ধরা হত এবং দূরবর্তী ও বড় জন্তুর জন্য তীর-বল্লম ব্যবহার করা হত। সেই জন্যে এই দুয়েরই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিকার যেমনই হোক আর যেভাবেই করা হোক, ইহরাম অবস্থায় কোন রকম শিকার করা যাবে না; যা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।