Al-Mujaadila • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا قِيلَ لَكُمْ تَفَسَّحُوا۟ فِى ٱلْمَجَٰلِسِ فَٱفْسَحُوا۟ يَفْسَحِ ٱللَّهُ لَكُمْ ۖ وَإِذَا قِيلَ ٱنشُزُوا۟ فَٱنشُزُوا۟ يَرْفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مِنكُمْ وَٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْعِلْمَ دَرَجَٰتٍۢ ۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌۭ ﴾
“O YOU who have attained to faith! When you are told, “Make room for one another in your collective life”, do make room: [and in return,] God will make room for you [in His grace]. And whenever you are told, “Rise up [for a good deed]”, do rise up; [and] God will exalt by [many] degrees those of you who have attained to faith and, [above all,] such as have been vouchsafed [true] knowledge: for God is fully aware of all that you do.”
হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমাদেরকে বলা হয়, ‘মজলিসে স্থান প্রশস্ত কর’, [১] তখন তোমরা প্রশস্ত করে দাও। আল্লাহ তোমাদের জন্য প্রশস্ততা দেবেন। [২] আর যখন বলা হয়, ‘উঠে যাও’, তখন তোমরা উঠে যাও। [৩] তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন। [৪] আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত। [১] এখানে মুসলিমদেরকে মজলিসের আদব শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। মজলিস একটি সাধারণ শব্দ যা এমন সকল মজলিসকেই বুঝানো হয়েছে, যেখানে মুসলিম কল্যাণ ও পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। তাতে তা ওয়ায-নসীহতের মজলিস (জলসা) হোক বা জুমআর মজলিস। (তাফসীর ক্বুরত্বুবী) 'প্রশস্ত কর' মানে (নড়ে-সরে বসে) মজলিসের জায়গা প্রশস্ত কর, যাতে পরে আগত ব্যক্তিদের জন্য বসার জায়গা থাকে। মজলিসের জায়গা এমন সংকীর্ণ করে রেখো না, যাতে পরে আগত ব্যক্তিদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অথবা কোন বসা মানুষকে উঠিয়ে বসতে হয়। আর এ দু'টি জিনিসই নৈতিকতার বিপরীত। যেহেতু রসূল (সাঃ) বলেছেন, "কোন ব্যক্তি যেন অন্য ব্যক্তিকে তার স্থান থেকে উঠিয়ে সেখানে না বসে। বরং মজলিসের জায়গাকে প্রশস্ত করে নাও।" (বুখারীঃ জুমুআহ অধ্যায়, মুসলিমঃ সালাম অধ্যায়) [২] অর্থাৎ, মহান আল্লাহ এর প্রতিদান স্বরূপ তোমাদেরকে জান্নাতে অতীব প্রশস্ত স্থান দান করবেন অথবা যেখানেই তোমরা প্রশস্ততা কামনা করবে, সেখানেই তিনি তা দান করবেন। যেমন, বাড়ীতে প্রশস্ততা, রুযীতে প্রশস্ততা এবং কবরে প্রশস্ততা। সব জায়গাতেই তোমাদেরকে প্রশস্ততা দান করবেন। [৩] অর্থাৎ, জিহাদের জন্য, নামাযের জন্য অথবা যে কোন ভাল কাজের জন্য। অথবা অর্থ হল, যখন মজলিস থেকে উঠে চলে যেতে বলা হবে, তখন সত্বর উঠে চলে যাও। মুসলিমদেরকে এ নির্দেশ এ জন্য দেওয়া হল যে, সাহাবায়ে কেরাম নবী (সাঃ)-এর মজলিস থেকে উঠে যাওয়া পছন্দ করতেন না। আর এতে এমন লোকদের অসুবিধা হত, যাঁরা নবী (সাঃ)-এর সাথে নির্জনে কোন কথা বলতে চাইতেন। [৪] অর্থাৎ, ঈমানদারদের মর্যাদা বেঈমানদারদের উপরে এবং (ঈমানদার) শিক্ষিতদের মর্যাদা (অশিক্ষিত) সাধারণ ঈমানদারদের থেকে অনেক উচ্চ করবেন। যার অর্থ হল, ঈমানের সাথে দ্বীনী জ্ঞান ও শিক্ষা থাকা অধিক মর্যাদা লাভের কারণ।