At-Talaaq • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ لِيُنفِقْ ذُو سَعَةٍۢ مِّن سَعَتِهِۦ ۖ وَمَن قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُۥ فَلْيُنفِقْ مِمَّآ ءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ۚ لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَآ ءَاتَىٰهَا ۚ سَيَجْعَلُ ٱللَّهُ بَعْدَ عُسْرٍۢ يُسْرًۭا ﴾
“[In all these respects,] let him who has ample means spend in accordance with his amplitude; and let him whose means of subsistence are scanty spend in accordance with what God has given him: God does not burden any human being with more than He has given him - [and it may well be that] God will grant, after hardship, ease.”
সামর্থ্যবান নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে[১] এবং যার জীবনোপকরণ সীমিত,[২] সে আল্লাহ তাকে যা দান করেছেন, তা হতে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, তার চেয়ে গুরুতর বোঝা তিনি তার উপর চাপান না।[৩] আল্লাহ কষ্টের পর স্বস্তি দান করবেন। [৪] [১] অর্থাৎ, দুগ্ধদাত্রী মহিলাদেরকে পারিশ্রমিক নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দিতে হবে। আল্লাহ যদি মাল-ধনে প্রাচুর্য দিয়ে থাকেন, তবে এই প্রাচুর্য অনুযায়ী দুগ্ধদাত্রীকে প্রচুর পারিতোষিক দেওয়া কর্তব্য। [২] অর্থাৎ, আর্থিক দিক দিয়ে যে দুর্বল। [৩] এই জন্য তিনি দরিদ্র ও দুর্বলকে এই নির্দেশ দেন না যে, তারা দুধ দানকারিণীকে বেশী বেশী পারিশ্রমিক দিক। এই নির্দেশাবলীর উদ্দেশ্য হল, শিশুর পিতা-মাতার উচিত এমন পন্থা অবলম্বন করা, যা উভয়ের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর তারা যেন একে অপরকে কোন প্রকার কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা না করে এবং তার ফলে শিশুর দুধ পানের ব্যাপারটা যেন জটিল হয়ে না দাঁড়ায়। এই জন্য মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন,﴿لا تُضَارَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَلا مَوْلُودٌ لَهُ بِوَلَدِهِ﴾ "মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং তাকেও না যার সন্তান।" (সূরা বাক্বারাহ ২:২৩৩ আয়াত) [৪] সুতরাং যারা আল্লাহর উপর আস্থা ও ভরসা রাখে, মহান আল্লাহ তাদেরকে স্বস্তি ও প্রশস্ততা দানে ধন্য করেন।