Al-Qalam • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَإِن يَكَادُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَٰرِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا۟ ٱلذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُۥ لَمَجْنُونٌۭ ﴾
“Hence, [be patient,] even though they who are bent on denying the truth would all but kill thee with their eyes whenever they hear this reminder, and [though] they say, "[As for Muhammad,] behold, most surely he is a madman!"”
অবিশ্বাসীরা যখন উপদেশবাণী (কুরআন) শ্রবণ করে, তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছাড় দিয়ে ফেলে দেয়,[১] এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল।’ [২] [১] অর্থাৎ, যদি তোমার জন্য আল্লাহর প্রতিরোধ, প্রতিরক্ষা ও হিফাযত না হত, তাহলে কাফেরদের হিংসা দৃষ্টির কারণে তুমি বদ নজরের শিকার হয়ে পড়তে। অর্থাৎ, তাদের কুদৃষ্টি তোমাকে লেগে যেত। ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) এর এই অর্থই বলেছেন। তিনি আরো লিখেছেন যে, এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, বদনজর লেগে যাওয়া এবং আল্লাহর হুকুমে অন্যের উপর তার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া সত্য। যেমন, অনেক হাদীস থেকেও তা প্রমাণিত। যেমন অনেক হাদীসে এ থেকে বাঁচার জন্য দু'আও বর্ণিত হয়েছে। আর তাকীদ করে বলা হয়েছে যে, যখন তোমাদেরকে কোন জিনিস ভাল লাগবে, তখন 'মা শা-আল্লাহ' অথবা 'বা-রাকাল্লাহ' বলবে। যাতে সে জিনিসে যেন বদনজর না লাগে যায়। অনুরূপ কাউকে যদি কারো বদনজর লেগে যায়, তাহলে তাকে গোসল করিয়ে তার পানি ঐ ব্যক্তির উপর ঢালতে হবে, যাকে তার বদনজর লেগেছে। (বিস্তারিত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ তফসীর ইবনে কাসীর এবং অন্যান্য হাদীস গ্রন্থ) কেউ কেউ বলেন, এর অর্থ হল, ওরা তোমাকে রিসালাতের প্রচার-প্রসার থেকে ফিরিয়ে দিত। [২] অর্থাৎ, হিংসার কারণে এবং এই উদ্দেশ্যেও যাতে লোকেরা এই কুরআন দ্বারা প্রভাবিত না হয়; বরং এ থেকে দূরে থাকে। অর্থাৎ, চক্ষু দ্বারাও কাফেররা নবী (সাঃ)-এর ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করত, জিহ্বা দ্বারাও তাঁকে কষ্ট দিত এবং তাঁর অন্তরকে ব্যথিত করত।