Al-A'raaf • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ مَن يَسُومُهُمْ سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ ۗ إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ ٱلْعِقَابِ ۖ وَإِنَّهُۥ لَغَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ﴾
“And lo! Thy Sustainer made it known that most certainly He would rouse against them, unto Resurrection Day, people who would afflict them with cruel suffering: verily, thy Sustainer is swift in retribution - yet, verily, He is [also] much-forgiving, a dispenser of grace.”
আরো স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ঘোষণা করেন যে, তিনি অবশ্যই কিয়ামত পর্যন্ত এমন লোককে তাদের উপর ক্ষমতা দিয়ে পাঠাবেন, যারা তাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকবে।[১] আর তোমার প্রতিপালক তো শাস্তিদানে সত্বর এবং তিনি চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুও।[২] [১] إيذان تأذن সংবাদ দেওয়া, ঘোষণা করা। অর্থাৎ, সেই সময়কে স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ঐ ইয়াহুদীদের মাঝে ঘোষণা দিয়েছিলেন। لَيَبعَثَنّ এর লাম তাকীদের জন্য, যা শপথেরও অর্থ দেয়। অর্থাৎ, মহান আল্লাহ শপথ করে দৃঢ়তার সাথে বলছেন, তাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত এমন সব লোকেদেরকে আধিপত্য দান করবেন; যারা তাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকবে। সুতরাং ইয়াহুদীদের পুরো ইতিহাস লাঞ্ছনা, দারিদ্র্য দাসত্ব ও গোলামীর ইতিহাস। যার সংবাদ মহান আল্লাহ এই আয়াতে দিয়েছেন। ইস্রাঈলের বর্তমান রাজত্ব কুরআনের বর্ণিত এই সত্যের পরিপন্থী নয়। কারণ তা কুরআনেরই বর্ণিত ব্যতিক্রম إلا حبل من الناس (মানুষের আশ্রয়) এর প্রকাশ মাত্র। যা কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যতার বিপরীত নয়; বরং তার সমর্থনকারী। (বিস্তারিত দেখুনঃ সূরা আলে ইমরান ৩:১১২নং আয়াতের টীকা) [২] অর্থাৎ, যদি তাদের মধ্যে কেউ তওবা করে মুসলমান হয়ে যায়, তাহলে সে লাঞ্ছনা ও কঠিন শাস্তি হতে রেহাই পেয়ে যাবে।