Al-A'raaf • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ قُل لَّآ أَمْلِكُ لِنَفْسِى نَفْعًۭا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُ ۚ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ ٱلْغَيْبَ لَٱسْتَكْثَرْتُ مِنَ ٱلْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِىَ ٱلسُّوٓءُ ۚ إِنْ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٌۭ وَبَشِيرٌۭ لِّقَوْمٍۢ يُؤْمِنُونَ ﴾
“Say [O Prophet]: "It is not within my power to bring benefit to, or avert harm from, myself, except as God may please. And if I knew that which is beyond the reach of human perception, abundant good fortune-would surely have fallen to my lot, and no evil would ever have touched me. I am nothing but a warner, and a herald of glad tidings unto people who will believe."”
বল, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমার নিজের ভাল-মন্দের উপরই আমার কোন অধিকার নেই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানতাম, তাহলে তো আমি প্রভূত কল্যাণ লাভ করতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করত না। আমি তো শুধু বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদবাহী।’[১] [১] এই আয়াত এ বিষয়টিকে কত স্পষ্ট করে যে, নবী (সাঃ) গায়বের খবর জানতেন না। গায়েবের জ্ঞান কেবল মহান আল্লাহর আছে। কিন্তু অন্যায় ও অজ্ঞতা এমন সীমা ছাড়িয়ে গেছে যে, এ সত্ত্বেও বিদআতীরা নবী (সাঃ)-কে গায়বের খবর জানতেন বলে মনে করে! যুদ্ধে তাঁর দাঁত মুবারক শহীদ হয়েছে, তাঁর মুখ মন্ডলও রক্তাক্ত হয়েছে। সে সময় তিনি বলেছিলেন যে, "সেই জাতি কিভাবে সফল হতে পারে, যে জাতি তার নবীর মাথা যখম করে দেয়!" (হাদীস গ্রন্থে উক্ত ঘটনা ও নিমেনর ঘটনাও বর্ণিত হয়েছে,) আয়েশা (রাঃ) র চরিত্রে যখন কলঙ্ক দেওয়া হয়, তখন পূর্ণ একমাস নবী (সাঃ) অত্যন্ত অস্থিরতা ও পেরেশানী ভোগ করেন। একটি ইয়াহুদী মহিলা তাঁকে দাওয়াত দিয়ে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়; যা তিনি ও সাহাবাগণও খেয়ে ফেলেন। এমন কি ঐ বিষাক্ত খাবার খেয়ে একজন সাহাবীর মৃত্যুও ঘটে। আর খোদ নবী (সাঃ) জীবনভোর বিষের প্রতিক্রিয়া ভোগ করেন। এই ঘটনা ও অন্যান্য বহু ঘটনা প্রমাণ করে যে, গায়বের খবর না জানার ফলেই তাঁকে এরূপ কষ্ট যাতনা ভোগ করতে হয়েছিল। যাতে কুরআনের এই সত্যতাই প্রমাণিত হয় যে, "যদি আমি গায়ব জানতাম, তাহলে আমার কোন অমঙ্গল হত না।"