Nooh • BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
﴿ يَغْفِرْ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَىٰٓ أَجَلٍۢ مُّسَمًّى ۚ إِنَّ أَجَلَ ٱللَّهِ إِذَا جَآءَ لَا يُؤَخَّرُ ۖ لَوْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ﴾
“so that He may forgive you some of your sins, and grant you respite until a term known [to Him alone]: but, behold, when the term appointed by God does come, it can never be put back - if you but knew it!"”
(তাহলে) তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত।[১] নিশ্চয়ই আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কাল উপস্থিত হলে, তা বিলম্বিত হয় না।[২] যদি তোমরা এটা জানতে!’ [৩] [১] এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, তোমাদের মৃত্যুর যে সময়কাল নির্ধারণ করা আছে, ঈমান আনা অবস্থায় সেটাকে বাড়িয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার আরো অবকাশ দেবেন এবং সেই আযাবকে তোমাদের উপর হতে দূর করে দেবেন, ঈমান না আনার ফলে যার আসাটা তোমাদের উপর অবধারিত ছিল। এই আয়াতকে দলীল বানিয়ে বলা হয় যে, আল্লাহর আনুগত্য, নেকীর কাজ এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায়ে সত্যিকারে আয়ু বৃদ্ধি হয়। হাদীস শরীফেও এসেছে যে, صِلَةُ الرِّحِمِ تَزِيْدُ فِي العُمُرِ অর্থাৎ, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় আয়ু বৃদ্ধি করে। (ইবনে কাসীর) কেউ কেউ বলেন, অবকাশ দেওয়ার মানে, বরকত দেওয়া। ঈমান আনলে আয়ুতে বরকত হবে। আর ঈমান না আনলে এই বরকত থেকে বঞ্চিত হতে হবে। [২] বরং অবশ্যই তা সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই তোমাদের জন্য এটাই মঙ্গল যে, তোমরা সত্বর ঈমান ও আনুগত্যের পথ অবলম্বন করে নাও। দেরী করলে আল্লাহর প্রতিশ্রুত আযাবে পতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। [৩] অর্থাৎ, যদি তোমাদের জ্ঞান থাকত, তাহলে তোমরা তা সত্বর অবলম্বন করতে, যার আমি তোমাদেরকে নির্দেশ করছি। অথবা যদি তোমরা এই কথা জানতে যে, আল্লাহর আযাব যখন এসে পড়ে, তখন তা রদ্দ হয় না।