slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير سورة الحج

(Al-Hajj) • المصدر: BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ ۚ وَمَنْ يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍ بِظُلْمٍ نُذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ

📘 ২৫ নং আয়াতের তাফসীর: যারা নিজেরা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কুফরী করবে এবং মানুষকে ঈমান আনতে বাধা দিবে এমনকি মাসজিদে হারাম যা স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান তা হতে বাধা দিবে তারা মক্কার কাফির হোক আর অন্য যে কোন এলাকার কাফির হোক তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। যেমন ৬ষ্ঠ হিজরীতে মক্কার মুশরিকরা মুসলিমদেকে উমরা করতে বাধা দিয়েছিল। মাসজিদে হারামে ইবাদত করার অধিকার সকলের সমান। সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হোক কিংবা বিদেশী হোক। তবে কোন অমুসলিম তাতে প্রবেশ করতে পারবে না। উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ঐ সকল কাফির-মুশরিকদের কথা বর্ণনা করেছেন যারা কুফরী করত এবং মানুষকে হজ্জ পালন করা থেকে বাধা দিত। তাদের জন্য থাকবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (يَسْأَلُوْنَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيْهِ ط قُلْ قِتَالٌ فِيْهِ كَبِيْرٌ ط وَصَدٌّ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَكُفْرٌۭ بِه۪ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ق وَإِخْرَاجُ أَهْلِه۪ مِنْهُ أَكْبَرُ عِنْدَ اللّٰهِ) “তারা তোমাকে নিষিদ্ধ মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে প্রশ্ন করে; তুমি বল, তাতে যুদ্ধ করা বড় অপরাধ। আর আল্লাহর পথে বাধা দেয়া এবং তাঁর সাথে কুফরী করা ও মসজিদে হারামে প্রবেশে বাধা দেয়া এবং এর অধিবাসীদেরকে সেখান থেকে বের করে দেয়া আল্লাহর কাছে আরও বড় গুনাহ।” (সূরা বাক্বারাহ ২:২১৭) إِلْحَادٍ অর্থ অপব্যাখ্যা করা, বাঁকা পথ অবলম্বন করা। এখানে কুফর ও শিরকসহ সমস্ত পাপকেই বুঝানো হয়েছে। এমনকি কিছু আলেম কুরআনের শব্দ থেকে এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, যদি কেউ হারামের মধ্যে পাপের ইচ্ছা পোষণ করে সেও এ সতর্কবাণীর আওতায় পড়বে। কেউ কেউ বলেছেন, পাপের শুধু ইচ্ছা করলেই পাকড়াও হবে না। তবে ইচ্ছা যদি কাজে পরিণত করার কাছাকাছি পৌঁছে যায় তাহলে সে অবশ্যই শাস্তিযোগ্য হবে। সুতরাং জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের উচিত সৎ কাজ করা আর মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দেয়া। কাউকে সৎ কাজ করার ব্যাপারে বাধা দেয়া যাবে না। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. মানুষকে সৎ কাজ থেকে বাধা দেয়া যাবে না। ২. মাসজিদুল হারামের মর্যাদা সম্পর্কে জানা গেল।

الَّذِينَ إِنْ مَكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ وَأَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ ۗ وَلِلَّهِ عَاقِبَةُ الْأُمُورِ

📘 ৪১ নং আয়াতের তাফসীর: মু’মিনদেরকে পৃথিবীতে আল্লাহ তা‘আলা প্রতিষ্ঠিত করলে তাদের ইসলামী রাষ্ট্রের যে মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে তা উক্ত আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। মু’মিনরা খেলাফতের দায়িত্ব পেলে সর্ব প্রথম সালাত কায়েম করবে এবং সকল মুসলিমদেরকে সালাত আদায় করতে বাধ্য করবে। রাষ্ট্রের মধ্যে যাদের যাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকবে তাদের থেকে যাকাত আদায় করে নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করবে এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও আল্লাহ তা‘আলার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সৎ কাজের নির্দেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বাধা দিবে। এ যদি হয় একটি রাষ্ট্রের মূলমন্ত্র এবং দায়িত্বশীলদের প্রধান কর্তব্য তাহলে সে রাষ্ট্রে কোন অন্যায়-অবিচার, খুন-গুম, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, চুরি-ডাকাতি এবং দুর্নীতি থাকবেনা। কারণ সালাত মানুষকে অশ্লীলতা, অন্যায় কাজসহ যাবতীয় শরীয়ত গর্হিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। কোন নামাযী ব্যক্তি অন্যায় কাজে জড়িত হয় না, দুর্নীতি করে না, রাষ্ট্রের মাল আত্মসাৎ করে না। যাকাত আদায় হলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধ উঠে যাবে। আর এসব কাজে রাষ্ট্রীয় নির্দেশ না থাকলে অসৎ কাজে জড়িত হওয়া কার দুঃসাহস হবে? এরূপ শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ রাষ্ট্র খেলাফতে রাশেদা ও প্রথম শতাব্দীর ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তাঁরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঐ সমস্ত উদ্দেশ্য সাধন করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সে কারণে তাদের রাষ্ট্রে কোন অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়নি। এ যুগগুলোকে বলা হয় স্বর্ণযুগ। মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিল, তাদের দুর্নীতি ধরার জন্য কমিশন গঠন করতে হয়নি, বিচার-ফায়সালার জন্য আলাদা কোন ট্র্যাইবুনাল গঠন করা হয়নি। প্রত্যেকেই আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে স্বীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি যা কিছু রয়েছে কোন কিছ্ইু পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, অরাজকতা দূর করতে পারবে না, যদি ইসলামের বিধানের দিকে সকলে ফিরে না আসে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرٰٓي اٰمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكٰتٍ مِّنَ السَّمَا۬ءِ وَالْأَرْضِ وَلٰكِنْ كَذَّبُوْا فَأَخَذْنٰهُمْ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ)‏ “যদি সে সকল জনপদের অধিবাসী ঈমান আনত ও তাক্বওয়া অবলম্বন করত তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম, কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল; সুতরাং তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি।” (সূরা আ‘রাফ ৭:৯৬) অতএব প্রতিটি মুসলিম শাসকের উচিত হবে ইসলামের অনুশাসন মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করা, এতে দুনিয়াতে যেমন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, তেমনি সে শাসক নাগরিকের সৎ আমলের নেকীর অংশ পাবেন। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. মুসলিম শাসকদের রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান দায়িত্বগুলো জানতে পারলাম। ২. যে দেশ বা এলাকার লোক ঈমান ও তাক্বওয়া অবলম্বন করবে তাদেরকে আকাশ ও জমিনের বরকত দেয়া হবে। ৩. দেশে সালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান এবং ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে বাধা দিলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।