🕋 تفسير سورة الضحى
(Ad-Duhaa) • المصدر: BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ وَالضُّحَىٰ
📘 শপথ পূর্বাহ্নের (দিনের প্রথম ভাগের)। [১]
[১] ضُحى পূর্বাহ্ন বা চাশতের অক্ত্ ঐ সময়কে বলা হয়, যখন (সকালে) সূর্য একটু উঁচুতে ওঠে। কিন্তু এখানে উদ্দেশ্য পূর্ণ দিন।
وَأَمَّا السَّائِلَ فَلَا تَنْهَرْ
📘 এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। [১]
[১] তার প্রতি কোন প্রকার কঠোরতা প্রদর্শন করো না এবং অহংকারও নয়। কর্কশ ও কড়া ভাষা ব্যবহার করো না। বরং (ভিক্ষা না দিয়ে) জওয়াব দিলেও স্নেহ ও মহব্বতের সাথে (মিষ্টি কথায়) জওয়াব দাও।
وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ
📘 আর তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা ব্যক্ত কর।[১]
[১] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা তোমার উপর যা অনুগ্রহ করেছেন। যেমন, তিনি তোমাকে হিদায়াত, রিসালত ও নবুঅত দান করেছেন, এতীম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তোমার তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করেছেন, তোমাকে অল্পে তুষ্ট করেছেন ও অভাবমুক্ত করেছেন প্রভৃতি। এই সমস্ত অনুগ্রহসমূহের কথা কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়ার সাথে বয়ান কর। এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহের কথা চর্চা এবং প্রকাশ করাকে তিনি পছন্দ করেন। কিন্তু তা অহংকার ও গর্বের সাথে নয়। বরং আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া এবং তাঁর এহসানিতে ডুবে থেকে এবং আল্লাহর কুদরত ও শক্তিকে এই ভয় করে তা ব্যক্ত করতে হবে যে, তিনি যেন আমাদেরকে ঐ সকল নিয়ামত হতে বঞ্চিত না করে দেন।
وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَىٰ
📘 শপথ রাত্রির; যখন তা সমাচ্ছন্ন করে ফেলে। [১]
[১] سَجَى শব্দের অর্থ হল নিঝুম হওয়া। অর্থাৎ, যখন রাত্রি নিঝুম হয়ে যায় এবং তার অন্ধকার পূর্ণরূপে ছেয়ে যায়। যেহেতু তখনই প্রত্যেক জীব স্থির ও শান্ত হয়ে যায়।
مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَىٰ
📘 তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরূপও হননি। [১]
[১] যেমন কাফেররা মনে করছে।
وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَكَ مِنَ الْأُولَىٰ
📘 অবশ্যই তোমার জন্য পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা অধিক শ্রেয়।[১]
[১] অথবা অবশ্যই তোমার জন্য পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়।
وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَىٰ
📘 অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে (এমন কিছু) দান করবেন, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হবে। [১]
[১] এর দ্বারা দুনিয়ার বিজয় এবং আখেরাতে সওয়াব বোঝানো হয়েছে। এতে ঐ সুপারিশ করার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত যা নবী (সাঃ) নিজের গোনাহগার উম্মতের জন্য আল্লাহর নিকট লাভ করবেন।
أَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيمًا فَآوَىٰ
📘 তিনি কি তোমাকে পিতৃহীন অবস্থায় পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দান করলেন? [১]
[১] অর্থাৎ, পিতার স্নেহ-সাহায্য থেকে তুমি বঞ্চিত ছিলে। আমিই তোমার সহায়ক হলাম।
وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَىٰ
📘 তিনি তোমাকে পেলেন পথহারা অবস্থায়, অতঃপর তিনি পথের নির্দেশ দিলেন। [১]
[১] অর্থাৎ, তুমি দ্বীন, শরীয়ত ও ঈমান সম্বন্ধে অজ্ঞাত ছিলে। আমি তোমাকে পথ দেখালাম, নবুঅত দিলাম এবং তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করলাম। ইতিপূর্বে তুমি হিদায়াতের জন্য পেরেশান ছিলে।
وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَأَغْنَىٰ
📘 তিনি তোমাকে পেলেন নিঃস্ব অবস্থায়, অতঃপর অভাবমুক্ত করলেন।[১]
[১] 'অভাবমুক্ত করলেন' অর্থাৎ, তিনি ছাড়া অন্যান্য থেকে তোমাকে অমুখাপেক্ষী করলেন। সুতরাং তুমি অভাবী অবস্থায় ধৈর্যশীল এবং অভাবমুক্ত অবস্থায় কৃতজ্ঞ হলে। যেমন খোদ নবী (সাঃ)ও বলেছেন যে, মাল ও আসবাবপত্রের আধিক্যই ধনবত্তা নয়; বরং আসল ধনবত্তা হল অন্তরের ধনবত্তা।
(সহীহ মুসলিম যাকাত অধ্যায়, অধিকাধিক মালের মালিক ধনী নয় পরিচ্ছেদ।)
فَأَمَّا الْيَتِيمَ فَلَا تَقْهَرْ
📘 অতএব তুমি পিতৃহীনের প্রতি কঠোর হয়ো না। [১]
[১] বরং ব্যবহারে তার সাথে নম্রতা ও অনুগ্রহ প্রদর্শন কর।