🕋 تفسير سورة عبس
(Abasa) • المصدر: BN-TAFSIR-AHSANUL-BAYAAN
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ عَبَسَ وَتَوَلَّىٰ
📘 সে ভ্রূ কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল।
فَأَنْتَ عَنْهُ تَلَهَّىٰ
📘 তুমি তার প্রতি বিমুখ হলে! [১]
[১] অর্থাৎ, এমন লোকের প্রতি কদর করা উচিত, বৈমুখ হওয়া উচিত নয়। এই সমস্ত আয়াত দ্বারা জানা যায় যে, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে ইতর-বিশেষ করা উচিত নয়। বরং মর্যাদাবান ব্যক্তি হোক চাই অমর্যাদাবান, রাজা হোক চাই ফকীর, সর্দার হোক কিংবা গোলাম, পুরুষ হোক অথবা নারী, ছোট হোক চাই বড় সকলকে একই মর্যাদা দান করা এবং সমষ্টিভাবে সম্বোধন করা উচিত। আল্লাহ তাআলা যাকে চাইবেন নিজের হিকমতানুযায়ী তাকে হিদায়াত দিবেন।
(ইবনে কাসীর)
كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
📘 কক্ষনো (এরূপ করবে) না।[১] এটা তো উপদেশবাণী;
[১] অর্থাৎ, গরীব-মিসকীন ব্যক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আর ধনবান ব্যক্তির প্রতি খাস মনোযোগ দেওয়া ঠিক নয়। এর ভাবার্থ হল যে, আগামীতে যেন পুনর্বার এইরূপ না ঘটে।
فَمَنْ شَاءَ ذَكَرَهُ
📘 যে ইচ্ছা করবে সে তা স্মরণ রাখবে (ও উপদেশ গ্রহণ করবে)।[১]
[১] অর্থাৎ, যে ব্যক্তি তাতে আগ্রহ রাখে সে যেন তা হতে উপদেশ গ্রহণ করে। তাকে মুখস্থ করে এবং তার প্রতি আমল করে। আর যে তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং অমনোযোগিতা দেখায় - যেমন কুরাইশদের মর্যাদাবানরা করেছিল - তো তাদের ব্যাপারে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
فِي صُحُفٍ مُكَرَّمَةٍ
📘 সম্মানিত পত্রসমূহে (লওহে মাহফূযে তা লিপিবদ্ধ আছে)। [১]
[১] অর্থাৎ, লওহে মাহ্ফূযে সংরক্ষিত আছে। কেননা, সেখান হতেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অথবা এর মর্মার্থ এই যে, এই সহীফা আল্লাহর নিকটে বড় মর্যাদাপূর্ণ বস্তু। কেননা, তা প্রজ্ঞা ও জ্ঞানে ভরপুর।
مَرْفُوعَةٍ مُطَهَّرَةٍ
📘 যা উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ, পূত-পবিত্র। [১]
[১] مرفوعة অর্থাৎ, আল্লাহর নিকটে মর্যাদাপূর্ণ। অথবা এটা সন্দেহ এবং পরস্পরবিরোধিতা থেকে বহু উচ্চে। مطهرة অর্থাৎ, সেটি একেবারে পূত-পবিত্র। কেননা, তাকে পবিত্র লোক (ফিরিশতা)গণ ছাড়া কেউ স্পর্শ করে না। কিংবা তা কম-বেশী হতে পাক-পবিত্র।
بِأَيْدِي سَفَرَةٍ
📘 এমন লিপিকারদের হস্ত দ্বারা (লিপিবদ্ধ)। [১]
[১] سفرة শব্দটি سافر এর বহুবচন। এর মানে দূত। এখানে এ থেকে উদ্দেশ্য হল ফিরিশতাদল। যাঁরা আল্লাহর অহী তদীয় রসূল পর্যন্ত পৌঁছে থাকেন। অর্থাৎ, আল্লাহ এবং রসূলের মাঝে দূতের কর্ম আঞ্জাম দেন। এই কুরআন এমন দূতগণের হাতে থাকে যাঁরা তা লাওহে মাহ্ফূয থেকে বহন করেন।
كِرَامٍ بَرَرَةٍ
📘 (যারা) সম্মানিত ও পুণ্যবান (ফিরিশতা)। [১]
[১] চরিত্রের দিক দিয়ে তাঁরা হলেন সম্মানিত; অর্থাৎ, শ্রদ্ধেয় এবং বুযুর্গ। আর কর্মের দিক দিয়ে তাঁরা পুণ্যবান ও পবিত্র। এখান থেকে জানা যায় যে, কুরআন বহনকারী (হাফেয এবং আলেমগণ)-কেও চরিত্র এবং কর্মের দিক দিয়ে 'কিরামিম বারারাহ'র মূর্ত-প্রতীক হওয়া উচিত।
(ইবনে কাসীর)
হাদীসেও 'সাফারাহ' শব্দ ফিরিশতাদের জন্য ব্যবহার হয়েছে। নবী (সাঃ) বলেছেন, "যে কুরআন পাঠ করে এবং তাতে সুদক্ষ হয়, সে 'কিরামিম বারারাহ'র সাথে - অর্থাৎ, সম্মানিত পুণ্যবান ফিরিশতাগণের সাথী হবে। আর যে কুরআন পাঠ করে কিন্তু কষ্টের সাথে (আটকে আটকে) পাঠ করে তার জন্য ডবল সওয়াব রয়েছে।"
(সহীহ বুখারী তাফসীর সূরা আবাসা, মুসলিম নামায অধ্যায়, কুরআনে সুদক্ষ হওয়ার মাহাত্ম্যের পরিচ্ছেদ)
قُتِلَ الْإِنْسَانُ مَا أَكْفَرَهُ
📘 মানুষ ধ্বংস হোক! সে কত অকৃতজ্ঞ! [১]
[১] এ থেকে সেই মানুষ উদ্দেশ্য, যে বিনা প্রমাণ ও দলীলে কিয়ামতকে অস্বীকার করে। قتل অভিশপ্তের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। ما أكفره ফে'ল তাআজ্জুব। অর্থাৎ, কত বড় অকৃতজ্ঞ ও নিমকহারাম সে! পরবর্তীতে এই অকৃতজ্ঞ মানুষকে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে, যাতে সে কুফরী হতে ফিরে আসে।
مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
📘 তিনি তাকে কোন্ বস্তু হতে সৃষ্টি করেছেন?
مِنْ نُطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ
📘 শুক্রবিন্দু হতে তাকে সৃষ্টি করেছেন, [১] অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন। [২]
[১] অর্থাৎ, যার জন্ম এমন ঘৃণিত পানির বিন্দু থেকে, তার কি অহংকার করা শোভা পায়?
[২] এর ভাবার্থ হল যে, তাকে তার প্রয়োজনীয় কল্যাণ দান করা হয়েছে; দুটি হাত, দুটি পা, দুটি চক্ষু এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেওয়া হয়েছে। (অনেকের মতে এর অর্থ হল, অতঃপর তার নিয়তি নির্ধারণ করেছেন।)
أَنْ جَاءَهُ الْأَعْمَىٰ
📘 যেহেতু তার নিকট অন্ধ লোকটি আগমন করেছিল। [১]
[১] ইবনে উম্মে মাকতূমের আগমনে নবী (সাঃ)এর চেহারায় যে বিরক্তিভাব ফুটে উঠেছিল তাকে عبس শব্দ দ্বারা এবং তাঁর অমনোযোগী হওয়াকে تولى শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে।
ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ
📘 অতঃপর তার জন্য তার পথ সহজ করে দিয়েছেন। [১]
[১] অর্থাৎ, ভাল-মন্দের পথ স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এ থেকে উদ্দেশ্য হল মায়ের পেট থেকে বের হবার পথ। তবে প্রথম অর্থটিই অধিক শুদ্ধ।
ثُمَّ أَمَاتَهُ فَأَقْبَرَهُ
📘 অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন। [১]
[১] অর্থাৎ, মৃত্যুর পর তাকে কবরে দাফন করার হুকুম দেওয়া হয়েছে; যাতে তার সম্মান ও কদর বজায় থাকে। নচেৎ হিংস্র পশু-পক্ষী তার লাশকে ছিঁড়ে-ফেড়ে খেতো এবং তাতে তার অসম্মান হত।
ثُمَّ إِذَا شَاءَ أَنْشَرَهُ
📘 এরপর যখন ইচ্ছা তিনি তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَا أَمَرَهُ
📘 না না,[১] তিনি তাকে যে আদেশ করেছেন, সে তা পালন করেনি।
[১] অর্থাৎ, ব্যাপারটা সেইরূপ নয়; যেমন কাফেররা বলে থাকে।
فَلْيَنْظُرِ الْإِنْسَانُ إِلَىٰ طَعَامِهِ
📘 সুতরাং মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক।[১]
[১] যে, আল্লাহ তা কিভাবে সৃষ্টি করেছেন; যা তার জীবন ধারণের উপকরণ এবং কিভাবে তার জন্য জীবনোপকরণের ব্যবস্থা করেছেন; যাতে সে সেগুলিকে পরকালের সুখলাভের মাধ্যম বানাতে পারে।
أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاءَ صَبًّا
📘 আমিই তো প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করি,
ثُمَّ شَقَقْنَا الْأَرْضَ شَقًّا
📘 অতঃপর ভূমিকে প্রকৃষ্টরূপে বিদীর্ণ করি।
فَأَنْبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
📘 অতঃপর তাতে উৎপন্ন করি শস্য।
وَعِنَبًا وَقَضْبًا
📘 আঙ্গুর, শাক-সবজি।
وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
📘 যয়তুন, খেজুর।
وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُ يَزَّكَّىٰ
📘 কিসে জানাবে তোমাকে, হয়তো বা সে পরিশুদ্ধ হত। [১]
[১] অর্থাৎ, সেই অন্ধ ব্যক্তি তোমার নিকট থেকে দ্বীনী পথনির্দেশ লাভ করে সৎকর্ম করত যার কারণে তার চরিত্র ও কর্ম সুন্দর হত, তার আভ্যন্তরীণ অবস্থাও শুদ্ধ হয়ে যেত এবং তোমার নসীহত শুনে সে উপকৃত হতে পারত।
وَحَدَائِقَ غُلْبًا
📘 ঘন বৃক্ষবিশিষ্ট উদ্যানসমূহ।
وَفَاكِهَةً وَأَبًّا
📘 ফলমূল এবং পশুখাদ্য। [১]
[১] أب সেই ঘাস ও লতাপাতা যা আপনা আপনি উদগত হয় এবং তা চতুষ্পদ জন্তুরা ভক্ষণ করে থাকে।
مَتَاعًا لَكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
📘 এটা তোমাদের ও তোমাদের পশুদের উপভোগের জন্য।
فَإِذَا جَاءَتِ الصَّاخَّةُ
📘 অতঃপর যখন (কিয়ামতের) ধ্বংস-ধ্বনি এসে পড়বে। [১]
[১] কিয়ামতকে صاخّة শ্রবণশক্তি হরণকারী ধ্বংস-ধ্বনি এই জন্য বলা হয়েছে যে, এটা অতি ভয়ংকর আওয়াজের সাথে সংঘটিত হবে এবং তা কর্ণকে বধির করে ফেলবে।
يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
📘 সেদিন মানুষ পলায়ন করবে আপন ভ্রাতা হতে,
وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ
📘 এবং তার মাতা ও তার পিতা হতে,
وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ
📘 তার পত্নী ও তার সন্তান হতে।
لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
📘 সেদিন তাদের প্রত্যেকের এমন গুরুতর অবস্থা হবে, যা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে। [১]
[১] কিংবা যা নিজের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব থেকে অমুখাপেক্ষী ও বেপরোয়া করে তুলবে। হাদীসে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন যে, মানুষ কিয়ামতের ময়দানে নগ্ন শরীর, খালি পা এবং খাত্নাবিহীন (উলঙ্গ) অবস্থায় হাযির হবে। আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, এই অবস্থা হলে এক অপরের লজ্জাস্থানের প্রতি দৃষ্টি পড়বে না কি? নবী (সাঃ) এর উত্তরে উক্ত আয়াত তেলাঅত করলেন। অর্থাৎ, সেদিন প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে চিন্তামগ্ন থাকবে।
(তিরমিযী সূরা আবাসার তাফসীর, নাসাঈ জানাযা অধ্যায়)
কারো কারো মতে, মানুষ নিজের ঘরের লোক থেকে এই জন্য পলায়ন করবে, যাতে সে তার সেই কষ্ট এবং দুঃখ না দেখে যাতে সে পতিত হবে। আবার কেউ কেউ বলেন, এই জন্য পালাবে যে, তারা জানতে পারবে যে, তারা তার কিছু উপকার করতে পারবে না এবং তার কোন কাজেও আসবে না।
(ফাতহুল বারী)
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُسْفِرَةٌ
📘 সেদিন বহু মুখমন্ডল হবে উজ্জ্বল।
ضَاحِكَةٌ مُسْتَبْشِرَةٌ
📘 সহাস্য ও প্রফুল্ল। [১]
[১] এইরূপ ঈমানদারদের চেহারা হবে। যাদেরকে আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে। এর দ্বারা তাদের আখেরাতের সুখ ও সাফল্য লাভের একীন হয়ে যাবে। যার ফলে তাদের মুখমন্ডলে খুশীর আভা প্রকাশ পাবে।
أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنْفَعَهُ الذِّكْرَىٰ
📘 অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে তা তার উপকারে আসত।
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
📘 পক্ষান্তরে বহু মুখমন্ডল হবে সেদিন ধূলি-ধূসর।
تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
📘 সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে কালিমা। [১]
[১] অর্থাৎ, লাঞ্ছনা ও আযাব দর্শন করে তাদের মুখমন্ডল ধূলিময়, বিবর্ণ ও কালিমাময় হবে যাবে। যেমন, দুঃখক্লিষ্ট ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত লোকের মুখমন্ডলে প্রকাশ পায়।
أُولَٰئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ
📘 তারাই কাফির ও পাপাচারী। [১]
[১] অর্থাৎ, তারা আল্লাহর রসূলগণ এবং কিয়ামতকে অস্বীকারকারীও ছিল এবং পাপাচার ও চরিত্রহীনও ছিল। আল্লাহুম্মা লা তাজ্আলনা মিনহুম। (অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তাদের দলভুক্ত করো না।)
أَمَّا مَنِ اسْتَغْنَىٰ
📘 পক্ষান্তরে যে লোক বেপরোয়া, [১]
[১] অর্থাৎ বেপরোয়া ঈমান থেকে এবং সেই জ্ঞান থেকে যা তোমার কাছে আল্লাহর তরফ হতে এসেছে। অথবা এ আয়াতের দ্বিতীয় অর্থ হল যে, যে অভাবশূন্য ও ধনী।
فَأَنْتَ لَهُ تَصَدَّىٰ
📘 তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিলে। [১]
[১] এতে নবী (সাঃ)-কে অধিক সতর্ক করা হয়েছে যে, বিশুদ্ধচিত্তদেরকে ছেড়ে বৈমুখদের জন্য মনোযোগ ব্যয় করা ঠিক নয়।
وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّىٰ
📘 অথচ সে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার কোন দোষ নেই। [১]
[১] কেননা, তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা। সুতরাং এই শ্রেণীর কাফেরদের পিছনে পড়ার কোন প্রয়োজন নেই।
وَأَمَّا مَنْ جَاءَكَ يَسْعَىٰ
📘 পক্ষান্তরে যে তোমার নিকট ছুটে এল, [১]
[১] এই আশা করে যে, তুমি তাকে মঙ্গলের প্রতি পথ প্রদর্শন করবে এবং ওয়ায-নসীহত দ্বারা উপদেশ প্রদান করবে।
وَهُوَ يَخْشَىٰ
📘 সভয় মনে, [১]
[১] অর্থাৎ, আল্লাহর ভয়ও তার হৃদয়ে আছে, যার কারণে আশা করা যায় যে, তোমার বাণী তার জন্য উপকারী হবে। আর সে তা গ্রহণ করবে এবং তার উপর আমল করবে।